উত্তর: তাকবীরে উলার সময়সীমার ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। বিশুদ্ধ মতে, ইমাম যখন তাকবীরে তাহরীমা প্রদান করবেন তখন মুছল্লীকে মসজিদে উপস্থিত থেকে ছালাতে অংশগ্রহণ করতে হবে, তাহ’লে সে তাকবীরে উলা’র ফযীলত লাভ করবে, অন্যথায় নয়। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, মুস্তাহাব হ’ল, ইমামের তাকবীরে তাহরীমা পাঠের পূর্বে কাতারে শামিল হওয়া। ‘আল্লাহু আকবার’ বলার পরে কেউ শামিল হ’লে তাকবীরে উলার ফযীলত পাবে না (রওযাতুত ত্বালেবীন ১/৪৪৬)। আর এটিই শায়খ উছায়মীন, ছালেহ আল-ফাওযান প্রমুখ বিদ্বানদের অভিমত (ওছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ২/১৯২; আল-মুলাখখাছুল ফিক্বহী ১/১৪০)। অপর একটি মতে, সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত পর্যন্ত। কারণ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আমরা ছালাতের ইক্বামত শুনলেই ওযূ করে ছালাত আদায় করতে আসতাম (আবুদাউদ হা/৫১০; ইবনু হিববান ১৬৭৪, সনদ হাসান)। এই মতকে সমর্থন করেছেন ইমাম আবু হানীফাসহ একদল বিদ্বান (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/২০৬; রাদ্দুল মুহতার ৪/১৩১)। তবে প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তি যতদ্রুতসম্ভব ছালাতে যোগদান করবেন এবং আশা করা যায় ওযরের কারণে তিনি তাকবীরে উলার নেকী পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ (তাগাবুন ৬৪/১৬)।
প্রশ্নকারী : আমীনুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।