উত্তরঃ
মনগড়াভাবে কুরআনের কোন শব্দ বা আয়াতের অর্থ করা যাবে না। ইমাম রাযীন
বলেছেন, যে ব্যক্তি তার নিজ মতামত দ্বারা কুরআনের ব্যাপারে কিছু বলে ভুল
করল সে কুফরী করল। একদা আবুবকর (রাঃ)-কে একটি অক্ষরের ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করা
হ’লে তিনি বলেন, যদি কিতাবুল্লাহর একটি অক্ষরের ব্যাপারে এরূপ কথা বলি
যেরূপ আল্লাহর উদ্দেশ্য ছিল না, তাহ’লে কোন্ আসমান আমাকে ছায়া দিবে, কোন্
যমীন আমাকে বিশ্রামের স্থান দিবে? আমি কোথায় যাবো আর কী করবো? (বিস্তারিত
দ্র. তাফসীর কুরতুবী, মুক্বাদ্দামা)। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ স্বীয়
সম্মান-মর্যাদা বুঝানোর জন্য এরূপ বহু বচনের শব্দ ব্যবহার করেছেন। সেকারণ
‘পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর কাহিনী’ প্রবন্ধে সংশ্লিষ্ট কুরআনের
আয়াতে যেখানে বহুবচনের শব্দ এসেছে সেখানে বহুবচনেরই অর্থ করা হয়েছে। মূলতঃ
আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্ব বুঝানোর জন্যই বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা
ভাষার অলংকারের মধ্যেও পড়ে।