উত্তর : গোল হয়ে বসে যিকর
করাকে হালক্বায়ে যিকর বলা হয়। রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর কিছুদিন পর একশ্রেণীর
বিদ‘আতী এই পদ্ধতি চালু করে। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে ইবাদতের যে সকল
পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে, হালক্বায়ে যিকর তার অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং
দলবদ্ধভাবে উচ্চৈঃস্বরে হালক্বায়ে যিকর করা বিদ‘আত (ড. ছালেহ বিন ফাওযান, কিতাবুত তাওহীদ পৃঃ ৭২)।
ওমর ইবনু ইয়াহইয়া (রাঃ) বলেন, একদা মসজিদে নববীতে দলবদ্ধভাবে গোল হয়ে বসে যিকর হচ্ছিল। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) এসে খবর দিলে আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) মসজিদে গিয়ে তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা কী করছ? তারা বলল, ‘আমরা তাকবীর, তাহলীল, তাসবীহ ও তাহমীদ গণনা করছি’। তখন তিনি বললেন, আসলে তোমরা তোমাদের গুনাহসমূহ গণনা করছ। এখনো ছাহাবীগণ জীবিত আছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাপড় এখনো অক্ষত আছে। তাঁর পানপাত্র সমূহ এখনো ভাঙ্গেনি। আর এখুনি তোমরা বিদ‘আত শুরু করে দিলে? (দারেমী হা/২০৪, সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২০০৫)।
তবে শরী‘আত নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী যিকর করার অনেক ফযীলত রয়েছে। ফরয ছালাত শেষে আয়াতুল কুরসীসহ অন্যান্য দো‘আ সমূহ পাঠ করাকে হাদীছে যিকর বলা হয়েছে (দ্রঃ মিশকাত ‘ছালাতের পর যিকর’ অনুচ্ছেদ)।