দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নানা ধরনের কটূক্তি শুনেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে অপমানের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে তিনি অসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন এবং অবস্থার প্রেক্ষিতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন। নিম্নোক্ত হাদীছে যা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছ
আমরা কোন মুসলমানকে সে যত সৎকর্মই করুক না কেন তাকে যেমন জান্নাতী বলে ঘোষণা দিতে পারি না। অনুরূপভাবে কোন মুসলমান যত মনদ কাজই করুক না কেন তাকে জাহান্নামী বলেও ঘোষণা দিতে পারি না। কারণ কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী সাব্যস্ত করা একমাত্র আল্লাহরই কর্তৃত্বাধ
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ অতি সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। এমনকি অনেক সময় তাদের বাড়ীতে খাবারও থাকতো না। কারণ তাদের সার্বক্ষণিক চিন্তা ছিল আখেরাত নিয়ে। যাতে পরকালে মুক্তি মেলে এবং জান্নাত লাভ করা যায়। কিন্তু যখন ক্ষুধার তাড়না অসহনীয় হয়ে যেত তখন তার
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন। নিজের চেয়ে তিনি অন্যের কথা বেশী ভাবতেন। নিজের কাছে না থাকলে কখনো কখনো ঋণ করেও তিনি অভাবী-দরিদ্রদের দান করতেন। অনেক সময় ঋণ পরিশোধ করতে তাকে বেগ পেতে হ’ত। কিন্তু তিনি সদা আল্লাহর উপরে ভরসা করতেন। এমনই একটি ঘট
প্রখ্যাত ছাহাবী জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ)-এর দুর্বল উটকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে মহানবী (ছাঃ)-এর মু‘জেযা এবং জাবের (রাঃ)-কে রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক সহযোগিতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে নিম্নোক্ত হাদীছে।জাবের বিন আব্দুল্লাহ হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
ছাহাবায়ে কেরাম ছিলেন জান্নাত পিয়াসী মানুষ। জান্নাত লাভের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতেও তাঁরা কুণ্ঠিত হ’তেন না। এজন্য জীবন দিয়ে হ’লেও রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশ প্রতিপালন করতেন। আর ইসলামের খেদমতে জীবন বাজি রেখে তাঁরা জিহাদে অংশগ্রহণ করতেন। অভিযানে গমনাগমনের পথে
ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবী করীম (ছাঃ) ও তাঁর সাথীদের আর্থিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। তিন বেলা পেট পুরে আহার করার মত সংগতি অনেকেরই ছিল না। তবুও তাঁরা ছিলেন দুনিয়া বিমুখ। বরং তাদের প্রচেষ্টা ও সাধনা ছিল পরকালে মুক্তি ও জান্নাত লাভের জন্য কাজ করা। সম্পদ
হোদায়বিয়া থেকে ফেরার পথেই যু-ক্বারাদের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তনের পরপরই সংঘটিত হয় খায়বার যুদ্ধ। এই খায়বার যুদ্ধেও রাসূল (ছাঃ)-এর মু‘জেযা বা অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছিল। এই উভয় স্থানে ছাহাবীগণ অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শন করে
দ্বীন প্রতিষ্ঠায় রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের ত্যাগ ছিল অনন্য। বিভিন্ন জিহাদে যার নিদর্শন ফুটে উঠেছে। তেমনি বিভিন্ন সময়ে রাসূল (ছাঃ)-এর নানা মু‘জেযা প্রকাশ পেয়েছে। হোদায়বিয়ার সন্ধিকালে যেমনটি প্রকাশ পেয়েছিল। হোদায়বিয়ায় ও মদীনা প্রত্যাবর্তনক
মুহাম্মাদ (ছাঃ) আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ছিলেন। মক্কার কুরাইশরা তাঁকে নবী হিসাবে স্বীকার না করলেও তারা জনতো যে মুহাম্মাদ আল্লাহর নবী (বাক্বারাহ ২/১৪৬; আন‘আম ৬/২০)। কিন্তু বংশ গৌরব ও বিদ্বেষ বশতঃ তারা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে নবী হিস
রাসূল (ছাঃ)-এর সীমাহীন মহানুভবতা ও অনুপম আদর্শে মুগ্ধ হয়ে অনেক ছাহাবী ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। ইয়ামামার বনু হানীফ গোত্রের নেতা ছুমামাহ ইবনু উছাল (রাঃ) ছিলেন তাদের অন্যতম। তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে নিম্নোক্ত হাদ
রাসূল (ছাঃ)-এর কথা বিভিন্ন মানুষের উপরে প্রভাব বিস্তার করতো। ফলে তারা ইসলাম কবুল করে জীবন পরিচালনা করতেন রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী। বিগত জীবনের যাবতীয় রসম-রেওয়াজ থেকে সর্বতোভাবে ফিরে আসতেন। ফেলে আসা জীবনের ভুল-ত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে
আমর ইবনু আবাসা (রাঃ) মদীনায় রাসূল (ছাঃ)-এর হিজরত পরবর্তীকালে ইসলাম গ্রহণ করেন। যিনি প্রথমে মক্কায় গিয়ে রাসূল (ছাঃ)-কে তাঁর আগমন সম্পর্কে এবং তিনি কি বিধান নিয়ে এসেছেন সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করেন। রাসূল (ছাঃ) ঐ ছাহাবীর প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেন। এ স
(১) এ পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। কাউকে রোগ-শোক, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দিয়ে। আবার কাউকে সম্পদের প্রাচুর্য, বিলাস বহুল জীবন ও সুখ-সমৃদ্ধি দান করে। সেকারণ মানুষের উচিত বিপদাপদে আল্লাহর নিকটেই পরিত্রাণ প্রার্থনা করা এবং
এ পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষকে প্রেরণ করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। কিন্তু মানুষ তাদের কর্তব্য ভুলে গিয়ে বিভিন্ন অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত হয়। এরূপ মানুষ আল্লাহর নিকট ঘৃনিত এবং জনসমাজেও ধিকৃত। তবে যারা আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলে, তাঁর অনুগত থেকে ইবাদত-বন্
প্রখ্যাত ছাহাবী আবু নাজীহ আমর ইবনু আবাসাহ আস-সুলামী ইসলামের প্রাথমিক যুগেই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে নিজেকে ধন্য করে ছিলেন। মাক্কী জীবনেই রাসূলুলাহ (ছাঃ) যখন গোপনে ইসলামের দাওয়াত দেন, সে সময় তিনি মক্কায় এসে রাসূলুলাহ (ছাঃ)-কে ক
উপস্থাপনা : বিশিষ্ট ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম ইসলামকে সঠিক দ্বীন হিসাবে জানার পর ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং নিজেকে মুসলিম হিসাবে তাঁর জাতির কাছে পেশ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছ-আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হ’ত
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করা। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত’ (ইবরাহীম ১১)। ‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট’ (তালাক্ব ৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযথভাবে ভরস
এ নশ্বর পৃথিবীর যেদিন ধ্বংস হবে, সেদিনের নাম ক্বিয়ামত। ক্বিয়ামত সংঘটিত হওয়ার দিনক্ষণ আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। তবে এর কিছু পূর্বলক্ষণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে দাজ্জালের আগমন অন্যতম। এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীছ।-ফাতিমা বিনতে কায়ে
ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর বিচারের পরে যারা সৎকর্মশীল তারা জান্নাতে চলে যাবে। আর মুমিনরা অন্য মুমিনদের জন্য আল্লাহর কাছে সুফারিশ করবে। ফলে বহুমানুষ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছটি।আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা কতি
মুমিন তার পাপের কারণে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে। কিন্তু তার ঈমানের কারণে এক সময় সে জান্নাতে যাবে। জান্নাতে যাওয়ার পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা ও বান্দার মধ্যে যে কথোপকথন হবে, সে সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছ- আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, লোকেরা জি
মৃত্যুর পরে মানুষকে কবরে রাখা হয়। বিভিন্ন কারণে মানুষকে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়। তন্মধ্যে মিথ্যা বলা, কুরআন তেলাওয়াত পরিহার করা, সূদ খাওয়া ও যেনা-ব্যাভিচার করা অন্যতম। এ প্রসঙ্গেই নিম্নোক্ত হাদীছ।-সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,
যাকাত ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। ঈমান ও ছালাতের পরেই যাকাতের স্থান। মহান আল্লাহ পৃথিবীর মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির জন্য যাকাত ফরয করেছেন। পবিত্র কুরআনে ৩২ জায়গায় যাকাত আদায় করার ব্যাপারে আলোচনা এসেছে। যাকাত না দিলে সম্পদ শুধু ধনীদের কাছে জমা
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পারিবারিক জীবন ছিল অত্যন্ত সাধাসিধা। তিনি স্বেচ্ছায় দরিদ্রতা বরণ করেছিলেন। তাঁর পূণ্যবতী স্ত্রীগণও তা হাসিমুখে বরণ করেছিলেন। কিন্তু ৫ম হিজরীতে আহযাব যুদ্ধের পর বনু নাযীর ও বনু কুরায়যার বিজয় এবং গণীমতের বিপুল মালামাল প্রাপ
কপটতা মানব মনের এক দুষ্টু ক্ষত। এর ফলে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয়। কখনো এর ফলে নিরপরাধ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুনাফিক্ব সরদার আব্দুল্লাহ ইবনু উবাই ইবনে সুলূলের মুনাফিক্বীর শিকার হয়েছিলেন নবীপত্নী নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারিণী মা আয়েশা (রাঃ)। যে কার
মেহমানের সম্মান করা ইসলামে অশেষ ছওয়াবের বিষয়। আর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মেহমান নেওয়াযী করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবী মদদ মেলে। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ।আবু মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (ছাঃ) হ’তে বর্ণিত, ‘আছহাবে ছুফফাহ’ (মসজিদ
ঈমানের মৌলিক বিষয়াবলীর অন্যতম হচ্ছে তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। সৃষ্টির পঞ্চাশ হাযার বছর পূর্বে মহান আল্লাহ মানুষের তাক্বদীর লিখে রেখেছেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ হিসাবে তিনি ভাগ্যলিপি লিখে রেখেছেন। মুমিনের কর্তব্য হচ্ছে তাক্বদীরের উপরে দৃঢ় ব
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মক্কার কুরাইশদের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে সেখান থেকে অন্যত্র হিজরতের জন্য আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষায় থাকেন। অবশেষে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ আসলে তিনি আবূবকর (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে মদীনার পথে রওয়ানা হন। পিছনে শত্রু, সামনে বন্ধুর পথ
দাম্পত্য জীবন মানুষের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুম্পর্কের মাধ্যমে এ জীবন মধুময় হয়ে ওঠে। আবার দু’জনের মাঝে মনোমালিন্য ও ভুল বোঝাবুঝিতে এ জীবন দুঃখ-যাতনায় ভরে যায়। হাফছাহ (রাঃ) কর্তৃক আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে নবী করীম (ছাঃ)-এর কথা
রাবী‘আহ আল-আসলামী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর খিদমত করতাম। ফলে তিনি আমাকে ও আবুবকর (রাঃ)-কে এক খন্ড জমি দান করলেন। অতঃপর দুনিয়ার চাকচিক্য আসল। ফলে একটি খেজুরের কাঁদিকে কেন্দ্র করে আমরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়লাম। আবুবকর (রাঃ) বললেন, এটা আমার জমির
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, আরবরা সফরে গেলে একে অপরের খিদমত করত। আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর সাথে একজন লোক ছিল যে তাদের খিদমত করত। তারা ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর জাগ্রত হলে লক্ষ করলেন যে, সে তাদের জন্য খাবার প্রস্ত্তত করেনি (বরং ঘুমিয়ে আছে)। ফলে একজন তার
আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সালমান আল-ফারেসী (রাঃ) নিজে তাঁর কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমি একজন পারসিক ছিলাম। আমার জন্মস্থান ছিল ইস্পাহানের অন্তর্ভুক্ত ‘জাই’ নামক গ্রাম। পিতা ছিলেন গ্রামের সর্দার। আর আমি তাঁর নিকট
হানযালা ইবনু রুবাই আল-উসাইদী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি কাঁদতে কাঁদতে রাসূল (ছাঃ)-এর দরবার অভিমুখে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে আমার সাথে আবুবকর (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ হ’ল। তিনি বললেন, কি হয়েছে হানযালা? আমি বললাম, হানযালা মুনাফিক হয়ে গেছে। তিনি
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, মূসা (আঃ) ছয়টি বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে তাঁর রবকে (আল্লাহ) জিজ্ঞেস করলেন। আর তিনি মনে করতেন যে, এগুলো কেবল তাঁর জন্যই নির্দিষ্ট ছিল। তবে সপ্তমটি তিনি পসন্দ করতেন না। (১) তিনি (মূসা
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘মূসা (আঃ) ছিলেন খুব লজ্জাশীল ও পর্দানশীন ব্যক্তি। তাঁর লজ্জাশীলতার কারণে তাঁর দেহের কোন অংশ দেখা যেত না। ফলে বনী ইসরাঈলের লোকেরা তাঁকে যা কষ্ট দেয়ার দিল। তারা বলল, তাঁর চামড়ায় কোন দোষ-ত্রুটি
নবী করীম (ছাঃ)-এর মদীনায় হিজরতের পূর্বে ইয়াছরিবের কতিপয় লোক হজ্জের মৌসুমে মক্কায় এসে আক্বাবা নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাতে আনুগত্যের বায়‘আত গ্রহণ করেন। যার মাধ্যমে রাসূল (ছাঃ)-এর মদীনায় হিজরতের সূচনা হয়। সে সম্পর্কিত দু’টি হাদীছ-ইমাম আহমাদ কর
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর একজন ছাহাবী ছিলেন, যার নাম ছিল জুলায়বীব (রাঃ)। জুলায়বীব শব্দের অর্থ ‘ক্ষুদ্র পূর্ণতাপ্রাপ্ত’। এই নাম দিয়ে মূলতঃ জুলায়বীবের খর্বাকৃতিকে বুঝানো হ’ত। তিনি ছিলেন উচ্চতায় অনেক ছোট।আনাস (রাঃ) বলেন, তিনি দেখতে কুশ্রীও ছিলেন। রাস
কুরআন তেলাওয়াত অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ইবাদাত। এটি যেমন পাঠকারীর জন্য প্রভূত কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে, তেমনি তেলাওয়াতকারীর পিতা-মাতাও সেই কল্যাণধারায় সিক্ত হন। যদি কোন সন্তান কুরআন পড়া শেখে, কুরআন তেলাওয়াত করে, কুরআন মুখস্থ করে এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচ
আবু উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, এক তরুণ যুবক রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাকে যেনা করার অনুমতি দিন। একথা শুনে উপস্থিত লোকজন তার নিকটে এসে তাকে ধমক দিয়ে বলল, থাম! থাম! রাসূল (ছাঃ) বললেন, তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো
সাহল ইবনু সা‘দ আস-সাঈদী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট সংবাদ পৌঁছেছে যে, বনু আমর ইবনু আওফ এ কিছু ঘটেছে। তাদের মধ্যে আপোষ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি কয়েকজন ছাহাবীসহ বেরিয়ে গেলেন। আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) সেখানে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে ছালাতের
কুরায়ব (রহঃ) হ’তে বর্ণিত, ইবনু আববাস, ইবনু মাখরামাহ এবং আব্দুর রহমান ইবনু আযহার (রাঃ) তাঁকে আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন এবং বলে দিলেন, তাঁকে আমাদের সকলের তরফ হ’তে সালাম পৌঁছে দিবে ও আছরের পরের দু’রাক‘আত ছালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। তাঁকে একথা
আবু ক্বাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে কোন এক সফরে ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা যদি আগামীকাল পানি না পাও তাহ’লে তোমার পিপাসার্ত হবে। তখন ত্বরাপ্রাবণ কিছু লোক পানির খোঁজে রওয়ানা হ’ল। আর আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর স
যিয়াদ বিন জুবায়ের বিন হাইয়্যা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, ওমর ইবনুুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হারমুযানকে (বন্দি পারসিক সেনাপতি) বললেন, তুমি যখন নিজেকে আমার তুলনায় দুর্বল ভেবেই নিয়েছ, তখন আমাকে উপদেশমূলক কিছু কথা বল। ত
মানুষ পৃথিবীতে আসে পিতা-মাতার মাধ্যমে। ফলে সন্তানের কাছে পিতামাতা অতি শ্রদ্ধার পাত্র এবং সদাচরণ পাওয়ার হকদার। আবার উভয়ের মধ্যে মায়ের সদাচরণ পাওয়ার অধিকার বেশী। পিতা-মাতার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। উওয়াইস আল-কারানী মায়ে
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আল্লাহর জনৈক বান্দাকে কবরে একশত কশাঘাতের আদেশ দেওয়া হ’ল। তখন সে তা কমানোর জন্য বার বার আবেদন-নিবেদন করতে থাকল। শেষ পর্যন্ত একটি কশাঘাত অবশিষ্ট থাকল। তাকে একটি মাত্র কশাঘাতই করা হ’
হালাল রুযী নবীগণের সুন্নাতশাদ্দাদ ইবনু আওসের বোন উম্মে আব্দুল্লাহ হ’তে বর্ণিত, তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে তাঁর ইফতারের সময়ে এক পেয়ালা দুধ পাঠালেন। কারণ তখন ছিল বড় দিন ও প্রচন্ড গরমের সময়। এতে তিনি তার (উম্মে আব্দুল্লাহর) দূতকে তার কাছে ফেরত
কুরআন ও হাদীছ মানবতার মুক্তির দিশারী। এর মাধ্যমে মানুষ হকের দিশা পায়। মানুষের জীবনের করণীয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে। প্রার্থনাকারীর ও মেহমানের আপ্যায়ন করা কখন আবশ্যক হয় এ বিষয়টি জানতে তাই নিম্নোক্ত হাদীছের অবতারণা।হাসান বাছরী (রহঃ)
পৃথিবীতে মানুষ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে তাকে অন্যের মুখাপেক্ষী হ’তে হয়। কেউ কারো দ্বারা উপকৃত হ’লে উত্তমভাবে উপকারীর প্রতিদান প্রদান করা উচিত। এ শিক্ষাই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের দিয়ে গেছেন। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ।-ইমরান (রাঃ) হ
ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আমার মাতাপিতাকে কখনো ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন পালন করতে দেখিনি এবং এমন কোন দিন অতিবাহিত হয়নি যেদিন সকালে কিংবা সন্ধ্যায় রাসূল (ছাঃ) আমাদের
হাদীছে নববীর মাঝে লুকিয়ে আছে অমূল্য জ্ঞানভান্ডার। যাতে মানুষের জন্য রয়েছে অনুপম উপদেশ ও জীবন চলার পখের অনন্য দিক নির্দেশনা। এমনই একটি হাদীছ নিম্নে পেশ করা হ’ল।-হারেছ আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়
ছাহাবায়ে কেরাম ছিলেন হকের উপরে দৃঢ়চিত্ত। কখনো তাঁরা বাতিলের সাথে আপোষ করতেন না। জীবন দিয়ে হ’লেও তাঁরা বাতিল প্রতিরোধে সদা সোচ্চার থাকতেন। শক্তিধর ও প্রতাপশালী শাসকদের সামনে হক কথা বলতে তাঁরা কখনো ভীত হ’তেন না। ১ম খলীফা হযরত আবূবকর (রাঃ)-এর কন
মুহাম্মাদ (ছাঃ) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। তাঁর অনেক মু‘জিযা বা অলৌকিক ঘটনা ছিল। যা হাদীছের কিতাবে সংকলিত হয়েছে। এখানে ঐসব ঘটনার কয়েকটি পেশ করা হ’ল।-ইয়া‘লা ইবনু মুররাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ) থেকে এমন কিছু দেখেছি যা আম
ছাহাবায়ে কেরাম সুন্নাত প্রতিপালনে এবং বিদ‘আত প্রতিরোধে ছিলেন আপোষহীন। তাঁরা বিদ‘আতকে কখনও প্রশ্রয় দিতেন না। এমনই একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে নিম্নোক্ত হাদীছে।-আমর ইবনু ইয়াহ্ইয়া হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে তার পিতা হ’তে হাদীছ বর্ণনা করত
হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে সবার সাথে ভ্রাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার ফযীলত অসামান্য। এ নিন্দনীয় স্বভাব পরিহার করে উদার মানসিকতার অধিকারী হ’তে পারলে পরকালে জান্নাত লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ।-আনাস বিন মালেক (রাঃ) বর্ণন
আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন, আমরা একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে বসেছিলাম। এরই মধ্যে একজন লোক আগমন করল যার পরিধানে ছিল মীযান (এক প্রকার মাছ) রংয়ের জুববা। অতঃপর সে রাসূল (ছাঃ)-এর মাথা বরাবর দাঁড়িয়ে বলল, (হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আপনার-সাথী সঙ্গীগণ আ
প্রতিটি মানুষের দুনিয়াবী জীবনের নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। এ সময় শেষ হয়ে গেলে তার রূহ কবয করার জন্য ফেরেশতাগণ ও মালাকুল মউত আসেন। তারা মুমিন ও কাফের ব্যক্তির রূহ কিভাবে কবয করেন তার সবিস্তার বিবরণ এসেছে হাদীছে। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ-বারা
যুলুম-অত্যাচার কোন মানুষের কাম্য নয়। এর ফলাফল দুনিয়াতে যেমন ভাল হয় না, তেমনি পরকালে এর জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। যুলুম পরিহার করার জন্য কুরআন-হাদীছে বিভিন্ন নির্দেশ এসেছে। একে অপরের প্রতি যুলুম না করার নির্দেশ এসেছে নিম্নোক্ত হাদীছে।-আবূ যার গি
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যেসব সম্পদ রেখে গেছেন, সেগুলি ছাদাক্বা হিসাবে বায়তুল মালে জমা হয়েছিল। সে সম্পদের দাবী নিয়ে আলী ও আববাস (রাঃ) দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ)-এর নিকটে আসেন। তখন তিনি এ বিষয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে দেন। এ সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছটি-মালেক বিন
মুসলমানকে সালাম দেওয়া ইসলামের নির্দেশ। কিন্তু অমুসলিমকে আগে সালাম দেওয়া নিষেধ। একই বৈঠকে মুসলিম ও অমুসলিম সম্মিলিতভাবে থাকলে সালাম কিভাবে দিবে সে বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীছ।-উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত আছে, একবার নবী করীম (ছাঃ) এমন একটি গাধা
আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের উপরে ইবাদত ফরয করেছেন। ইবাদতের মধ্যে ছালাত-ছিয়াম ও দান-ছাদাক্বা গুরুত্বপূর্ণ। হাদীছে এ ইবাদতগুলির গুরুত্ব সম্পর্কে অসাধারণ দৃষ্টান্ত বর্ণিত হয়েছে। সে বিষয়ে নিম্নের হাদীছ-হারেছ আল-আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী
নবী করীম (ছাঃ)-এর সাহচর্য ও শিক্ষা লাভের মাধ্যমে ছাহাবীগণ হয়ে উঠেছিলেন নির্ভীক বীর সেনানীরূপে। লক্ষ্য ছিল তাদের জান্নাত, ব্রত ছিল ইসলামের বিজয় লাভ। ফলে অদম্য ঈমানী চেতনা নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে শত্রুদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ছিনিয়ে আনতেন ইসলামে
মহানবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আগমনের পর থেকে আসমানী খবর শুনতে শয়তানরা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এ সম্পর্কেই নীচের হাদীছ।-ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ছাঃ) ছাহাবীগণের একটি দলের সাথে উকায বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হ’লেন। তখন আসমানী খবর ও শয়তানদের মাঝে আড়
ছিফফীনের যুদ্ধে শালিস নিয়োগকে কেন্দ্র করে ৮ হাযার লোক আলী (রাঃ)-এর দল ত্যাগ করে চলে যায়। তারা হারূরা নামক স্থানে সমবেত হয়। তাদেরকে হারূরী বা খারেজী বলা হয়। তাদের দল ত্যাগ সম্পর্কে নিম্নের হাদীছ।-ওবায়দুল্লাহ বিন ইয়ায বিন আমর আল-ক্বারী বলেছেন,
মন্দের প্রতিকার মন্দ দিয়ে করা ইসলামের আদর্শ ও বিধান নয়। বরং সুন্দর ও উত্তম পন্থায় মন্দের প্রতিকার করাই ইসলামের নির্দেশ (মুমিনূন ২৩/৯৬; ফুচ্ছিলাত ৪১/৩৪)। তেমনি কোন ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দিলে তার প্রতিকার উত্তমরূপে ও সুকৌশলে করা উচিত। এ সম্প
মৃত্যুর মাধ্যমে মানুষের ইহকালীন জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। পরকালীন যাত্রা পথের প্রথম মনযিল হচ্ছে ‘কবর’। কবরে মানুষকে পৃথিবীর কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাসী মানুষ সঠিক ও সুন্দর উত্তর দিবে। ফলে তার কবর শান্
জিবরীল (আঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে অহী নিয়ে আসতেন। তিনি সরাসরি রাসূল (ছাঃ)-কে ছালাতের পদ্ধতি ও সময় সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তেমনি দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ও ছাহাবায়ে কেরামকে তিনি সরাসরি শিক্ষা দিয়েছেন। একদা দ্বীন শিক্ষা দিতে রাসূল (ছাঃ)-এর দরবারে তি
ছাহাবায়ে কেরামের আমলে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা পরবর্তীতে বিধান হিসাবে গণ্য হয়েছে। তন্মধ্যে নি‘আন অন্যতম। এখানে লি‘আন প্রবর্তনের ঘটনা সম্পর্কিত হাদীছ উল্লেখ করা হ’ল।- সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উয়াইমির (রাঃ) আছিম ইবনু আদির নিকট আসলেন। তি
রাসূল (ছাঃ) ও মুজাহিদদের সম্পদে তাদের জীবনে ও মৃত্যুর পরে আল্লাহ বরকত দান করেন। এ সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছ :আব্দুল্লাহ বিন যুবায়র (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, উষ্ট্র যুদ্ধের দিন যুবায়র (রাঃ) যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান গ্রহণ করে আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে তারা বসবাস করে। আবার তারা একে অপরের উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নির্ভরশীল ব্যক্তিকে উপকারীর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা উচিত। কোন মানুষ উপকার করলে তাকে প্রতিদান দেওয়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর আদর্শ ছিল। এ সম্পর্কেই
হাদীছের গল্প রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিভিন্ন সফরে ও বাড়ীতে থাকাবস্থায় ছাহাবায়ে কেরামের মাঝে খাদ্য-পানীয় বণ্টন করতেন। সেসময় তিনি সবার পরেই খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করতেন। এখান থেকে উম্মতের জন্য শিক্ষা যে, বণ্টনকারী পরেই গ্রহণ করবে। এ সম্পর্
মহানবী (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরে প্রথম খলীফা আবূবকর (রাঃ)-এর আপোসহীন ভূমিকার জন্য তিনি ইসলামের ত্রাণকর্তা হিসাবে খ্যাত। অত্যন্ত নরম দিলের অধিকারী এই মানুষটি দায়িত্বের ব্যাপারে যেমন সজাগ-সচেতন ও কঠোর ছিলেন তেমনি হাদীছ তথা রাসূলের নির্দেশ পালনে অত্য
এক সময় হাবশায় হিজরতকারী ছাহাবীগণ জানতে পারেন যে, মক্কার লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং মক্কা মুসলমানদের জন্য নিরাপদ। একথা শুনে ছাহাবীগণ মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু পথিমধ্যে জানতে পারেন যে, কুরাইশদের ইসলাম গ্রহণের খবর মিথ্যা। তখন তারা আত
নাওয়াস বিন সাম‘আন আল-কিলাবী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) একদা সকালে দাজ্জাল প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি তার ভয়াবহতা ও নিকৃষ্টতা তুলে ধরেন। এমনকি এতে আমাদের ধারণা সৃষ্টি হ’ল যে, সে হয়তো খেজুর বাগানের পাশেই বিদ্যমান। বর্ণনাকারী বলেন, আ
প্রত্যেক জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমার পূর্বেও কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি। অতএব তোমার মৃত্যু হ’লে তারা কি চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে? জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর আমরা তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থা
মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে মানুষকে সম্পদ দিয়েছেন। আর সেই সম্পদ থেকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সম্পদ ব্যয়ের মাধ্যমে আল্লাহর রেযামন্দী ও নৈকট্য লাভ করা যায়, হাছিল করা যায় অশেষ ছওয়াব। ছাদাকার অধিক হকদার কারা, এ সম্পর্কেই নিম্নোক
প্লেগ, বসন্ত প্রভৃতি মহামারী আক্রান্ত অঞ্চলে গমন করা এবং দুর্গত এলাকায় অবস্থান করলে সেখান থেকে বের হয়ে আসা নিষেধ। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ-ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) সিরিয়ার দিকে যাত্রা করলেন। অতঃপর যখন তিনি ‘সার্
শেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) এসেছিলেন মানবতার দিশারী হিসাবে। জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ ও জান্নাত লাভের পথ তিনি উম্মতকে সুস্পষ্টরূপে প্রদর্শন করে গেছেন। সাথে সাথে কোন কাজে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ রয়েছে, তাও তিনি জানিয়ে দিয়ে গেছেন। তেমনি একটি বিষয় হচ
মহান আল্লাহ জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করে জিবরীল (আঃ)-কে তা পরিদর্শন করতে পাঠান। তিনি দেখে এসে জান্নাত ও জাহান্নামের অবস্থা বর্ণনা করেন। সে সম্পর্কে একটি হাদীছ এবং জাহান্নামের কতিপয় শাস্তি সম্পর্কে একটি হাদীছ নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-আবু হুরায়রা
আল্লাহ ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করাকে পসন্দ করেন। তিনি বান্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের ওপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (যুমার ৩৯/৫৩)।
রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক স্বপ্নে দেখা একদল মানুষের বিবরণ আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ) ফজরের ছালাতের সময় আমাদের নিকটে এসে বললেন, গতরাতে আমি একটি সত্য স্বপ্ন দেখেছি। তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর। আমার নিকট দু’জন লোক এসে আমা