উত্তর : সূদের ক্ষেত্রে এর হার কম হোক বেশী হোক সবই সমান। সূদ প্রসঙ্গে ইসলামের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সূদের যে অংশ বাকী আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা প্রকৃত মুমিন হও। যদি তোমরা তা না করো তাহ’লে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষ হ’তে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে রাখ (বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯)। সূদের লেনদেন ও সূদের সাথে সংশ্রব রাখা প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, যারা সূদ খায়, সূদ দেয়, সূদের হিসাব লেখে এবং সূদের সাক্ষ্য দেয়, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের উপর লা‘নত করেছেন এবং অপরাধের ক্ষেত্রে এরা সকলেই সমান’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেন, ‘সূদের (পাপের) সত্তুরটি স্তর রয়েছে। যার নিম্নতম স্তর হ’ল মায়ের সাথে যেনা করার পাপ’ (ইবনু মাজাহ, হা/২২৭৪, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২৮২৬)। আব্দুল্লাহ ইবনে হানযালা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি যদি এক দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) রিবা বা সূদ জ্ঞাতসারে গ্রহণ করে, তাতে তার পাপ ছত্রিশ বার ব্যভিচার করার চেয়েও অনেক বেশী হয়’ (আহমাদ, মিশকাত হা/২৮২৫, সনদ ছহীহ)

আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সূদের দ্বারা সম্পদ যতই বৃদ্ধি পাক না কেন তার শেষ পরিণতি হ’ল নিঃস্বতা’ (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৮২৭, সনদ ছহীহ)। উক্ত হাদীছ সমূহ থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় সূদ ইসলামে সম্পুর্ণরূপে হারাম এবং এর শেষ পরিণতি নিঃস্বতা। তাই কম হোক বেশী হোক সকল প্রকার সূদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা একান্ত যরূরী।






প্রশ্ন (৪০/১২০) : মুহুরীর পেশা গ্রহণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : আরশ সম্পর্কে উমাইয়া বিন আবী সালতের যে কবিতা রাসূল (ছাঃ) সত্যায়ন করেছেন (رجل وثور ....إلا معذبة وإلا تجلد) বলে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (আহমাদ হা/২৩১৪, আবু ইয়া‘লা হা/২৪৮২)। হাদীছটির বিশুদ্ধতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩১/৩৫১) : প্রচলিত আছে যে, আরশের নীচে রাসূল (ছাঃ)-এর নাম লেখা ছিল। আদম (আঃ) ঐ নামের অসীলায় ক্ষমা পেয়েছিলেন। এ বক্তব্যের কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (১২/১২) : আমি একটি মসজিদের বেতনভুক মুওয়াযযিন। কিন্ত কর্মব্যস্ততার কারণে যোহর ও আছরের ছালাতে আযান দিতে পারি না। এজন্য আমি দায়ী হব কি? - -রফীকুল ইসলামবাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : জনৈক আলেম বলেন, সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে কিছু নারী। একথার সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২৬/১০৬) : রামাযানে হাফেয ছাহেবদের পিছনে ৩০ পারা কুরআন তেলাওয়াত শোনার জন্য ২০ রাক‘আত তারাবীহর জামা‘আতে শরীক হয়ে সুন্নাত হিসাবে ৮ রাক‘আত এবং নফল হিসাবে ১২ রাক‘আত করেছি। উক্ত নিয়ত বৈধ হবে?
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : মহিলাগণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে মহিলা ডাক্তার না পাওয়ায় পুরুষ ডাক্তারের নিকটে যাওয়ায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (২৮/৬৮) : সুন্নাত ছালাতের ক্বাযা যেকোন সময় পড়া যাবে কি? - -ছালেহা খাতুন, উত্তর দিনাজপুর, ভারত।
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮) : মায়ের হাতে বা পায়ে চুমু খাওয়া জায়েয হবে কি? - -আব্দুল হালীম, মালদ্বীপ।
প্রশ্ন (৩২/৩২) : ছালাতে কিংবা ছালাতের বাইরে হাই উঠলে করণীয় কি? ‘লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বা আসতাগফিরুল্লাহ’ বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : ফরয ছালাতে মাসবূক হিসাবে বাকী ছালাত আদায় করার সময় আমার দু’পাশে দু’জন মুছল্লী এসে আমার সাথে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করলে আমার জন্য করণীয় কি?
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : বিয়ের পূর্বে অবৈধ সম্পর্কের কারণে গর্ভে আসা সন্তান পরবর্তীতে সন্তান জন্মের পূর্বেই তাদের বিবাহ হয়ে থাকলে সন্তান কি উক্ত পিতার দিকে সম্পর্কিত হবে?
আরও
আরও
.