উত্তর : হযরত আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘এক রাত্রিতে আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বিছানায় না পেয়ে আমার হাত দিয়ে খুঁজতে থাকলাম। অতঃপর আমার হাত তাঁর দু’পায়ের উপর পতিত হয়। তখন তিনি সিজদারত ছিলেন এবং তাঁর পা দু’টি খাঁড়া ছিল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৩, ‘সিজদা ও সিজদার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ)। অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘এ সময় তাঁর গোড়ালীদ্বয় মিলানো ছিল এবং পায়ের অঙ্গুলি সমূহ কিবলার দিকে ছিল’ (মুস্তাদরাক হাকেম ১/৩৪০ পৃঃ, হা/৮৩২; ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/৬৫৪, ইবনু হিববান হা/১৯৩৩)। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি সাত অঙ্গের উপর সিজদা করতে আদিষ্ট হয়েছি। নাকসহ চেহারা, দু’হাত, দু’হাটু এবং দু’পায়ের আঙ্গুলসমূহের অগ্রভাগ’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮৮৭)। এখানে ‘দু’পায়ের আঙ্গুলসমূহের অগ্রভাগ’-এর ব্যাখ্যায় ছাহেবে মির‘আত বলেন, দু’পায়ের আঙ্গুলগুলি ক্বিবলামুখী থাকবে এবং দু’গোড়ালি খাড়া থাকবে’ (মির‘আত ৩/২০৪)। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, দু’গোড়ালীর মাঝে এক বিঘত ফাঁক থাকবে (নায়ল ৩/১২১)। মূলতঃ দাঁড়ানো অবস্থায় যেমন দু’পা ফাঁক থাকে, সিজদা অবস্থায়ও সেভাবে থাকবে এবং এটাই স্বাভাবিক অবস্থা। এক্ষণে ইবনু হিববান, ইবনু খুযায়মা ও হাকেম বর্ণিত আয়েশা (রাঃ)-এর দু’গোড়ালি মিলানো সম্পর্কে যে বর্ণনাটি এসেছে, সে সম্পর্কে ইমাম হাকেম বলেন, ‘এই হাদীছ ব্যতীত অন্য কোথাও কেউ গোড়ালী মিলানোর কথা বর্ণনা করেছেন বলে আমি জানি না (হাকেম ১/৩৫২)। তাই ছহীহ মুসলিম ও অন্যান্য হাদীছে আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত দু’গোড়ালি খাড়া রাখার হাদীছই অগ্রাধিকারযোগ্য। সর্বোপরি বিষয়টি মুস্তাহাব। অতএব খাড়া বা মিলানো যেভাবে সহজ হবে সেভাবেই রাখবে। এতে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।