উত্তর :
সবাই মুসলিম বলে নিজের পরিচয় দিলে কোন সমস্যা নেই। দাওয়াতী ক্ষেত্রে এটি
বেশ কার্যকরী। কিন্তু যেহেতু মাযহাবী পরিচয় দিয়ে বহু বিদ‘আতকে সমাজে চালু
রাখা হয়েছে। সেহেতু ছহীহ্ হাদীছের অনুসারী হিসাবে ‘আহলেহাদীছ’ নামটি
বৈশিষ্ট্যগত পরিচিতি হিসাবে বলা হয়ে থাকে। কারণ আহলেহাদীছ মুসলিমগণই হচ্ছেন
একমাত্র হক্বপন্থী দল। ক্বিয়ামত পর্যন্ত একটি দল হকেবর উপরে দৃঢ় থাকবে
মর্মে যে সকল ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহ মুসলিম হা/১৯২০’ ছহীহ তিরমিযী হা/২২২৯) সে দল সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণের বক্তব্য হল- তারা হলেন ‘আহলুল হাদীছ’।
উক্ত হক্বপন্থী দল কোনটি এর ব্যাখ্যায় ইয়াযীদ ইবনু হারূন বলেন, তারা যদি আহলুল হাদীছগণ না হন তাহলে আমি জানি না তারা কারা। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বলও একই কথা বলেছেন। আব্দুল্লাহ্ ইবনুল মুবারক বলেন, আমার নিকট এ হক্বপন্থী দলটি হচ্ছে আহলুল হাদীছ। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় আলী ইবনুল মাদীনী ও ইমাম বুখারীও একই কথা বলেন’ (দ্রঃ সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০-এর ব্যাখ্যা)। অতএব যারাই ছহীহ দলীল ভিত্তিক নিজেদের সার্বিক জীবন পরিচালনা করে তারাই আহলেহাদীছ। এটি বিদ‘আতীদের থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্যগত স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় মাত্র। যেমন কুরআনে মুহাজির ও আনছারদের স্ব স্ব বৈশিষ্ট্যগত নামে প্রশংসা করা হয়েছে (তওবা ১০০)। যদিও তারা উভয় দলই ‘মুসলিম’ ছিলেন।