উত্তর :
এগুলো ধর্মের নামে চালু হওয়া সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। রাসূল (ছাঃ) বা
ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন আমল পাওয়া যায় না। ছালাত দৈহিক ইবাদত। যা
জীবদ্দশায় যেমন কাউকে দেওয়া যায় না, মৃত্যুর পরেও তেমনি কাউকে দেওয়া যায়
না। বরং আমল যার, ফলাফল তার। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি নেক আমল করল, সেটি
তার নিজের জন্যই করল। আর যে ব্যক্তি মন্দ কর্ম করল, তার পাপ তার উপরেই
বর্তাবে’ (হা-মীম সাজদাহ/ফুছছিলাত ৪১/৪৬)। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘কেউ কারো পক্ষ থেকে ছিয়াম রাখতে পারে না বা ছালাত আদায় করতে পারে না’ (মুওয়াত্ত্বা হা/১০৬৯, পৃ. ৯৪; মিশকাত হা/২০৩৫)। কতিপয় বিদ্বান মৃত ব্যক্তিকে নফল ছালাতের ছওয়াব বখশানো যাবে বলে মনে করলেও তার পক্ষে কোনই দলীল নেই (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব)।
ইমাম নববী বলেন, ‘মাইয়েতের জন্য দো‘আ করা, ছাদাক্বা করা, হজ্জ করা ও তার ঋণ পরিশোধ করার ছওয়াব মাইয়েত পাবেন, এ ব্যাপারে সকল বিদ্বান একমত। তবে মাইয়েতের জন্য কুরআন পাঠ করা, ছালাত আদায় করা এবং এধরনের কোন দৈহিক সৎকর্ম করার বিষয়ে জমহূর বিদ্বানগণের মাযহাব হ’ল তার ছওয়াব মাইয়েতের নিকট পৌঁছবে না’ (মুসলিম শরহ নববী হা/১৬৩১-এর আলোচনা ১১/৮৫ পৃ.; বিস্তারিত দ্রঃ ‘কোরআন ও কলেমাখানী সমস্যা সমাধান’ বই ৯-১০ পৃ.)।