উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে পাত্র ও পাত্রী উভয়ের দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর সবকিছুই নির্ভর করবে পাত্র-পাত্রীর ব্যক্তিগত পসন্দের উপর। যদিও দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে দ্বীনদারীর পাশাপাশি অর্থ ও বংশ মর্যাদা দেখা দোষণীয় নয়। কারণ সাংসারিক জীবনে আর্থিক ও মর্যাদাগত তারতম্য বেশী হ’লে মনোমালিন্য সৃষ্টি হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন, তোমরা মুশরিক মেয়েদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। নিশ্চয়ই একজন ঈমানদার মেয়ে মুশরিক মেয়ের চেয়ে উত্তম। যদিও সে তোমাদেরকে মোহিত করে। তোমরা মুশরিক পুরুষদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। নিশ্চয়ই একজন ঈমানদার পুরুষ মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম...(বাক্বারাহ ২/২২১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, সাধারণত মেয়েদের চারটি গুণ দেখে বিবাহ করা হয় তার ধন-সম্পদ, বংশ-মর্যাদা, সৌন্দর্য এবং দ্বীন। তবে তোমরা দ্বীনদার মেয়েকে অগ্রাধিকার দাও। অন্যথায় তোমাদের উভয় হস্ত ধূলায় ধূসরিত হৌক (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩০৮২, ৩০৯০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচন কর এবং সমতা দেখে বিবাহ কর (ইবনু মাজাহ হা/১৯৬৮; ছহীহাহ হা/১০৬৭)। এই সমতা বলতে ধর্মীয় ও চারিত্রিক সমতা বুঝানো হয়েছে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৩৪/২৭১; ছহীহাহ অত্র হাদীছের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। আর পাত্রের ক্ষেত্রে তার দ্বীনদারী এবং উত্তম আচরণের দিকে লক্ষ্য করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যার দ্বীনদারী এবং উত্তম আচরণে তোমরা সন্তুষ্ট হও, তার সাথে বিবাহ দাও’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০)। এক্ষণে মেয়ের ধার্মিকতা থাকা সত্ত্বেও ছেলের পসন্দ না হ’লে অন্যত্র বিবাহের ব্যবস্থা করতে পারে। এতে কোন বাধা নেই।
প্রশ্নকারী : সাজিদুর রহমান, রাজশাহী।