উত্তর :
নির্দিষ্ট একটি দিনকে দলবদ্ধভাবে ছিয়াম পালনের জন্য নির্ধারণ করা মুসলিম
সমাজে অনুপ্রবিষ্ট নতুন একটি বিদ‘আত। এরূপ কোন উদাহরণ রাসূল (ছাঃ) ও সালাফে
ছালেহীনের যুগে খুঁজে পাওয়া যায় না। রাসূল (ছাঃ) দ্বীনের মধ্যে যে কোন
নতুন প্রথা উদ্ভাবনের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪০)।
সালাফে ছালেহীন কখনই নির্দিষ্ট একটি দিনকে দো‘আ দিবস বা ছিয়ামের জন্য এবং
নির্দিষ্ট একটি রাতকে নফল ছালাতের জন্য নির্ধারণ করেন নি কেবল শরী‘আত
অনুমোদিত নফল ছিয়ামসমূহ ব্যতীত। যেমন প্রতি মাসে আইয়ামে বীযের তিনটি ছিয়াম,
সোম ও বৃহস্পতিবারের ছিয়াম, আরাফার ছিয়াম, মুহাররমের নবম ও দশম তারিখের
ছিয়াম ইত্যাদি যা ছহীহ হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) জুম‘আর
দিনকে ছিয়ামের জন্য বা জুম‘আর রাতকে ক্বিয়ামের জন্য নির্দিষ্ট করতে নিষেধ
করে বলেন, ‘তোমরা রাত্রিগুলোর মধ্যে কেবল জুম‘আর রাতকে ক্বিয়ামুল লাইল এবং
জুম‘আর দিনটিকে ছিয়াম পালনের দিবস হিসাবে নির্দিষ্ট করো না। তবে নফল ছিয়াম
যা তোমরা নিয়মিত করে থাক তা ব্যতিত (যদিও তা জুম‘আর দিনে পড়ে যায়) (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৫২)।
এরপরেও যখন এগুলি রাজনৈতিক ফায়েদা হাছিলের উদ্দেশ্যে করা হয়, তখন তা আরও
জঘন্য বিদ‘আতে পরিণত হয়। হিজরী ৭ম শতকের শুরুতে ক্রুসেড যুদ্ধের সময় ইরাকের
এরবল প্রদেশের গভর্ণরের উদ্যোগে এভাবেই রাজনৈতিক ফায়েদা হাছিলের উদ্দেশ্যে
কথিত ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’র উদ্ভব ঘটে। অতএব ঈমানদারগণের জন্য এসব থেকে দূরে
থাকা কর্তব্য।