উত্তর : নিজেদের ইছলাহের জন্য উদাহরণ স্বরূপ অন্য কারু কোন ত্রুটির প্রসঙ্গ উঠে এলে এবং সেখানে কোন মন্দ উদ্দেশ্য না থাকলে সেটা গীবত হবে না। যেভাবে হাদীছের সনদ সমূহের ভাল-মন্দ যাচাই করা হয়ে থাকে। কপট উদ্দেশ্য থাকলে সেটা গীবত হবে। কারণ শরী‘আতে গীবত বলা হয়, কারু মধ্যে বিদ্যমান দোষ সম্পর্কে তার অগোচরে বলা, যা সে অপসন্দ করে (মুসলিম হা/২৫৮৯; মিশকাত হা/৪৮২৮)। গীবতকারীদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, ‘দুর্ভোগ ঐসব লোকদের জন্য, যারা সম্মুখে ও পশ্চাতে পরনিন্দা করে’ (হুমাযাহ ১০৪/১)। অন্য আয়াতে একে মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণের সাথে তুলনা করা হয়েছে (হুজুরাত ১২)। এক্ষণে সকলের জন্য আবশ্যক হবে কারু দোষ-ত্রুটি দৃষ্টিগোচর হলে নেকীর উদ্দেশ্যে একাকী তার ভুল ধরিয়ে দেওয়া অথবা তা গোপন রাখা। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, মুমিন তার ভাইয়ের আয়না স্বরূপ। যখন তার কোন দোষ দেখবে, (একে অপরকে) তা সংশোধন করে দেবে (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/২৩৮, সনদ হাসান)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে তার মুসলিম ভাইয়ের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন (বুখারী হা/২৪৪২, ইবনু মাজাহ হা/২৫৪৪)।