উত্তর : উক্ত কথা ভিত্তিহীন। আর হজ্জ বা ওমরাহ থেকে ফেরার পর বিশেষ কিছু পালনীয়ও নেই। তবে রাসূল (ছাঃ) হজ্জ বা ওমরা থেকে ফেরার সময় কিছু কাজ করতেন। যেমন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কোন যুদ্ধ, হজ্জ বা ওমরাহ হ’তে ফিরে আসতেন, তখন প্রতিটি উঁচু স্থানে তিনি তিনবার করে তাকবীর দিতেন। আর বলতেন, লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা শারীকা লাহূ লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর। আ-য়িবূনা, তা-য়িবূনা আ-বিদূনা সা-জিদূনা লিরাবিবনা- হা-মিদূনা। ছাদাকল্লা-হু ওয়া‘দাহু ওয়া নাছারা আবদাহূ ওয়া হাযামাল আহযা-বা ওয়াহদাহূ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সাম্রাজ্য তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর উপরই ক্ষমতাবান। আমরা প্রত্যাবর্তন করছি তওবাকারী, ইবাদতকারী, সিজদাকারী এবং আমাদের রবের প্রশংসাকারী হিসাবে। আল্লাহ তাঁর ওয়াদাকে সত্যে রূপান্তরিত করেছেন। তিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং শত্রুদের সমন্বিত শক্তিকে একাই পরাজিত করেছেন (বুখারী হা/৬৩৬৫; মুসলিম হা/২৪২৫)। এছাড়া হজ্জ বা ওমরা ফেরত ব্যক্তিকে অভ্যর্থনা জানানো যেতে পারে (বুখারী হা/১৭৯৮, ৩০৮২; মুসলিম হা/২৪২৮)। হজ্জ বা ওমরা সম্পন্নকারী ব্যক্তি বাড়িতে ফিরে আত্মীয়-স্বজন বা লোকদের খাওয়াতেও পারে (বুখারী হা/৩০৮৯; মিশকাত হা/৩৯০৫)।
প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেয, রাজশাহী।