উত্তর : দ্বীনের মৌলিক বিশ্বাস, বিধি-বিধান, হালাল-হারাম ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা সকল মুসলিমের জন্য ফরয (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৯১৩, ৩৯১৪)। দুনিয়ার জ্ঞান অর্জন যদি আখিরাতের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়, তাহ’লে সেটিও আল্লাহর ইবাদত হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিবসের আগমন-নির্গমনে জ্ঞানীদের জন্য (আল্লাহর) নিদর্শন সমূহ নিহিত রয়েছে’। ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও যমীনের সৃষ্টি বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে এবং বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি এগুলিকে অনর্থক সৃষ্টি করোনি। মহা পবিত্র তুমি। অতএব তুমি আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও!’ (আলে ইমরান ৩/১৯০-৯১)। আদম (আঃ), দাঊদ ও সুলায়মান (আঃ) এবং পরবর্তীতে বনু ইসরাঈলের নবীগণ সকলে স্ব স্ব সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন (বুখারী হা/৩৪৫৫, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৭৫)। অতএব শুধু রাষ্ট্র বিজ্ঞান নয় বরং বিজ্ঞানের সকল শাখায় বুৎপত্তি অর্জন করা মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। যদি সেখানে আল্লাহর সৃষ্টিতত্ত্ব গবেষণা ও তাঁর প্রতি আনুগত্য উদ্দেশ্য হয়, তাহ’লে সেটি ইবাদতে পরিণত হবে।  

প্রকৃত শিক্ষা হ’ল সেটাই, যা খালেক্ব-এর জ্ঞান দান করার সাথে সাথে ‘আলাক্ব-এর চাহিদা পূরণ করে। অর্থাৎ নৈতিক ও বৈষয়িক জ্ঞানের সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থাই হ’ল পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা। মানবীয় জ্ঞানের সম্মুখে যদি অহি-র জ্ঞানের অভ্রান্ত সত্যের আলো না থাকে, তাহ’লে যেকোন সময় মানুষ পথভ্রষ্ট হবে এবং বস্ত্তগত উন্নতি তার জন্য ধ্বংসের কারণ হবে (তাফসীরুল কুরআন ৩০তম পারা, সূরা ‘আলাক্বের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। অতএব দুনিয়া পরিচালনা বা আর্থিক চাহিদা মিটানোর জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ অন্য যেকোন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা বৈধ। যায়েদ বিন ছাবেত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে সুরিয়ানী ভাষা শিক্ষার জন্য আদেশ করেছিলেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, আমাকে ইহূদীদের কিতাব শিখতে বলা হয়েছিল (তিরমিযী হা/২৭১৫; মিশকাত হা/৪৬৫৯; ছহীহাহ হা/১৮৭)।







প্রশ্ন (৯/১৬৯) : মূসা (আঃ) সপরিবারে মিসরের পথে যাত্রাকালে যে আগুন দেখেছিলেন তা কি আসল আগুন ছিল?
প্রশ্ন (৩২/৪৭২): অল্প পরিমাণ অ্যালকোহল মিশ্রিত পেপসি, সেভেনআপ, কোকাকোলা, এনার্জি ডিংক্স প্রভৃতি কোমল পানীয় পান করা বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : সকল নবী-রাসূল কি হজ্জ পালন করেছেন?
প্রশ্ন (২০/৪৬০) : আমি সতের বছর যাবত জেলে ছিলাম। আমার স্ত্রী আমার নিকট তালাক না নিয়েই অন্যত্র বিবাহ করেছে। কিছুদিন পর উক্ত স্বামীও মারা যায়। এক্ষণে আমি জেল থেকে বের হ’লে আমি ও সে কিভাবে সংসার করতে পারব। ছহীহ হাদীছের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন। - -আব্দুর রঊফ, মোল্লাহাট, বাগেরহাট।
প্রশ্ন (১১/২৯১) : আমাদের মেডিকেল কলেজে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ক্লাস থাকায় প্রতিদিন যোহরের ছালাত দেরী করে পড়তে হয়। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -নূরুল ইসলাম, উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : মসজিদ আল্লাহর ঘর, তিনিই এর হেফাযত করে থাকেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা যুদ্ধের সময় দেখা যায় যে অনেক মসজিদও বিলীন হয়ে যায়। এর ব্যাখ্যা কী?
প্রশ্ন (২২/২২২) : আমরা দু’বন্ধু রিকশায় আরোহন করে যাচ্ছিলাম। আমার বন্ধুর নিকট লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিল। কৌতুহলবশতঃ হাতে নিয়ে দেখতে গিয়ে হঠাৎ করে একটি গুলি বের হয়ে যায় এবং রিক্সাচালকের গায়ে লেগে সে মারা যায়। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কোণাবাড়ী, গাযীপুর।
প্রশ্ন (১৩/৩৩৩) : আমার স্ত্রী নিজের ইচ্ছামত পর্দা করে। মাহরাম, গায়ের-মাহরামের ব্যাপারে কোন সাবধানতা অবলম্বন করে না। এ ব্যাপারে শারঈ বিধান বুঝাতে গেলে পরিবারে নানা অশান্তি সৃষ্টি করে। এক্ষণে শান্তি বজায় রাখার জন্য তাকে তার মত চলতে দিলে আমাকে দাইয়ূছ হিসাবে গোনাহগার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/১৫৭) : বিবাহের খুৎবা ঈজাব-কবুলের পরে হবে না আগে হবে? সম্মতি নেওয়ার জন্য পিতা ও সাক্ষীদেরকে মেয়ের কাছে যাওয়া কি শরী‘আতসম্মত?
প্রশ্ন (৯/২৪৯) : মসজিদের বারান্দার নীচে টয়লেটের হাউজ থাকলে উক্ত বারান্দায় ছালাত আদায় করা জায়েয হবে কি? - -মুহাম্মাদ মুহসিন, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (২৫/৩৪৫) : জুম‘আর খুৎবা চলাকালীন কোন কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে কী? - -মুবারক হোসাইন, ইশ্বরদী, পাবনা।
প্রশ্ন (২৮/৩৮৮) : রামাযান মাসে দিনের বেলা স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে কাফফারা দিতে হবে, না কেবল স্বামী দিলেই যথেষ্ট হবে? - আব্দুল্লাহ, ঢাকা।
আরও
আরও
.