
উত্তর
: মিথ্যা বলা মহাপাপ। ব্যবসা-বাণিজ্যে মিথ্যা বললে ও কোনরূপ প্রতারণার
আশ্রয় নিলে আল্লাহ তা থেকে বরকত উঠিয়ে নেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্রেতা ও
বিক্রেতা উভয়ের জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীনতা রয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না
তারা পৃথক হয়। যদি তারা সত্য বলে ও সবকিছু খুলে বলে, তাহ’লে তাদের ব্যবসায়ে
বরকত দেওয়া হবে। আর তারা যদি (দোষ-ত্রুটি) গোপন রাখে এবং মিথ্যা বলে,
তাহ’লে তাদের দু’জনের ব্যবসায়ে বরকত রহিত করা হবে (বুখারী হা/২০৭৯; মিশকাত হা/২৮০২)।
মিথ্যা শপথের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারীর সাথে আল্লাহ কথা বলবেন না, তাকে
পবিত্র করবেন না, তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না এবং তাদের জন্য
কঠিন শাস্তি রয়েছে (মুসলিম হা/১০৬; মিশকাত হা/২৭৯৫)।
এক্ষণে মিথ্যার মাধ্যমে যা সে উপার্জন করেছে তা প্রতারণা হিসাবে গণ্য হবে।
তার জন্য করণীয় হ’ল ক্রেতাকে মূল ক্রয়মূল্য জানিয়ে দেওয়া। এমতাবস্থায়
ক্রেতার ব্যবসায়ের চুক্তি বাতিল করার অধিকার থাকবে। যদি এটা সম্ভব না হয়
তাহ’লে প্রকৃত বাজারমূল্য যাচাই করে অতিরিক্ত লভ্যাংশ ক্রেতাকে ফেরত দিবে।
আর ক্রেতার পরিচয় না মিললে অতিরিক্ত লভ্যাংশ তার নামে দান করে দিবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৩৬; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৬/৩০৫; উছায়মীন, ৮/৩০২)। অতএব মিথ্যা বলে অতিরিক্ত গৃহীত লভ্যাংশ গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
প্রশ্নকারী : ফাহীম, সিলোনিয়া, ফেণী।