উত্তর : শিরক থেকে ক্ষমা চাওয়ার সময় শিরকের নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। বরং সামগ্রিকভাবে শিরকের গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য তওবা করতে হবে। মা‘ক্বিল বিন ইয়াসার (রাঃ) বলেন, আমি আবুবকর ছিদ্দীক (রাঃ)-এর সাথে নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। তিনি বললেন, হে আবুবকর! নিশ্চয়ই শিরক পিপীলিকার পদচারণা থেকেও সন্তর্পণে তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। আবুবকর (রাঃ) বলেন, কারো আল্লাহর সাথে অপর কিছুকে ইলাহরূপে গণ্য করা ছাড়াও কি শিরক আছে? রাসূল (ছাঃ) বলেন, সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ! শিরক পিপীলিকার পদধ্বনির চেয়েও সূক্ষ্ম। আমি কি তোমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিব না, যা তুমি বললে শিরকের অল্প ও বেশী সবই দূর হয়ে যাবে? অতঃপর তিনি বলেন, তুমি বলো,(اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لمِاَ لاَ أَعْلَمُ) ‘হে আল্লাহ! আমি সজ্ঞানে তোমার সাথে শিরক করা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৭১৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৭৩১)। ইবনুল কাইয়িম (রহঃ) বলেন, জানা ও অজানা সকল গুনাহ থেকে নাজাত পাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হ’ল আমভাবে তওবা করা। হ’তে পারে জানা অপেক্ষা তার অজানা গুনাহের পরিমাণ অধিক (মাদারিজুস সালেকীন ১/২৮৩)।