উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গুনাহ ও অন্যায়ের কাজে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)। সুতরাং যে যে অবস্থানে থাকুক না কেন, আল্লাহর বিধান মেনে অকল্যাণকর কাজ থেকে বিরত থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসনিক যে কোন বাহিনীতে উপরোক্ত নির্দেশনা মেনে দায়িত্ব পালন করা দুঃসাধ্য। সেকারণেই সম্ভবতঃ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, অবশ্যই তোমাদের উপরে এমন শাসকদের আগমন ঘটবে, যারা নিকৃষ্ট লোকদের কাছে টানবে এবং উত্তম লোকদের পিছনে সরিয়ে দিবে। তারা ছালাতকে তার ওয়াক্ত থেকে পিছিয়ে দেবে। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে পাবে, তারা যেন কখনোই তাদের গুপ্তচর, পুলিশ, কর আদায়কারী এবং রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত না হয়’ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪৫৮৬, মুসনাদে আবী ইয়া‘লা হা/১১১৫; ছহীহাহ হা/৩৬০)। অতএব বর্তমান দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনে এসব চাকুরী থেকে দূরে থাকাই উত্তম। 

‘শহীদ’ সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর  রাস্তায় নিহত হয়, সে শহীদ’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮১১, ‘জিহাদ’ অধ্যায়)। তিনি বলেন, যে আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার জন্য লড়াই করে, সেই-ই মাত্র আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮১৪)। সুতরাং যদি কেউ এসব বাহিনীতে চাকুরী করা সত্ত্বেও অমুসলিমদের আক্রমণ থেকে মুসলিম রাষ্ট্রকে রক্ষা করা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কেবল আল্লাহর কালেমা বা তাঁর বিধানকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে জীবন বিলিয়ে দেন, তিনি শহীদী মর্যাদা লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে কাউকে ‘শহীদ’ লকবে ভূষিত করার কোন সুযোগ নেই। ওমর ফারূক (রাঃ) বলেন, কেউ যুদ্ধে নিহত হলে বা মারা গেলে তোমরা বলে থাক ‘অমুক লোক শহীদ হয়ে গেছে’। তোমরা এরূপ বলো না। বরং ঐরূপ বলো যেরূপ রাসূল (ছাঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হ’ল বা মৃত্যুবরণ করল, সে ব্যক্তি শহীদ’ (আহমাদ হা/২৮৫, ১০৭৭২)






প্রশ্ন (১৬/৯৬) : নারী-পুরুষের ছালাতের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
প্রশ্ন (১৩/৩৭৩) : আদম (আঃ)-কে সৃষ্টির পর আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ দেন আদমকে সিজদা করার জন্য। প্রশ্ন হ’ল, আল্লাহ আদমকে কেন সিজদা করার নির্দেশ দিলেন?
প্রশ্ন (৩৫/৪৩৫) : আমরা সিঙ্গাপুরে কাজ করি। সেখানে জুম‘আর দিনে ছুটি নেই। খুব অল্প সময়ের জন্য ছুটি দেওয়া হয়। মসজিদে গেলে সময় থাকে না। আমরা যেখানে কাজ করি সেখানে সবাই মিলে আযান দিয়ে জুম‘আ আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৫/১৬৫) : মূখের দুই চোয়ালের লোম কি দাড়ির অন্তর্ভুক্ত? - -আব্দুল হামীদ, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৫/১৬৫) : পাগড়ীর ন্যায় টুপির উপরও মাসাহ করা যাবে কী? - -ইব্রাহীম হোসাইনতেরখাদিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৮/৪৪৮) : জনৈক বক্তা জুম‘আর খুৎবায় বলেন, ছাহাবী আবু ছা‘লাবা সম্পদ বৃদ্ধির কারণে জামা‘আতে ছালাত ত্যাগ করেছিলেন এবং তিনি যাকাত দিতেও অস্বীকার করেছিলেন। এ ঘটনা কতটুকু সত্য?
প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : বিড়াল কিছু অংশ ভক্ষণ করলে বাকী খাবার খাওয়া জায়েয হবে কি? - -আবু জা‘ফরবড়াইগ্রাম, নাটোর।
প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : দাস প্রথা কি শরী‘আত সম্মত? এর হুকুম কি মানসূখ হয়ে গেছে?
প্রশ্ন (৩৮/২৩৮) : ফজর ছালাতের সুন্নাত আদায় না করে জামা‘আতে শরীক হওয়া যাবে কি? জনৈক ব্যক্তি বলেছেন সুন্নাত আদায় করে জামা‘আতে শরীক হ’তে হবে। অন্যথা সূর্যোদয়ের পরে সুন্নাত পড়তে হবে। এ বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৭/৩০৭) : আমার দুই জায়গায় বাসা রয়েছে। আমি কর্মস্থলে এক সপ্তাহ থেকে বৃহস্পতি ও শুক্রবার পরিবারের নিকট ফিরে যাই। এক্ষণে আমি গৃহে কছর ছালাত আদায় করতে পারব কি? - -ওয়াহীদুযযামান, সাহেব বাজার, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪০/২০০) : মানুষের মৃত্যুর পর বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন, সন্তান-সন্তুতি, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আগমনের অপেক্ষায় লাশ বিলম্বে দাফন করা শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (১২/১৩২) : আমাদের এলাকায় প্রায় মসজিদের ইমামগণ ছালাত শেষে মুছল্লীদেরকে নিয়ে গোল হয়ে বসেন। বিভিন্ন রকমের দরূদ পড়ে থাকেন। যেমন- বালাগাল উলা, ছাল্লাল্লাহু, ইয়া মুহাম্মাদ, ইয়া রাসূলুল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ইত্যাদি। এসব দরূদ পড়া কি জায়েয।
আরও
আরও
.