উত্তর : নাঊযুবিল্লাহ! ইমাম বুখারী (রহঃ)-কে কাফের আখ্যায়িত করার প্রশ্নই  আসে না।  আলবানীসহ সকল যুগের  বিদ্বানগণের নিকট ইমাম বুখারী (রহঃ) পরম শ্রদ্ধার পাত্র। মূলতঃ বিষয়টি যে প্রসঙ্গে উত্থাপিত হয়েছে তা হ’ল, আল্লাহর বাণী  ‘সব কিছুই ধ্বংস হবে তাঁর চেহারা ব্যতীত’ (ক্বাছাছ ৮৮) আয়াতের ব্যাখ্যায় ‘ইল্লা ওয়াজহাহু’ (তাঁর চেহারা ব্যতীত)-এর অর্থ ইমাম বুখারী (রহঃ) ‘তাঁর রাজত্ব’ করেছেন (বুখারী ৬/১১২, সূরা ক্বাছাছের আলোচনা)। যা বাহ্যদৃষ্টিতে তা’বীল মনে হয়। এর উত্তর হ’ল, প্রথমতঃ ছহীহ বুখারীর নাসাফী বর্ণিত নুসখা মোতাবেক তাফসীরটি ইমাম বুখারীর নয়, বরং মা‘মারের (ফাৎহুল বারী ৮/৫০৫)। দ্বিতীয়তঃ এটি যদি তাঁর নিজের বক্তব্যও হয়ে থাকে, তবে তাঁর উদ্দেশ্য আল্লাহর ছিফাতের তা’বীল করা নয়, বরং লাযেম দ্বারা মালযূম উদ্দেশ্য। অর্থাৎ আল্লাহর চেহারা বাকী থাকার অর্থ আল্লাহর সত্তা এবং তাঁর রাজত্ব বাকী থাকা। সালাফে ছালেহীন কখনও কখনও এমন সম্পূরক তাফসীর করতেন, যা মূলতঃ তা’বীল নয় এবং পরস্পর বিরোধীও নয় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমু‘ ফাতাওয়া ৬/৩৯০)। আর ইমাম বুখারী (রহঃ) যে সালাফে ছালেহীনের মতই আল্লাহর বিভিন্ন ছিফাতে বিশ্বাস করতেন, তার প্রমাণ ছহীহ বুখারীর বিভিন্ন অধ্যায়েই রয়েছে। যেমন, باب (قُلْ أَىُّ شَىْءٍ أَكْبَرُ شَهَادَةً قُلِ اللهُ). وَسَمَّى اللهُ تَعَالَى نَفْسَهُ شَيْئًا. وَسَمَّى النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم الْقُرْآنَ شَيْئًا وَهْوَ صِفَةٌ مِنْ صِفَاتِ اللهِ. وَقَالَ (كُلُّ شَىْءٍ هَالِكٌ إِلاَّ وَجْهَهُ) (বুখারী ৯/১২৪)। সুতরাং এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই। শায়খ আলবানীকে ইমাম বুখারীর উক্ত তাফসীর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হ’লে, তিনি বিদ্বানসূলভ জাযবায় বলেছিলেন যে, ‘এরূপ কথা কোন মুমিন মুসলমান বলতে পারে না’। কিন্তু পরক্ষণেই তিনি এমন তাফসীর ইমাম বুখারীর নিজস্ব কি-না তাতে সংশয় প্রকাশ করে বলেন,المهم أن ننزه الإمام البخاري أن يؤول هذه الآية وهو إمام في الحديث وفي الصفات وهو سلفي العقيدة والحمد لله ‘মূলকথা হ’ল, আমরা ইমাম বুখারী এই আয়াতের তা’বীল করেছেন- এমন ধারণা থেকে তাঁকে মুক্ত করতে চাই। কেননা তিনি হাদীছের ইমাম এবং আল্লাহর ছিফাতের ক্ষেত্রে তিনি সালাফে ছালেহীনের আক্বীদা পোষণকারী আলহামদুলিল্লাহ (মওসূ‘আতুল আলবানী ফিল আক্বীদাহ ৬/৩২৬, সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, ক্যাসেট নং ৭৩৮)। সুতরাং শায়খ আলবানী ইমাম বুখারীকে কাফের বলেছেন, একথা নিতান্তই ভিত্তিহীন এবং অপবাদ মাত্র।   






প্রশ্ন (১১/১৭১) : দো‘আ করার সময় যমীর পরিবর্তন বা সামান্য পরিবর্তন করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৭/২০৭) : জামা‘আতে ছালাত রত অবস্থায় ওযূ নষ্ট হয়ে গেলে করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৪/২৭৪) : কোন মুসলিম ব্যক্তি মারা যাওয়ার খবর শুনলে ইন্নালিল্লাহি..., আর কোন অমুসলিম মারা যাওয়ার সংবাদে ‘ফী নারে জাহান্নাম’ বলতে হবে কি? - -যাকির হোসাইনবাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৩/২৯৩) : আমি যেখানে চাকুরী করি, সেই কোম্পানীরই ডরমেটরীতে থাকি। কোম্পানী করোনা ভাইরাসের জন্য বন্ধ করে দিলে বাড়ি যেতে পারব কি? এটা হাদীছ বিরোধী কাজ হবে কি? - -নক্বীব হোসাইন, সাহেব বাজার, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১০/১৭০) : পৃথিবী ব্যতীত সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে ইসলাম কি বলে?
প্রশ্ন (৩৮/৩৯৮) : হোদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসূল (ছাঃ) মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ কেটে দিয়ে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ লেখার মাধ্যমে নবুঅতের দাবী থেকে সরে এসেছিলেন কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যতে মক্কা বিজয়ের লক্ষ্যে। বর্তমানে এ লক্ষ্যেই কি গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা উচিৎ হবে না?
প্রশ্ন (৩৫/১৯৫) : আমার স্ত্রীর জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা অনেক বেশী। ৩য় সিজার হওয়ার পর আবারও সিজার করতে হ’লে জীবনের ঝুকি আছে বলে চিকিৎসক ৩য় সিজারের সময় জরায়ু কেটে ফেলতে চান। ফলে সে আর কখনো মা হ’তে পারবে না। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : দাঁড়িয়ে, মাজা হেলিয়ে এবং খালি গায়ে ওযূ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/১৯) : স্বামী বা স্ত্রীর কেউ যদি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে, তবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে কি? এরূপ ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর করণীয় কি?
প্রশ্ন (২০/৩০০) : অফিসের কোন কাজে পাঠালে খুব অল্প খরচে যাওয়া-আসা করে খরচ হিসাবে অফিস থেকে সিএনজি বা উবারের ভাড়ার ভাউচার দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১১/৩৭১) : মাসিক অবস্থায় সহবাসের মাধ্যমে আমি গর্ভবতী হয়েছি। স্বামী বলছেন, এ অবস্থায় সহবাসে গর্ভধারণ করলে তৃতীয় লিঙ্গের বাচ্চা হয়। তাই গর্ভপাত করতে হবে। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৫/১৫) : আমি সরকারী চাকুরীজীবি। আমাদের অফিস থেকে মসজিদ, কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান ইত্যাদির ধর্মীয় অবকাঠামো নির্মাণ করার নির্দেশনা ও ব্যয়ভার বহন করতে হয়। যার জন্য আমাকে ফাইলে স্বাক্ষর করতে হয়। এক্ষেত্রে আমি গোনাহগার হব কি? - -শফীকুল ইসলাম, ঢাকা।
আরও
আরও
.