উত্তর : যদি বিচারক হিসাবে হককে হক হিসাবে আর বাতিলকে বাতিল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা, হককে তার প্রাপকের নিকটে পৌঁছে দেয়ার এবং মযলূমকে সাহায্য করার সুযোগ থাকে এবং তা বাস্তবায়ন করা যায়, তাহ’লে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে শরী‘আতে বাধা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও আল্লাহভীরুতার কাজে পরস্পরকে সাহায্য করো এবং পাপ ও অবাধ্যতার কাজে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/০২; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৯/২৩১; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১১/৬০৯-৬১০)। আর বৃটিশ আইন প্রচলনের দায়ভার বর্তাবে সরকারের উপর। যতদিন ইসলামী আইনের বিপরীতে তা চালু থাকবে, ততদিন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলগণ পাপী হ’তে থাকবে। কেননা আল্লাহর বিধানের বিপরীতে অন্যের বিধান কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয় (ইউসুফ ৪০, মায়েদাহ ৫০ প্রভৃতি)।
সুতরাং যিনি বিচারক হিসাবে কাজ করবেন তার আবশ্যিক দায়িত্ব হবে সত্যের সাক্ষ্য দেয়ার পাশাপাশি নিজ অবস্থানে থেকে ইসলামী আইনের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করা এবং ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক আইনগুলো পরিবর্তনের চেষ্টা করা। এটা তার ঈমানী দায়িত্ব (মুসলিম হা/৪৯; মিশকাত হা/৫১৩৭)। এতদ্ব্যতীত প্রচলিত আইনের সবকিছুই যে শারঈ আইনের বিরোধী, তা নয়। যেমন সিভিল আইন, মুসলিম পারিবারিক আইন, দন্ডবিধি ও কিছাছ ব্যতীত ফৌজদারী আইনের অন্যান্য ধারা প্রভৃতি। সুতরাং একজন আল্লাহভীরু বিচারক সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং আল্লাহর আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে এ পেশায় জড়িত থাকতে পারেন।
প্রশ্নকারী : বেলাল হোসাইন, গাইবান্ধা।