উত্তর :
দ্বীন শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে মুছল্লীদের পরামর্শক্রমে উক্ত আলোচনার
ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সুতরাং কারো ব্যস্ততা থাকলে তিনি মসজিদের বারান্দায়
সুন্নাত পড়তে পারেন অথবা বাড়ীতে গিয়ে পড়তে পারেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৬০; মুসলিম, মিশকাত হা/১২৯৭)।
তবে যারা ‘মাসবূক’ অর্থাৎ পুরো জামা‘আত পাননি, তাদের ব্যাপারে অবশ্যই
খেয়াল রাখতে হবে। এ ধরনের আলোচনা বিদ‘আত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বরং নিয়মিত
করাটাই আবশ্যিক। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই
ব্যক্তি, যে নিজে কুরআন শিখে ও অন্যকে শিখায়’ (বুখারী, মিশকাত হা/২১০৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঐ আলেমকে উত্তম বলেছেন, যিনি ফরয ছালাতের পর বসে মুছল্লীদের দ্বীন শিক্ষা দেন (দারেমী, মিশকাত হা/২৫০)। এছাড়া সপ্তাহে জুম‘আর দিন অথবা ১, ২, বা ৩ দিন নিয়মিত তা‘লীমী বৈঠক করার ব্যাপারে ইবনু আববাস (রাঃ) নির্দেশ দিতেন (বুখারী, মিশকাত হা/২৫২)। ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) প্রতি বৃহস্পতিবার তা‘লীমী বৈঠক করতেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০৭)।