উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাড়ি ছাটতেন এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। ছহীহ বুখারীতে থাকার প্রশ্নই আসে না। বরং উম্মতের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা হ’ল, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বুখারী হা/৫৮৯২; মিশকাত হা/৪৪২১)। তিনি দাড়ি ছাটতেন মর্মে তিরমিযীতে যে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে তা জাল বা মিথ্যা (যঈফ তিরমিযী হা/২৭৬২; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮৮, ১/৪৫৬ পৃঃ)। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, وَاعْلَمَ أَنَّهُ لَمْ يَثْبُتْ فِيْ حَدِيْثٍ صَحِيْحٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الأَخْذُ مِنَ اللِّحْيَةِ لاَ قَوْلاً ... وَلاَ فِعْلاً ‘জেনে রাখ হে পাঠক! দাড়ি ছাটার পক্ষে রাসূল (ছাঃ) থেকে একটি ছহীহ হাদীছও সাব্যস্ত হয়নি। না তার কথা দ্বারা ... না তার কাজ দ্বারা’ (আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ ৫/৩৭৬ পৃঃ, হা/২৩৫৫)

উল্লেখ্য, ইবনু ওমর (রাঃ) যখন হজ্জ বা ওমরাহ করতেন, তখন তিনি তাঁর দাড়ি মুষ্টি করে ধরতেন এবং মুষ্টির বাইরে যতটুকু বেশী থাকত, তা কেটে ফেলতেন (বুখারী হা/৫৮৯২, পোষাক’ অধ্যায়-৮০, অনুচ্ছেদ-৬২)। বর্ণনাটি মুসলিমেও আছে বলে উল্লেখ করেছেন। মূলতঃ মুসলিমে নেই।

প্রথমতঃ এটি তার ব্যক্তিগত আমল। অন্য কোন ছাহাবী এমনটি করেছেন মর্মে দলীল পাওয়া যায় না। আর তিনি কাউকে করার জন্য নির্দেশও দেননি। দ্বিতীয়তঃ তিনি শুধু হজ্জ ও ওমরার সময় করেছেন। তৃতীয়তঃ ছাহাবীর আমল রাসূলের আমল নয়। চতুর্থতঃ এটি ব্যাখ্যাগত বিষয় যা স্পষ্ট দলীলের কাছে টিকে না। তিনি হয়ত উক্ত মৌসুমে মাথা কামিয়ে ও দাড়ি ছেটে উভয় নেকী পেতে চেয়েছেন (হজ্জ ২৯; ফাতহ ২৭)। তবে জানা উচিত, উক্ত আয়াত রাসূলের উপরই নাযিল হয়েছে। কিন্তু তিনি দাড়ি ছাটার কথা বলেননি।

এই মতানৈক্যের ঊর্ধ্বে থেকে একনিষ্ঠ মুমিনকে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতিষ্ঠিত সুন্নাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। যা ইবনু ওমরের বক্তব্য দ্বারাই প্রমাণিত হয়। ওমর (রাঃ)-এর আমলের সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর আমলের দ্বন্দ্ব হলে ইবনু ওমরকে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি উত্তরে বলেন, أَفَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَقُّ أَنْ تَتَّبِعُوا سُنَّتَهُ أَمْ سُنَّةَ عُمَرَ ‘তোমাদের জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত অধিক অনুসরণযোগ্য না ওমরের সুন্নাত’ (মুসনাদে আহমাদ হা/৫৭০০; তিরমিযী হা/৮২৪, ‘হজ্জ’ অধ্যায়, ‘তামাত্তু’ অনুচ্ছেদ, সনদ ছহীহ)

শায়খ আলবানী (রহঃ)-কে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হ’লে তিনি বলেন, الذي نختاره القبضة والمسألة فيها نظر والأحسن اتباع السنة على كل حال ‘আমরা পসন্দ করি তা হল এক মুষ্টি। তবে উক্ত মাসআলাতে ত্রুটি রয়েছে। কারণ সর্বাধিক উত্তম হ’ল সর্বাবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের অনুসরণ করা’ (দুরূসুন লিশ শায়খ আলবানী, পৃঃ ১১)






বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
প্রশ্ন (৮/১২৮) : মাগরিবের ছালাতের অল্প সময় পূর্বে মসজিদে উপস্থিত হয়ে সমবেত মুছল্ল­ীদের উপবিষ্ট দেখা যায়। এমতাবস্থায় কি দু’রাক‘আত ছালাত পড়ে বসতে হবে, না দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতে হবে?
প্রশ্ন (১/২৮১): আদম ও হাওয়া (আঃ)-কে যখন পৃথিবীতে পাঠানো হয় তখন তারা কোন স্থানে অবতরণ করেন?
প্রশ্ন (১৮/১৩৮) : বিবাহের পূর্বে পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে পাত্র পক্ষ থেকে কোন কোন পুরুষের জন্য পাত্রী দেখার অনুমোদন রয়েছে? - -আবুবকর ছিদ্দীক, হারাগাছ, রংপুর।
প্রশ্ন (৩২/২৩২) : কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা নিজেকে বুঝাতে কোন স্থানে ‘আমি’ আবার কোন স্থানে ‘আমরা’ ব্যবহার করেছেন। এরূপ করার কারণ কি?
প্রশ্ন (৯/১৬৯) : শরী‘আতে তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব কার? বিশেষত পিতা-মাতার অবর্তমানে সে কারু নিকটে ভরণ-পোষণের খরচ পাওয়ার অধিকার রাখে কি? - -আয়েশা বেগম, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (৩৫/১১৫) : সাধারণ বা আরবী শিক্ষারত অধিকাংশ শিক্ষার্থী মনে করে জীবিকা নির্বাহ তথা অর্থ উপার্জনের জন্যই তাদের এ পরিশ্রম। এক্ষণে শারঈ দৃষ্টিকোণ থেকে পড়াশুনার মূল উদ্দেশ্য কি হওয়া যরূরী?
প্রশ্ন (৭/৩৬৭) : ইবনু ছাইয়াদকে রাসূল (ছাঃ) দাজ্জাল বলে সন্দেহ করার কারণ কি? তাহ’লে দাজ্জাল কি পূর্ব থেকেই জীবিত না কি শেষ যামানায় জন্ম লাভ করবে?
প্রশ্ন (৩৮/৩৯৮) : জনৈক আলেম বলেন, জানাযার ছালাতে লোকসংখ্যা বেশী হওয়া মৃত ব্যক্তির জন্য অধিক মঙ্গলজনক। একথা কি সঠিক? - মাহফূযুর রহমান, গাবতলী, বগুড়া।
প্রশ্ন (৪/৩৬৪) : কোন কোন পরিস্থিতিতে একজনের ছিয়াম অন্যজন রেখে দিতে পারবে?
প্রশ্ন (৩৩/৩৫৩) : হযরত আদম (আঃ)-কে মোহর ব্যতীত বিবি হাওয়াকে স্পর্শ করতে দেওয়া হয়নি। নবী (ছাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠই ছিল তাঁর জন্য মোহরস্বরূপ। এ বক্তব্যের কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (২২/৩৪২) : কোন অমুসলিম ব্যক্তির জন্য মুসলিম হওয়ার আগে কিছু করণীয় আছে কি? কী কাজ করলে সে মুসলিম হতে পারবে?
প্রশ্ন (২৭/১৪৭) : কুরআন মাজীদ মুখস্থ পড়ায় এক হাযার এবং দেখে পড়ায় দুই হাযার নেকী হয়। এর সত্যতা আছে কি? - -মহীউদ্দীন, তালা, সাতক্ষীরা।
আরও
আরও
.