উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাতের গুরুত্ব অত্যধিক। আল্লাহ বলেন, ‘আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করবে। এটি তোমার জন্য অতিরিক্ত। নিঃসন্দেহে তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উঠাবেন’ (ইসরা ১৭/৭৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম ছালাত হ’ল ‘রাতের ছালাত’ অর্থাৎ তাহাজ্জুদ বা তারাবীহর ছালাত (মুসলিম হা/১১৬৩; মিশকাত হা/২০৩৯)। বেলাল (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা রাতের ছালাত আদায় কর। কারণ এটা তোমাদের পূর্বেকার নেককার লোকদের অনুসৃত নিয়ম, তোমাদের প্রভুর নৈকট্য লাভের উপায়, গোনাহ থেকে পরিত্রাণের মাধ্যম এবং পাপমোচনকারী’ (হাকেম হা/১১৫৬; তিরমিযী হা/৩৫৪৯; মিশকাত হা/১২২৭)। রাতের ছালাত নিয়মিত পড়াই উত্তম। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তোমরা রাতের ছালাত ছেড়ে দিয়ো না। কারণ রাসূল (ছাঃ) এ ছালাত ছাড়তেন না। যখন তিনি অসুস্থ বা দুর্বল বোধ করতেন তখন তা বসে আদায় করতেন (আহমাদ হা/২৬১৫৭; আবুদাঊদ হা/১৩০৭, সনদ ছহীহ)। এছাড়া আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল তাই, যা অল্প হ’লেও নিয়মিত করা হয় (বুখারী হা/৬৪৬৫; মুসলিম হা/৭৮৩; মিশকাত হা/১২৪২)। তবে ‘তাহাজ্জুদ শুরু করলে আর ছাড়া যাবে না এবং ছাড়লে গুনাহ হবে’ মর্মে প্রচলিত কথাটি ভিত্তিহীন। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়।