উত্তর : যে সকল আয়াতের জবাব দেওয়ার ব্যাপারে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। তা নিম্নরূপ-
(১) সূরা আ‘লা-তে ‘সাবিবহিস্মা রবিবকাল আ‘লা’-এর জওয়াবে ‘সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা’ (মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক, যিনি সর্বোচ্চ) (আহমাদ, আবূদাঊদ হা/৮৮৩, মিশকাত হা/৮৫৯)।
(২) সূরা ক্বিয়ামাহ-এর শেষ আয়াতের জওয়াবে ‘সুবহা-নাকা ফা বালা’ (মহাপবিত্র আপনি! অতঃপর হ্যাঁ, আপনিই মৃতকে জীবিত করার ক্ষমতা রাখেন) (বায়হাক্বী, আবূদাঊদ হা/৮৮৪)।
(৩) সূরা গাশিয়া-র শেষে ‘আল্লা-হুম্মা হা-সিবনী হিসা-বাঁই ইয়াসীরা’ বলে প্রার্থনা করা (অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি সহজভাবে আমার হিসাব গ্রহণ কর’) (আহমাদ, মিশকাত হা/৫৫৬২, সনদ হাসান)। হাদীছে নির্দিষ্ট কোন সূরার নাম বলা হয়নি। তবে অর্থের বিবেচনায় এখানে অত্র দো‘আ পাঠ করা হয়ে থাকে। অন্য আয়াতে পরকালীন হিসাব গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা আসলে সেখানেও এ দো‘আ পড়া যাবে।
(৪) সূরা রহমান-য়ে ‘ফাবি আইয়ে আ-লা-য়ে রবিবকুমা তুকায্যিবা-ন’-এর জওয়াবে ‘লা বিশাইয়িম মিন নি‘আমিকা রববানা নুকায্যিবু ফালাকাল হাম্দ’ (হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার কোন একটি নে‘মতকেও আমরা অস্বীকার করি না। অতঃপর তোমার জন্যই সকল প্রশংসা) (তিরমিযী হা/৩২৯১; মিশকাত হা/৮৬১; ছহীহাহ হা/২১৫০)।
উল্লেখ্য যে, (ক) সূরা তীন-এর শেষে ‘বালা ওয়া আনা ‘আলা যা-লিকা মিনাশ শা-হেদীন’ এবং (খ) সূরায়ে মুরসালাত-এর শেষে ‘আ-মান্না বিল্লাহ’ বলার হাদীছ ‘যঈফ’ (আবূদাঊদ হা/৮৮৭, মিশকাত হা/৮৬০)। (গ) সূরা বাক্বারাহর শেষে ‘আমীন’ বলার হাদীছ ‘যঈফ’ (তাফসীর ইবনে জারীর হা/৬৫৪১)। (ঘ) সূরা মুল্কের শেষে দো‘আ পাঠের কোন ভিত্তি নেই। ছালাতের মধ্যে হৌক বা বাইরে হৌক, কুরআন পাঠকারীর জন্য উপরোক্ত আয়াত সমূহের জওয়াব দেওয়া মুস্তাহাব (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৬৬; দ্র. ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) সংশ্লিষ্ট অধ্যায়)।
প্রশ্নকারীঃ ইউনুস আকন্দ, কেশরহাট, রাজশাহী।