উত্তর : মুযদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব (নববী, আল-মাজমূ৮/১৩৪, ১৫০; বিন বায, মাজমূফাতাওয়া ১৭/২৭৭; উছায়মীন, মাজমূফাতাওয়া ২৩/৫১)। হাজীগণ মুযদালিফায় মাগরিব ও এশার ছালাত জমা‘ ও তাখীর করে আদায় করবেন। অতঃপর রাতে অবস্থান করে ফজরের ছালাত আদায় করে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর যখন তোমরা আরাফাত থেকে (মিনায়) ফিরবে, তখন (মুযদালিফায়) মাশ‘আরুল হারামে পৌঁছে আল্লাহকে স্মরণ কর’ (বাক্বারাহ ২/১৯৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের সাথে ফজরের ছালাতে উপস্থিত হয়েছে এবং প্রস্থান করা পর্যন্ত আমাদের সাথে অবস্থান করেছে। আর এর পূর্বে আরাফাতে রাতে বা দিনে অবস্থান করেছে, সে তার হজ্জ পূর্ণ করে নিয়েছে’ (তিরমিযী হা/৮৯১; ইরওয়া হা/১০৬৬, সনদ ছহীহ)। রাসূল (ছাঃ)-এর হজ্জের পদ্ধতিতে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, তিনি মুযদালিফায় মাগরিব ও এশার ছালাত আদায় করেছেন এবং সেখানে রাত্রি যাপন করেছেন। অতঃপর ফজরের ছালাত আদায় করে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন (মুসলিম হা/১২১৮; ইরওয়া হা/১০৭৫)। তবে দুর্বল পুরুষ বা নারীরা মধ্যরাতের পর মিনায় চলে যেতে পারে। যাতে সকালের ভিড়ের পূর্বে পাথর মারার কাজ সম্পন্ন করে নিতে পারে (বুখারী হা/১৬৭৬, ১৬৭৯)। এক্ষণে কোন ব্যক্তি যদি মুযদালিফায় অবস্থান না করে মধ্য রাতের পূর্বেই মিনার নির্ধারিত স্থানে অবস্থান গ্রহণ করে তাহ’লে ওয়াজিব ত্যাগ করার কারণে তাকে দম বা কুরবানী দেওয়ার মাধ্যমে কাফফারা আদায় করতে হবে (দারাকুৎনী হা/২৫৩৪; ইরওয়া হা/১১০০; বিন বায, মাজমূফাতাওয়া ১৭/২৭৭)

প্রশ্নকারী : কাযী হারূণুর রশীদঢাকা।


 






বিষয়সমূহ: হজ্জ ও ওমরাহ
প্রশ্ন (৪/৩২৪) : সুলতান নূরুদ্দীন যঙ্গী কর্তৃক রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক স্বপ্নে আহূত হওয়া এবং তাঁর লাশ চুরির দায়ে অভিযুক্ত দু’জন ইহূদীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করার যে কাহিনী প্রচলিত আছে, তার সত্যতা রয়েছে কি?
প্রশ্ন (২/৪৪২): ইফতারের পূর্বে সবাই মিলে হাত তুলে দো‘আ করার বিধান আছে কি? এ সময় দো‘আ করলে কি বেশী নেকী হয়?
প্রশ্ন (১৫/৩৭৫) : রোগ-বালাই থেকে বাঁচার জন্য মাস্ক পরিধান কি তাবীযের উপর নির্ভরশীলতার সাথে তুলনীয় নয়? এটা শিরকের পর্যায়ভুক্ত হবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/৪৩৩) : ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান আনার হিকমত কি? এই বিশ্বাস মানবজীবনে তো বিশেষ কোন প্রভাব রাখে না। আর কেউ যদি ফেরেশতার অস্তিত্ব স্বীকার না করে, সে কি কাফের হয়ে যাবে? - -মুমিনুল হক্ব, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৮/১০৮) : ইবনু হযমের ‘মুহাল্লা’ গ্রন্থে আছার বর্ণিত হয়েছে যে, ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেছেন, ছালাতে তিনটি বিষয় অনুচ্চস্বরে পাঠ করতে হবে। আঊযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ ও আমীন। আছারটি ছহীহ কি?
প্রশ্ন (২৫/৬৫) : মসজিদ কমিটি জুম‘আর দিন জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মসজিদের আন্ডার গ্রাউন্ডে মহিলাদের ছালাতের ব্যবস্থা করেছে। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৮/১৬৮) : যোহরের ছালাতে তাহিইয়াতুল মাসজিদ না যোহরের সুন্নাত আদায় করতে হবে? সময় পেলে উভয়টি আদায় করা যাবে কি? - -মুহাম্মাদ, নবীনগর, বি-বাড়িয়া।
প্রশ্ন (২৪/২২৪) : যাকাতের অর্থ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/৬৩) : জনৈক ব্যক্তি হাদীছ অস্বীকার করে এবং বর্তমানে নবী হিসাবে কেবল মুহাম্মাদ (ছাঃ)-ই অনুসরণীয় সেটা সে বিশ্বাস করে না। এরূপ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখা বা তার যবেহকৃত পশু খাওয়া হালাল হবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/২৩৯) : ‘তাওহীদ’ নামে আমাদের এখানে একটি দল কুরআন পড়িয়ে, ইমামতি করে, সরকারী চাকুরী করে বেতন নেওয়া হারাম বলে। একথার কোন সত্যতা আছে কি? - মশীউর রহমান, মান্দা, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১৭/৪৫৭) : মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে মসজিদে শিরনী বা শিন্নী দেওয়া হ’লে তা খাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১/৪০১) : বর্তমানে বাংলাদেশে ‘রেডিয়াম ইন্টারন্যাশনাল’ নামক একটি কোম্পানী ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগে’র আহবান জানাচ্ছে। তাদের নিয়ম অনুযায়ী ১০ ইউএস ডলার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এর বিনিময়ে তারা ‘রিপটন কয়েন’ নামে দুইশ’ কয়েন দিচ্ছে। যেটা একদিনে দেওয়া হয় না। বরং ন্যূনতম ছয় মাসে মাইনিং হিসাবে প্রতিদিন ১/২টা করে ছয় মাসের মধ্যে প্রদান করা হয়। তাদের দাবী অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে এর রেট একটা উচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে। আনুমানিক প্রতি কয়েন ১০ ডলার থেকে ১০০ ডলার হ’তে পারে। দ্বিতীয়তঃ তাদের সাথে কাজ করলে অর্থাৎ একাধিক ব্যক্তিকে রেফার করলে কোম্পানির পক্ষ থেকে ঐ ব্যক্তির বিনিয়োগের ৫% হারে মুনাফা প্রদান করবে। কিন্তু বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের কোন কমতি হবে না। এইভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে তারা আরো পারসেন্টেজ লাভের ব্যবস্থা রাখছে। আবার এই কারেন্সির বিনিময় মূল্য রয়েছে এবং তারা বলছে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববাজারে ভার্চুয়াল কারেন্সির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হবে। ইতিপূর্বে ‘বিটকয়েন’ নামে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বাযারে এসেছিল ২০০৯ সালে। তখন তার মূল্য ছিল ৮/৯ টাকা। বর্তমানে ২০২০ সালে সেই কয়েনের মূল্য ৮ লক্ষ টাকা (১৩১১৯ সিঙ্গাপুরী ডলার)। ঠিক তেমনি ‘রিপটন কয়েন’ থেকে আয় আসবে বলে দাবী করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হ’ল অধিক মুনাফা লাভের আশায় এ ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা যাবে কি? বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
আরও
আরও
.