উত্তর : দাজ্জাল শেষ যামানার কোন আদম সন্তানের ঔরসজাত হবে। সে খোরাসান থেকে বের হবে (তিরমিযী হা/২২৩৭; ইবনু মাজাহ হা/৪০৭২)। ‘দাজ্জাল মানুষের মত কথা বলবে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৪৭৯)। দাজ্জালের আকৃতি মানুষের মতই হবে। তবে তা হবে বৃহদাকৃতির (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৮২)। দাজ্জালের ডান চক্ষু কানা হবে এবং ফোলা আঙ্গুরের মত হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭০)। দাজ্জালের দুই চোখের মাঝে লেখা থাকবে ك ف ر (কাফের) (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৪৭১)।
দাজ্জালের বাম চোখ হবে কানা, মাথার চুল ঝাকড়া হবে (অর্থাৎ দাজ্জালের দু’টি
চোখই হবে কানা এবং দোষযুক্ত)। তবে তার সঙ্গে তার জান্নাত ও জাহান্নাম
থাকবে। তার জান্নাত হবে জাহান্নাম এবং জাহান্নাম হবে জান্নাত (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৪)। তার আকার হবে আবুল উযযা ইবনু কাতান নামক জনৈক ইহূদীর মত (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫)।
সে ৪০ দিনে সারা দুনিয়া প্রদক্ষিণ করবে। প্রথম দিন হবে এক বছরের সমান,
দ্বিতীয় দিন এক মাস ও তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহের সমান। বাকী দিনগুলো হবে
সাধারণ দিনের ন্যায় (তিরমিযী হা/৫৪৭৫; আবুদাঊদ হা/৪৩২১; ইবনু মাজাহ হা/৪০৭৫)। তার নির্দেশে আসমান বৃষ্টি বর্ষাবে আর যমীন ফসল ফলাবে (তিরমিযী হা/২২৪০; মিশকাত হা/৫৪৭৫)। সে হবে কাফের। তার কোন সন্তান থাকবে না। সে মক্কা ও মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না (তিরমিযী হা/২২৪৬; ছহীহ জামে‘উছ ছাগীর হা/৩৪০৩)। দাজ্জালকে ঈসা (আঃ) বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নিকটবর্তী ‘লুদ্দ’ নামক শহরের প্রধান ফটকে হত্যা করবেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫)।