উত্তর : শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্য হবে স্রষ্টাকে জানা এবং তাঁর প্রেরিত বিধানসমূহ অবগত হওয়া। দ্বিতীয় বিষয়টি এই যে, প্রকৃত শিক্ষা হ’ল সেটাই যা খালেক্ব-এর জ্ঞান দান করার সাথে সাথে ‘আলাক্ব-এর চাহিদা পূরণ করে। অর্থাৎ নৈতিক ও বৈষয়িক জ্ঞানের সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থাই হ’ল পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থা। মানবীয় জ্ঞানের সম্মুখে যদি অহি-র জ্ঞানের অভ্রান্ত সত্যের আলো না থাকে, তাহ’লে যেকোন সময় মানুষ পথভ্রষ্ট হবে এবং বস্ত্তগত উন্নতি তার জন্য ধ্বংসের কারণ হবে (তাফসীরুল কুরআন, সূরা আলাকের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। এজন্য রাসূল (ছাঃ) সতর্ক করে বলেন, ‘যে শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা হয়ে থাকে, কেউ যদি তা দুনিয়াবী স্বার্থে অর্জন করে, তাহ’লে ক্বিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি জান্নাতের গন্ধও পাবে না’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২২৭; ছহীহুত তারগীব হা/১০৫)।
তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইলম শিখে এজন্য যে, তার দ্বারা সে আলেমদের সাথে বিতর্ক করবে ও মূর্খদের সঙ্গে ঝগড়া করবে কিংবা মানুষকে তার দিকে আকৃষ্ট করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন’ (তিরমিযী হা/৩১৩৮, মিশকাত হা/২২৫)। এজন্য পরকালের উদ্দেশ্যে ইলম অর্জন করবে। আর দুনিয়ায় রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ্ই করে দিবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তির দুনিয়া অর্জনই হ’ল উদ্দেশ্য, আল্লাহ তার প্রতিটি বিষয়কে বিশৃংখল করে দেন। দু’চোখের সামনে শুধু অভাব-অনটন লাগিয়ে রাখেন। আর নির্ধারিত বস্ত্ত ছাড়া দুনিয়ার কোন কিছুই তার কাছে আসে না। যে ব্যক্তির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আখেরাত, আল্লাহ তার প্রতিটি বিষয় সুশৃংখল করে দেন। তার অন্তরকে পরিতৃপ্ত করে দেন। আর দুনিয়ার ধন-সম্পদ তার সামনে তুচ্ছ অবস্থায় হাযির হয় (ইবনু মাজাহ হা/৪১০৫; ছহীহাহ হা/৪০৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৫১৬)।
প্রশ্নকারী : হাসীবুর রশীদ, রাজশাহী।