১. মাসরূক্ব (মৃ. ৬২হি.) বলেন, كَفَى بِالْمَرْءِ عِلْمًا أَنْ يَخْشَى اللهَ. وَكَفَى بِالْمَرْءِ جَهْلا أَنْ يُعْجَبَ بِعَمَلِهِ ‘মানুষের জ্ঞানী হওয়ার জন্য একটুকুই যথেষ্ট যে, সে আল্লাহকে ভয় করবে। আর মানুষের মূর্খ হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে নি
১. ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, وضع الله المصائب والبلايا والمحن رَحْمَة بَين عباده يكفر بهَا من خطاياهم فَهِيَ من أعظم نعمه عَلَيْهِم وان كرهتها أنفسهم، ‘আল্লাহ তাঁর রহমত হিসাবে স্বীয় বান্দাদেরকে বিপদাপদ ও দুঃখ-কষ্ট দিয়ে থাকেন, যেন এর মাধ
১. শায়েখ ওছায়মীন (রহঃ) বলেন,ينبغي لمن يُستفتى أن يستغفر الله قبل الإجابة، حتى يمحو الاستغفار ما كان على القلب من الرين، ‘যার কাছে ফৎওয়া চাওয়া হয় তার উচিত উত্তর দেওয়ার পূর্বে আল্লাহর নিকটে ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা, যাতে ইস্তিগফার তার অন্তরের ম
১. আবূবকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ) বলেন, اعْلَمْ يَا عَمْرُو! إِنَّ أَطْوَعَ النَّاسِ لِلَّهِ أَشَدُّهُمْ بُغْضًا لِلْمَعَاصِي، فَأَطِعِ اللهَ وَأْمُرْ أَصْحَابَكَ بِطَاعَتِهِ، ‘হে আমর, জেনে রেখ! আল্লাহর অধিক অনুগত সেই ব্যক্তি, যে পাপকে সবচেয়ে বেশ
১. আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) বলেন,مَنْ بَخِلَ بِالْعِلْمِ ابتُلِيَ بِثَلَاثٍ: إِمَّا بِمَوْتٍ فَيَذْهَبُ عِلْمُهُ، أَوْ بِالنِّسْيَانِ، أَوْ يُبْتَلَى بِالسُّلْطَانِ، ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান বিতরণে কৃপণতা করে, সে তিনভাবে পরীক্ষার সম্মুখীন হয় : ১. তার ম
১. মা‘রূফ আল-কারখী (রহঃ) বলেন,إِذَا أَرَادَ اللهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا فَتَحَ عَلَيْهِ بَابَ الْعَمَلِ وَأَغْلَقَ عَنْهُ بَابَ الْجَدَلِ وَإِذَا أَرَادَ بِعَبْدٍ شَرًّا أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَ الْعَمَلِ وَفَتَحَ عَلَيْهِ بَابَ الْجَدَلِ، ‘আল্লাহ যখন কোন
১. ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন,صَحِبْتُ الصُّوفيّةَ، فَمَا انْتَفَعْتُ مِنهُم إلّا بِكَلِمَتَيْنِ سَمِعتُهم يقولُون: الوَقْتُ سَيفٌ، فإنْ قَطَعْتَهُ وإلّا قَطَََعَك ونَفْسُكَ إنْ لمَ تَشْغَلْها بالحقِّ شَغَلَتْك بالبَاطِلِ، ‘আমি ছূফীদের সাথে মিশে তাদের
১. সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) বলেন,اَلْعَالَم طَبِيبُ الدِّينٍ، وَالدِّرْهَمُ دَاءُ الدِّينِ، فَإِذَا جَذَبَ الطَّبِيبُ الدَّاءُ إِلَى نَفْسِهِ فَمَتَى يُدَاوِي غَيْرَهُ؟ ‘আলেম হ’লেন দ্বীনের চিকিৎসক এবং টাকা-পয়সা হ’ল দ্বীনের জন্য রোগ-ব্যাধি স্বরূপ। কিন্তু চ
১. মালেক বিন দীনার (রহঃ) বলেন,كفى بالمرء خيانة أن يكون أميناً للخونة، وكفى بالمرء شراً أن لا يكون صالحاً ويقع بالصالحين، ‘কোন ব্যক্তির খেয়ানতকারী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে খেয়ানতকারীর রক্ষক হবে। আর কোন মানুষের নিকৃষ্ট হওয়ার জন্য এতটুকুই
১. মালেক ইবনু দীনার (রহঃ) বলেন,إِنَّ الْعَالِمَ إِذَا لَمْ يَعْمَلْ بِعِلْمِهِ زَلَّتْ مَوْعِظَتُهُ عَنِ الْقُلُوبِ كَمَا يَزَلُّ الْقَطْرُ عَنِ الصَّفَا، ‘যখন আলেম তার ইলম অনুযায়ী আমল করে না। তখন তার উপদেশ মানুষের অন্তর থেকে পিছলে যায়, যেভাবে
১. সর্বাধিক হাদীছজ্ঞ ছাহাবী আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর শিষ্য খ্যাতনামা তাবেঈ ওহাব বিন মুনাবিবহ (রহঃ) বলেন, لَنْ يَبْلُغَ الْعَبْدُ حَقِيقَةَ الْإِيمَانِ حَتَّى يَكُونَ فِيهِ عَشْرُ خِصَالٍ ‘কোন ব্যক্তি ঈমানের হাকীকত বা মূল বিষয়ে পৌঁছতে পারবে না, যতক্ষণ না
১. ইমাম গাযালী (রহঃ) বলেন,أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا أَرَادَ بِعَبْدٍ خَيْرًا بَصَّرَهُ بِعُيُوبِ نَفْسِهِ فَمَنْ كَانَتْ بَصِيرَتُهُ نَافِذَةً لَمْ تَخْفَ عَلَيْهِ عُيُوبُهُ فَإِذَا عَرَفَ الْعُيُوبَ أَمْكَنَهُ الْعِلَاجُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ الْ
১. আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন,إِنَّ مَنْ أَكْثَرَ ذِكْرَ الْمَوْتِ قَلَّ حَسَدُهُ وَبَغْيُهُ، ‘যে ব্যক্তি মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করে, তার হিংসা ও পাপ কমে যায়’।[1]২. আবুবকর ছিদ্দীক (রাঃ) বলেন, لا يحقرن أحد أحداً من المسلمين فإن صغير المسلمين عند الله كبي
১. ইমাম মালেক ইবনে আনাস (রহঃ) বলেন, إِنَّ اللهَ قَسَمَ الأَعْمَالَ كَمَا قَسَمَ الأَرْزَاقَ، فَرُبَّ رَجُلٍ فُتِحَ لَهُ فِي الصَّلاَةِ، وَلَمْ يُفتَحْ لَهُ فِي الصَّوْمِ، وَآخَرَ فُتِحَ لَهُ فِي الصَّدَقَةِ وَلَمْ يُفتَحْ لَهُ فِي الصَّوْمِ، وَآخَرَ
১. ইবনুল জাওযী (রহঃ) বলেন,رَأَيْتُ كَثِيْرًا مِّنَ النَّاسِ يَتَحَرَّزُوْنَ مِنْ رَشَاشِ نَجَاسَةٍ، وَلَا يَتَحَاشَوْنَ مِنْ غِيْبَةٍ! وَيَكْثُرُوْنَ مِنَ الصَّدَقَةِ، وَلَا يُبَالُوْنَ بِمُعَامَلاَتِ الرِّبَا! وَيَتَهَجَّدُوْنَ بِاللَّيْلِ، وَيُؤَخّ
১. আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,رَكْعَتَانِ مُقْتَصِدَتَانِ فِي تَفَكُّرٍ، خَيْرٌ مِنْ قِيَامِ لَيْلَةٍ وَالْقَلْبُ سَاهٍ، ‘অমনোযোগী মনে সারারাত ক্বিয়ামুল লায়ল আদায় করার চেয়ে চিন্তা-ভাবনাসহ দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করা উত্তম’।[1]২. মুহাম্মাদ ইবনে কা
১. আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন,إِنَّ اللهَ يُعْطِي الدُّنْيَا مَنْ يُحِبُّ وَمَنْ لَا يُحِبُّ، وَلَا يُعْطِي الْإِيمَانَ إِلَّا مَنْ يُحِبُّ، فَإِذَا أَحَبَّ اللهُ عَبْدًا أَعْطَاهُ الْإِيْمَانْ، ‘আল্লাহ যাকে ভালবাসেন এবং যাকে ভালবাসেন না উভয়কে
১. ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন,جمع النبى بَين تقوى الله وَحسن الْخلق لِأَن تقوى الله يصلح مَا بَين العَبْد وَبَين ربه وَحسن الْخلق يصلح مَا بَينه وَبَين خلقه فتقوى الله توجب لَهُ محبَّة الله وَحسن الْخلق يَدْعُو إِلَى محبته، ‘নবী (ছাঃ) আল্লাহভীতি ও উ
১. ওমর ইবনুল খাত্তবাব (রাঃ) বলেন,ويل لمن كَانَت الدُّنْيَا أمله والخطايا عمله عَظِيم بطنته قَلِيل فطنته عَالم بِأَمْر دُنْيَاهُ جَاهِل بِأَمْر آخرته، ‘দুর্ভোগ সেই ব্যক্তির জন্য, দুনিয়া যার আশা-আকাঙ্ক্ষার স্থল এবং পাপ করাই তার কাজ। সে অত্যন্ত ভোজন রসি
১. শায়খ ছালেহ বিন ফাওযান আলে ফাওযান বলেন,خلقك الله لعبادته، وإنما سخر لك هذه الموجودات من أجل أن تستعين بها على عبادته- لأنك لا تستطيع أن تعيش إلا بهذه الأشياء، ولا تتوصل إلى عبادة الله إلا بهذه الأشياء، سخرها الله لك لأجل أن تعبده، ليس من أجل أن تفر
১. মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) বলেন,تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ، فَإِنَّ تَعَلُّمَهُ لِلَّهِ خَشْيَةٌ، وَطَلَبَهُ عِبَادَةٌ، وَمُذَاكَرَتَهٌ تَسْبِيحٌ، وَالْبَحْثَ عَنْهُ جِهَادٌ، وَتَعْلِيمَهُ لِمَنْ لَا يَعْلَمُهُ صَدَقَةٌ، وَبَذْلَهُ لِأَهْلِهِ قُرْبَةٌ- ‘তোম
১. মালেক ইবনু দীনার (রহঃ) বলেন, بِقَدْرِ مَا تَحْزَنُ لِلدُّنْيَا كَذَلِكَ يَخْرُجُ هَمُّ الْآخِرَةِ مِنْ قَلْبِكَ، وَبِقَدْرِ مَا تَحْزَنُ لِلْآخِرَةِ كَذَلِكَ يَخْرُجُ هَمُّ الدُّنْيَا مِنْ قَلْبِكَ ‘তুমি দুনিয়া নিয়ে যতটুকু পেরেশান হবে, তোমার হৃদয়
১. ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, ما أبالي أصبحت على ما أحب أو على ما أكره لأني لا أدري الخير فيما أحب أو فيما أكره؟ ‘আমি সকাল বেলা (ঘুম থেকে) উঠে নিজেকে আমার পসন্দনীয় অবস্থায় দেখতে পাই নাকি অপসন্দনীয় অবস্থায় দেখতে পাই, তা নিয়ে আমি কোন চিন্তা করি না
১. ইবরাহীম বিন আদহাম (রহঃ) বলেন, إِنَّ اللهَ تَعَالَى يَدْفَعُ الْبَلَاءَ عَنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ بِرِحْلَةِ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ، ‘মহান আল্লাহ হাদীছ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মুহাদ্দিছগণের ভ্রমণের মাধ্যমে এই উম্মতের উপর থেকে বালা-মুছীবত দূর করে দেন’।[1]২. হ
১. আবুল লায়েছ সামারকান্দী (রহঃ) বলেন, نُورُ الْقَلْبِ مِنْ أَرْبَعَةِ أَشْيَاءَ: بَطْنٌ جَائِعٌ، وَصَاحِبٌ صَالِحٌ، وَحِفْظُ الذَّنْبِ الْقَدِيْمِ، وَقِصَرُ الْأَمَلِ ‘চারটি কাজের মাধ্যমে অন্তর্জগত আলোকিত হয়- (১) ক্ষুধার্ত পেট [অর্থাৎ আহার করার সময় ক
১. সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ) তার সন্তানকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন,يا بني! إذا طلبت الغنى فاطلبه بالقناعة، فإنها مال لا يَنْفَدُ؛ وإياك والطمَع فإنه فقر حاضر؛ وعليك باليأس، فإنك لم تيأس من شيء قطُّ إلا أغناك الله عنه، ‘হে বৎস! যদি তুমি প্রাচুর্য তালাশ
১. মু‘আবিয়া (রাঃ) বলেন,أتدري من النَّبِيل؟ هو الذي إذا رأيته هِبْتَه، وإذا غاب عنك اغتبته، ‘তুমি কি জান, মহৎ ব্যক্তি কে? মহৎ তো সেই ব্যক্তি, সামনাসামনি দেখা হ’লে তুমি যাকে শ্রদ্ধা কর এবং তোমার অগোচরে থাকলে তুমি তার নিন্দা কর’।[1]২. আবুদ্দারদা (রাঃ) ব
১. হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, إِيَّاكُمْ وَأَصْحَابَ الرَّأْيِ فَإِنَّهُمْ أَعْدَاءُ السُّنَنِ أَعْيَتْهُمُ الْأَحَادِيثُ أَنْ يَحْفَظُوهَا فَقَالُوا بِالرَّأْيِ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا، ‘তোমরা রায়পন্থীদের থেকে সাবধান থেকো। কেননা তারা সুন্নাতের শত্রু। হাদীছে
(১) দ্বীনী ইলম প্রসঙ্গে : (ক) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, لَيْسَ الْعِلْمُ بِكَثْرَةِ الرِّوَايَةِ، إِنَّمَا الْعِلْمُ الْخَشْيَةُ ‘অধিক হাদীছ জানাই প্রকৃত জ্ঞানার্জন নয়। বরং প্রকৃত জ্ঞানার্জন হ’ল আল্লাহভীতি অর্জন করা’ (ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-
১. হাসান বছরী (রহঃ) বলেন, الدُّنْيَا ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ: أَمَا أَمْسِ فَقَدْ ذَهَبَ بِمَا فِيهِ، وَأَمَّا غَدًا فَلَعَلَّكَ لَا تُدْرِكُهُ، وَالْيَوْمُ فَاعْمَلْ فِيهِ দুনিয়াবী জীবন তিনদিনের। (১) গতকাল- যা ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে, (২) আগামী
১. আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,لَا تُجَالِسْ أَهْلَ الْأَهْوَاءِ، فَإِنَّ مُجَالَسَتَهُمْ مُمْرِضَةٌ لِلْقُلُوْبِ ‘তুমি প্রবৃত্তির অনুসারীদের সাথে ওঠাবসা করো না। কেননা তাদের সঙ্গ অন্তরকে ব্যাধিগ্রস্থ করে তোলে’।[1]২. ইয়াযীদ বিন আবু হাবীব (রহঃ) বল
১. হাসান বাছরী (রহঃ) যুবকদেরকে প্রায়ই বলতেন,يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ، عَلَيْكُمْ بِالْآخِرَةِ فَاطْلُبُوْهَا؛ فَكَثِيرًا رَأَيْنَا مَنْ طَلَبَ الْآخِرَةَ فَأَدْرَكَهَا مَعَ الدُّنْيَا، وَمَا رَأَيْنَا أَحَدًا طَلَبَ الدُّنْيَا فَأَدْرَكَ الْآخِرَةَ مَ
১. হযরত ওমর ফারূক (রাঃ) বলেন, تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ وَتَعَلَّمُوا لِلْعِلْمِ السَّكِينَةَ وَالْحِلْمَ وَتَوَاضَعُوا لِمَنْ تُعَلِّمُونَ، وَلْيَتَوَاضَعْ لَكُمْ مَنْ تُعَلِّمُونَ وَلَا تَكُونُوا مِنْ جَبَابِرَةِ الْعُلَمَاءِ، وَلَا يَقُمْ عِلْمُكُمْ م
১. সাঈদ বিন জুবায়ের (রহঃ) বলেন, اَلْخَشْيَةُ هِيَ الَّتِي تَحُولُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ مَعْصِيَةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ‘আল্লাহভীতি হ’ল, যা তোমার ও তোমার প্রভুর অবাধ্যতার মাঝে বাধা সৃষ্টি করে’।[1]২. হাসান বাছরী (রহঃ) বলেন, اَلْمُؤْمِنُ كَالْغَرِيبِ لاَ يَ
১. আবু যার (রাঃ) বলেন,يَأَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي لَكُمْ نَاصِحٌ، إِنِّي عَلَيْكُمْ شَفِيقٌ، صَلُّوا فِي ظَلاَمِ اللَّيْلِ لِوَحْشَةِ الْقُبُورِ، وَصُومُوا فِي حَرِّ الدُّنْيَا لِحَرِّ يَوْمِ النُّشُورِ، وَتَصَدَّقُوا مَخَافَةَ يَوْمٍ عَسِيرٍ
হাদীছ শাস্ত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র, ইমাম চতুষ্টয়ের অন্যতম মালেক বিন আনাস (রহঃ) ৯৩ হিজরীতে মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৭৯ হিজরীতে তিনি মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন এবং বাক্বীউল গারক্বাদ কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।একদা ইমাম মালেক (রহঃ)-এর সামনে মদীনার গভর্ণরের প্রশ
আনছার ছাহাবী উমায়ের বিন হাবীব (রাঃ) স্বীয় সন্তানকে অছিয়ত করে বলেন, ‘হে বৎস! মূর্খদের সাথে মেলামেশা থেকে বিরত থাকবে। কেননা তাদের সাথে ওঠাবসা করা এক প্রকার ব্যাধি। যে মূর্খের সঙ্গ থেকে ধৈর্যধারণ করে, সে তার ধৈর্যের কারণে আনন্দিত হয়। আর যে তার সঙ্গকে পস
১. মুহাম্মাদ ইবনু আবী ‘আমীরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,لَوْ أَنَّ عَبْدًا خَرَّ عَلَى وَجْهِهِ مِنْ يَوْمِ وُلِدَ، إِلَى أَنْ يَمُوتَ هَرَمًا فِي طَاعَةِ اللهِ، لَحَقَّرَهُ ذَلِكَ الْيَوْمَ، وَلَوَدَّ أَنَّهُ رُدَّ إِلَى الدُّنْيَا ك
১. ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন,اجْلِسُوْا إِلَى التَّوَّابِيْنَ؛ فَإِنَّهُمْ أَرَقُّ شَيْءٍ أَفْئِدَةً، ‘তোমরা তওবাকারীদের নিকট উঠা-বসা কর। কেননা তারাই সবচেয়ে কোমল হৃদয়ের অধিকারী’।[1]২. আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন,لاَ تُجَالِسْ أَهْلَ ا
(১) ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন,لاَ يُرضِي النَّاسَ قَوْلُ عَالِمٍ لاَ يَعْمَلُ، وَلاَ عَمَلُ عَامِلٍ لاَ يَعْلَمُ، ‘আমলহীন আলেমের কথায় মানুষ সন্তুষ্ট হয় না। আর না জেনে আমলকারীর আমল ধর্তব্য নয়’ (সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, জীবনী নং ১৬০)।(২) ইমাম মালেক (রহ
শায়খুল ইসলাম, ইমামুল হুফফায এবং ইবাদতগুযার আলেমদের নেতা হিসাবে পরিচিত প্রখ্যাত তাবে তাবেঈ আবু আব্দুল্লাহ সুফিয়ান বিন সাঈদ আছ-ছাওরী (রহঃ) ৯৭ হিজরীতে কূফার বনু তামীম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। প্রবল জ্ঞানান্বেষী এই মুহাদ্দিছের শিক্ষকের সংখ্যা প্রায়
১. ইবনুল জাওযী (রহঃ) বলেন, إِذَا أَرَدْتَ أَنْ تُؤْذِيَ عَدُوَّكَ فَاصْلِحْ نَفْسَكَ ‘তুমি যদি তোমার শত্রুকে কষ্ট দিতে চাও, তবে নিজেকে সংশোধন করে নাও’।২. ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) ছাবেত বিন কুর্রাকে উদ্ধৃত করে বলেন,رَاحَةُ الْجِسْمِ فِي قِلَّةِ ال
১. ইমাম আওযাঈ (রহঃ) বলেন,إِنَّ المُؤْمِنَ يَقُوْلُ قَلِيْلاً وَيَعمَلُ كَثِيْراً، وَإِنَّ المُنَافِقَ يَتَكَلَّمُ كَثِيْراً وَيَعْمَلُ قَلِيْلاً ‘মুমিন কথা কম বলে, আমল বেশী করে। আর মুনাফিক কথা বেশী বলে, আমল কম করে’ (যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৬/৫৫
১. ইমাম মালেক রাহেমাহুল্লাহ (৯৩-১৭৯ হি.)-এর নিকটে বিশ বছর অধ্যয়নকারী ছাত্র আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াহাব (১২৫-১৯৬ হি./৭৪৩-৮১২ খৃ.) বলেন,نَذَرتُ أَنِّي كُلَّمَا اغْتَبْتُ إِنْسَاناً أَنْ أَصُوْمَ يَوْماً فَأَجْهَدَنِي فَكُنْتُ أَغْتَابُ وَأَصُوْمُ،
ছিদ্দীক হাসান খান কানূজী ‘আবজাদুল উলূম’ গ্রন্থে বলেন, শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হ’ল-প্রথমতঃ শিক্ষার্থীদের উপর দয়া প্রদর্শন করা। শিক্ষক তাদেরকে নিজের সন্তানের মত পরিচালনা করবেন। এজন্য পিতামাতার অধিকার অপেক্ষা শিক্ষকের অধিকার অনেক বড়। যদি শিক্ষক ন