উত্তর : আদম (আঃ)-এর ভাষা কি ছিল বা জান্নাতের ভাষা কি হবে সে ব্যাপারে কুরআন বা ছহীহ হাদীছে স্পষ্ট কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে এটা নিশ্চিত যে, আল্লাহ আদম (আঃ)-কে জান্নাতে সকল প্রকার নাম ও ভাষা শিখিয়েছিলেন (বাক্বারাহ ২/৩১)। সেমতে তার সন্তানগণ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে।

আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা তিনটি কারণে আরবদের ভালবাস। আমি আরবীভাষী। কুরআন আরবী ভাষায় এবং জান্নাতীদের ভাষা হবে আরবী (হাকেম হা/৬৯৯৯; মিশকাত হা/৫৯৯৭; যঈফাহ হা/১৬০, হাদীছটি জাল)। একইভাবে আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি আরবীভাষী, কুরআন আরবী ও জান্নাতীদের ভাষা আরবী’ (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/৯১৪৭; যঈফাহ হা/১৬১, হাদীছটি জাল)। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ জান্নাতীদের নিকট কুরআন তেলাওয়াত করবেন (আবু নু‘আইম, ছিফাতুল জান্নাহ হা/২৭০; হাকীম তিরমিযী, নাওয়াদেরুল উছূল ২/৯০; যঈফুল জামে‘ হা/১৮৩৪)। উক্ত হাদীছ সমূহের ভিত্তিতে একদল বিদ্বান মনে করেন যে, আদম (আঃ)-এর ভাষা ছিল আরবী এবং জান্নাতের ভাষা হবে আরবী। তবে হাদীছগুলি জাল হওয়ায় ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ, শায়খ আলবানীসহ বহু বিদ্বান উক্ত মতকে অগ্রহণযোগ্য বলেছেন (মিশকাত হা/৫৯৯৭-এর টীকা ‘কুরায়েশের মর্যাদা’ অনুচ্ছেদ; যঈফাহ হা/১৬০-১৬২; ইবনু তায়মিয়াহ, ইক্বতিযাউছ ছিরাতিল মুস্তাকীম ১/১৫৮)

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন মানুষ কোন ভাষায় কথা বলবে এবং আল্লাহ তাদের সাথে কোন ভাষায় কথা বলবেন, তা জানা যায় না। কেননা আল্লাহ ও তার রাসূল (ছাঃ) এ বিষয়ে আমাদের কোন খবর দেননি। সেদিন জাহান্নামীদের ভাষা ফার্সী হবে এবং জান্নাতীদের ভাষা আরবী হবে, এ মর্মে ছাহাবীগণ নিজেদের মধ্যে কোন বিতর্ক করেননি। বরং সবাই এ ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। কেননা এ ব্যাপারে কথা বলা অনর্থক মাত্র। যদিও পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে বিতর্ক উত্থাপিত হয়েছে যে, জান্নাতীগণ আরবীতে পরস্পরে আহবান করবে এবং জাহান্নামীরা ফার্সীতে জওয়াব দিবে (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৪/৩০০ পৃ.)

তবে সৃষ্টির সূচনায় জান্নাতে আদম (আঃ)-এর ভাষা আরবী ছিল বলে অনুমিত হয়। কেননা তখন জান্নাতে আদম কেবল একাই ছিলেন। পরবর্তীতে দুনিয়ায় নেমে আসার পর বংশ বিস্তৃতির ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে আদম সন্তানদের ভাষায় ভিন্নতা আসে। যেসব ভাষার তাওফীক আল্লাহ পূর্বেই আদমের মধ্যে সৃষ্টি করেছিলেন। আর জান্নাতীদের ভাষা আরবী হবে। কারণ আল্লাহ তাঁর সর্বশেষ নবীর উপর সর্বশেষ গ্রন্থ কুরআন নাযিল করেছেন আরবী ভাষায় এবং শেষনবীর ভাষাও ছিল আরবী। আর বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের আযান, ছালাত ও অন্য সকল ইবাদত এবং পরস্পরের সালাম হয় আরবীতে। এজন্য শায়খ বিন বায বলেন, জান্নাতের ভাষা হবে আরবী (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব, https://binbaz.org.sa › fatwas ›)। হাফেয ইবনু হাজার বলেন, কবরে মুনকার-নাকীরের প্রশ্ন আরবী ভাষায় হবে বলে ছহীহ হাদীছ দৃষ্টে বুঝা যায়। তথাপি প্রত্যেকে স্ব স্ব ভাষায় জিজ্ঞাসিত হবে বলেই ধারণা হয় (ইবনু হাজার, আল-ইমতা‘ ১২২ পৃ.)

মোটকথা কবরে প্রশ্নোত্তর, জান্নাতী ও জাহান্নামীদের পারস্পরিক কথোপকথন, সুফারিশ করার জন্য নবীদের নিকট মানুষের অনুরোধকরণ, দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাক্ষ্য প্রদান এবং জান্নাতীদের উদ্দেশ্যে আল্লাহর সালাম প্রদান প্রভৃতি আখেরাতের সবকিছু আরবী ভাষায় হওয়াটা মোটেই বিচিত্র কিছু নয়। ‘আর সেটা আল্লাহর জন্য মোটেই কঠিন নয়’ (ইব্রাহীম ১৪/২০; ফাত্বির ৩৫/১৭)






প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : দাস প্রথা কি শরী‘আত সম্মত? এর হুকুম কি মানসূখ হয়ে গেছে?
প্রশ্ন (১০/২৯০) : আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে কুরআনের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাকি লিখিতভাবে নাযিল হয়েছিল। একথার কোন সত্যতা আছে কি? - এমদাদুল ইসলাম পশ্চিম বঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পরামর্শ অগ্রাধিকার পাবে, না-কি ইস্তেখারার ছালাত অগ্রাধিকার পাবে?
প্রশ্ন (২০/৪৬০) : মুসলিম দেশে বসবাসকারী কোন অমুসলিমকে কোন মুসলমান শরী‘আতসম্মত কারণে হত্যা করে ফেললে তার বিধান কি?
প্রশ্ন (২৪/৩৮৪) : কুরবানীর জন্য ক্রয়কৃত বা উক্ত উদ্দেশ্যে পোষা পশুর চাইতে উত্তম পেলে তা পরিবর্তন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২/৮২) : স্বামীর চেয়ে স্ত্রী ধর্মীয় জ্ঞান ও কুরআন তেলাওয়াতে বহুগুণ পারদর্শী হ’লে ফরয বা নফল ছালাতে স্ত্রী ইমামতি করতে পারবে কি? - -মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দীন, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৩/৪৩৩) : আমি দৈনিক পত্রিকা বিক্রয়ের ব্যবসা করি। অধিকাংশ পত্রিকায় অশালীন কিছু ছবি থাকেই। এক্ষণে এ ব্যবসা জায়েয হবে কি? - -আব্দুল আযীয, হারাগাছ, রংপুর।
প্রশ্ন (২২/২২২) : আমরা দু’বন্ধু রিকশায় আরোহন করে যাচ্ছিলাম। আমার বন্ধুর নিকট লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিল। কৌতুহলবশতঃ হাতে নিয়ে দেখতে গিয়ে হঠাৎ করে একটি গুলি বের হয়ে যায় এবং রিক্সাচালকের গায়ে লেগে সে মারা যায়। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কোণাবাড়ী, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৩৩/৭৩) : আমার স্বামী বিসিএস ক্যাডার। সকালে ঘুমিয়ে থাকলে আমি তাকে নাশতা খেতে উঠাই। সে উঠতে অস্বীকৃতি জানালে আমি একটু জোরাজোরি করি। এমতাবস্থায় সে উঠে আমাকে মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার শ্বশুর বাধা দিলে তাকে বঁটি দিয়ে মারতে উদ্যত হয়। তিনি অবস্থা দেখে চলে গেলে আমাকে বলতে থাকে, আজ বা কাল তোমাকে বিদায় করে দিব। তখন আমি বলি, কালকে কেন এক্ষুণি বিদায় করে দাও। তখন সে আমাকে তিন তালাক দেয়। আমরা বিচ্ছিন্ন আছি। এক্ষণে আমরা একসাথে সংসার করতে চাই। করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৩/১৪৩) : রামাযানে দিনের বেলায় স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে জোরপূর্বক সহবাস করে তাহ’লে এজন্য স্ত্রীর গোনাহ হবে কি? এক্ষেত্রে স্ত্রীর করণীয় কি?
প্রশ্ন (১১/২৯১) : মৃত ব্যক্তির জন্য মসজিদের মুছল্লীদেরকে নিয়ে হাত তুলে দো‘আ করা যাবে কি? কেউ মৃতের জন্য দো‘আ চাইলে কিভাবে দো‘আ করতে হবে?
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮) : ১০ বছর আগে আমাদের বিবাহ হয়। স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম। চিকিৎসার কথা বললে গালি দেয়। আমার অনেক কষ্ট হয়। আমার করণীয় কি?
আরও
আরও
.