উত্তর : ইসলাম পরস্পরকে হাদিয়া দিতে উৎসাহিত করেছে। পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টিতে তা সহায়ক হয় (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৫৯৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা দাওয়াত কবুল কর এবং হাদিয়া ফেরৎ দিয়ো না ...’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১৫৭; আহমাদ হা/৩৮৩৮, সনদ ছহীহ)।
তিনি বলেন, কারো নিকটে তার মুসলিম ভাইয়ের পক্ষ থেকে যদি কোন হাদিয়া আসে,
অথচ তার প্রতি তার কোন কামনা নেই, এক্ষেত্রে তা ফিরিয়ে না দিয়ে সে যেন তা
গ্রহণ করে। কারণ এটা এমন রিযিক, যা আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য ব্যবস্থা করেছেন
(আহমাদ; ছহীহাহ হা/১০০৫)। তবে যৌক্তিক কারণে হাদিয়া ফেরৎ দেওয়া
যায়। রাসূল (ছাঃ) আবওয়া নামক স্থানে ইহরাম অবস্থায় থাকাকালে জনৈক ব্যক্তি
একটি বন্য গাধা হাদিয়া হিসাবে দিলে তিনি তা ফেরৎ দেন। এতে লোকটি মন খারাপ
করলে তিনি বলেন, আমরা হাদিয়া ফেরৎ দেই না। কিন্তু ইহরাম অবস্থায় থাকার
কারণে ফেরৎ দিলাম (বুখারী হা/১৮২৫; মুসলিম হা/১১৯৩; মিশকাত হা/২৬৯৬)।
আর অসৎ উদ্দেশ্যে হাছিলের উদ্দেশ্যে কেউ হাদিয়া গ্রদান করলে তা গ্রহণ করা
যাবে না। যেমন বেতনভুক কর্মচারী কর্তৃক অন্যদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৭৯)। ঋণগ্রহীতার নিকট থেকে ঋণদাতার পাওনার অতিরিক্ত হাদিয়া গ্রহণ করা (বুখারী হা/৩৮১৪; ইরওয়া হা/১৩৯৭) ইত্যাদি।