উত্তর : ‘গাযওয়াতুল হিন্দ’ নামে এক যুদ্ধের বর্ণনা বিভিন্ন হাদীছে রয়েছে, যার মধ্যে একটিমাত্র ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের দু’টি দল রয়েছে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন। তাদের একটি দল হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আরেকটি দল যারা ঈসা (আঃ)-এর পক্ষে থাকবে’ (নাসাঈ হা/৩১৭৫; আহমাদ হা/২২৪৪৯; ছহীহাহ হা/১৯৩৪)। উপরোক্ত হাদীছে হিন্দুস্থানের যে যুদ্ধে বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী রাসূল (ছাঃ) করেছিলেন, তা ইতিমধ্যে ঘটে গেছে। কেননা মুসলমানগণ হিন্দুস্থানে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছেন। যেমন ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে সর্বপ্রথম ১৫ হিজরীতে ওছমান বিন আবুল ‘আছের নেতৃত্বে একটি সেনাদল প্রেরিত হয়। যারা হিন্দুস্থানের থানা, ব্রূছ ও দেবল বন্দরে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। থানাকে বর্তমানে মুম্বাই, ব্রূছকে গুজরাট এবং দেবলকে করাচী বলা হয়। তারা এ সময় ‘সরনদীব’ জয় করেন। যাকে বর্তমানে শ্রীলঙ্কা বলা হয় (আতহার মুবারকপুরী, আল-ইক্বদুছ ছামীন ফী ফুতূহিল হিন্দ (কায়রো :  দারুল আনছার, ২য় সংস্করণ ১৩৯৯ হি./১৯৭৯) ১/২৬, ৪০, ৪২, ৪৪)। অতঃপর মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর খেলাফতকালে (৪১-৬০ হি.) হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত হয় (আল-বিদায়াহ ৬/২২৩)। এরপর ৯৩ হিজরীতে খলীফা ওয়ালীদ বিন আব্দুল মালিকের আমলে (৮৬-৯৬ হি.) মুহাম্মাদ বিন কাসেম ছাক্বাফী-র নেতৃত্বে সিন্ধু ও হিন্দুস্থান বিজিত হয় (আল-বিদায়াহ ৯/৭৭, ৯৫; আল-ইক্বদুছ ছামীন ১/১৪১-৪২)। এছাড়া ৫ম শতাব্দী হিজরীর প্রথম দিকে গযনীর সুলতান মাহমূদ (৩৮৮-৪২১ হি.) হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ভারতের বিখ্যাত সোমনাথ মন্দিরে প্রবেশ করে সকল মূর্তি ভেঙ্গে চুরমার করেন। অতঃপর বিজয়ী হয়ে ফিরে আসেন (আল-বিদায়াহ ৬/২২৩, ১২/৩০; আহলেহাদীছ আন্দোলন ২০৬-২০৮ পৃ.)

অপরপক্ষে হযরত আবু হুরায়রাহ, কা‘ব ও ছাফওয়ান বিন ‘আমর (রাঃ) থেকে দুর্বল সূত্রে এ বিষয়ে কিছু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যে, ‘হিন্দুস্থানের নেতাদেরকে মুসলিম সেনারা বেড়ীবদ্ধ অবস্থায় শামে নিয়ে যাবে। অতঃপর ঈসা (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করবে’। যেগুলির সবই যঈফ (নাসাঈ হা/৩১৭৩-৭৪; আহমাদ হা/৭১২৮; হাকেম হা/৬১১; নু‘আঈম বিন হাম্মাদ, আল-ফিতান  হা/১২০২, ১২১৫, ১২৩৬)। এসকল যঈফ বর্ণনা থেকে অনেকে ধারণা করেন যে, এই গাযওয়াতুল হিন্দ ক্বিয়ামতের পূর্বকালে সংঘটিত হবে। দ্বিতীয়ত, ক্বিয়ামতের পূর্বে ইমাম মাহদীর মাধ্যমে ইসলামী খেলাফত পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে এবং যা সাত বছর অব্যাহত থাকবে-মর্মে রাসূল (ছাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে (আবূদাঊদ হা/৪২৮৪-৮৫; মিশকাত হা/৫৪৫৩-৫৪; ছহীহাহ হা/১৫২৯)। তবে সেই খেলাফত এখন থেকে এক শতাব্দীকাল পর প্রতিষ্ঠিত হবে, এমন কোন সময়সীমা নির্দিষ্ট করার সুযোগ নেই।    






প্রশ্ন (১৮/১৩৮): ফেরেশতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৭/২৯৭) : ছয় বছরের শিশু সাথে নিয়ে মসজিদে ছালাত আদায় করলে ইমাম ছাহেব ‘শিশুরা ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট করে’-এই কারণ দেখিয়ে সাথে আনতে নিষেধ করেছেন। এ নিষেধাজ্ঞা শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (৩০/৩৫০) : জেনেশুনে কখনো সন্তান নিতে পারবে না এরূপ নারীকে বিবাহ করা জায়েয হবে কি? - -শিবলী ছাদিক, সাভার, ঢাকা।
প্রশ্ন (১০/২৯০) : অর্থ সংকটের কারণে পিতা অর্থ উপার্জন করতে বলেন। কিন্তু আমি পড়াশুনা করতে চাই। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৪/৪৪) : সূরা রহমানের ‘ফাবিআইয়ে আলা-ই রবিবকুমা তুকাযযিবান’ পাঠ করার পর বা শোনার পর প্রতিবার কি ‘লা বি শায়ইন মিন নি‘আমিকা রববানা নুকাযি্যবু ফালাকাল হাম্দ’ বলতে হবে? - -আবুল হোসাইন, লালপুর, নাটোর।
প্রশ্ন (৯/১২৯) : জুম‘আর দিনে সুস্থ-সবল ইমামকে লাঠি ভর দিয়ে খুৎবা প্রদান করতে দেখা যায়। এর রহস্য কি?
প্রশ্ন (৭/১৬৭) : আমার দাদীর বয়স ৯০ বছর। নানা রোগে দারুণভাবে ভুগছেন। তার বেঁচে থাকাই কষ্টকর। এক্ষণে তার জন্য মৃত্যু কামনা করে দো‘আ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৩/৩৭৩) : জানাযার ছালাতে শুধু ডান দিকে সালাম ফিরানো যাবে কি?
প্রশ্ন (২৯/৪২৯) : ‘সাইয়েদ’ আল্লাহর গুণবাচক নাম সমূহের অন্তর্ভুক্ত কি? যদি হয় তবে ইয়া সাইয়েদী বলে দো‘আ করা যাবে কি? - আযহারুল ইসলাম গড়েরডাঙ্গা, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৪০/২০০) : হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কি কুরআনের আয়াত সমূহে পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেছিলেন? এ ব্যাপারে সঠিক ইতিহাস জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : অসুখের জন্য দো‘আ চাইতে গেলে জনৈক আলেম সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা নাস, ফালাক্ব, বাক্বারা, আলে-ইমরান, হাশর, মুমিনূন, জীন প্রভৃতি সূরার কিছু কিছু আয়াত পড়ে বুকে ফুঁ দেন। এটি কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : মাইয়েতকে কাফন পরানোর সময় কোন পার্শ্ব থেকে কাপড় উত্তোলন করতে হবে?
আরও
আরও
.