উত্তর : সপ্তাহে দু’টি ছিয়াম পালন এবং মাসের আইয়ামে বীযের ছিয়াম উভয়ই উত্তম আমল। দু’টির মধ্যে ছওয়াবের দিক দিয়ে উত্তম-অনুত্তম ভাগ করার অধিকার বান্দার নেই। তবে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় সোমবার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে দু’দিন ছিয়াম রাখা উত্তম। সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার ছিয়াম পালনের ফযীলত বর্ণনায় রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খোলা হয় এবং এমন সব বান্দাকে মাফ করে দেওয়া হয়, যারা আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করে না (মুসলিম হা/২৫৬৫; মিশকাত হা/৫০২৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘সপ্তাহে এই দু’দিন মানুষের আমলনামা আল্লাহ তা‘আলার দরবারে পেশ করা হয় এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দাকে ক্ষমা করা হয় (মুসলিম হা/২৫৬৫; মিশকাত হা/৫০৩০)। অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল সমূহ পেশ করা হয়। তাই আমি পসন্দ করি ছিয়াম অবস্থায় আমার আমল পেশ করা হোক’ (তিরমিযী হা/৭৪৭, ছহীহ আত-তারগীব হা/১০৪১; মিশকাত হা/২০৫৬)। এছাড়া এ দু’দিন ছিয়াম পালনের জন্য রাসূল (ছাঃ) অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন’ (তিরমিযী হা/৭৪৫; ছহীহ আত-তারগীব হা/১০৪৪)

অপরদিকে আইয়ামে বীযে চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তিনদিন  ছিয়াম পালনের ফযীলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘প্রতি চান্দ্র মাসে তিনটি করে ছিয়াম, সারা বছর ধরে ছিয়াম পালনের শামিল’ (বুখারী হা/১১৭৮;  মুসলিম হা/১১৫৯; মিশকাত হা/২০৫৪)। এছাড়া আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, আমার দোস্ত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে তিনটি বিষয়ে অছিয়ত করে গেছেন, যা আমি যতদিন বাঁচি, কখনো ছাড়ব না। তার একটি হ’ল মাসে তিনটি করে নফল ছিয়াম পালন করা (মুসলিম হা/৭২২; ছহীহ আত-তারগীব হা/১০২৮)






প্রশ্ন (২৩/৬৩) : পবিত্র কুরআনে বর্ণিত শো‘আয়েব (আঃ) কি নবী ছিলেন, না একজন সৎ ব্যক্তি ছিলেন?
প্রশ্ন (১১/৯১) : জনৈক ব্যক্তির অনেক জমিজমা আছে। কিন্তু নগদ অর্থ অল্পই আছে। তার উপর হজ্জ ফরয হয়েছে কি?
প্রশ্নঃ (২০/১৮০) : যে সমস্ত ছালাতে সরবে ক্বিরাআত পড়ার হুকুম রয়েছে, সেই ছালাতগুলো একাকী পড়লে ক্বিরাআত নীরবে পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৫/৩০৫) : কিয়ামত সংঘটিত হবে মাগরিবের ছালাতের সময়, সেজন্য মাগরিবের ছালাত এগিয়ে দেওয়া হয়েছে’ -এ বক্তব্যের কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (৩/২০৩) : ঈদগাহের মাঠে খেলাধূলা সহ বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি অনুষ্ঠান করা যাবে কি? - -ইউসুফ আলী কান্তনগর পূর্বপাড়া, নাটোর।
প্রশ্ন (২০/১৪০) : মৃতপ্রায় রোগীকে লাইফ সাপোর্টে জীবিত রাখতে প্রচুর খরচ হয়। এক্ষণে খরচের ভয়ে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সাপোর্ট দেয়া বন্ধ করে দিলে গুনাহগার হ’তে হবে কি? - -সানজীদুল ইসলামবায়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১/৮১) : সুমাইয়া (রাঃ) ঈমান আনার কারণে আবু জাহল প্রকাশ্যে তাকে উলঙ্গ করে হত্যা করেছিল। এ কথা কি প্রমাণিত? এ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরেও কেন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাত দিয়ে বাঁধা না দিয়ে ইয়াসির পরিবারকে ধৈর্যধারণের উপদেশ দিলেন?
প্রশ্ন (১/১৬১) : গোসলের সময় বিসমিল্লাহ বলে গোসল করলে ছালাতের জন্য ওযূ করতে হবে কি?
প্রশ্ন (২/৪২) : ছেলে তার খালা ও ফুফুর বাসায় থাকে। কিন্তু তারা শারঈ পর্দার বিধান যথাযথভাবে মেনে না চলায় ছেলেকে বিভিন্নভাবে গুনাহের সম্মুখীন হ’তে হয়। এক্ষণে তার করণীয় কি?
প্রশ্ন (২২/৩৮২) : আমার এক মামাকে ৫০,০০০/- টাকা ধার দিয়েছি। কিন্তু বর্তমানে তিনি এমন ঋণগ্রস্থ যে আমার সেই টাকাগুলো আর ফেরত দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রশ্ন হ’ল- এ বছর আমার যাকাতের কিছু অর্থ যেমন ১০,০০০/- টাকা তাকে না জানিয়ে কেটে রেখে বাকী টাকাগুলো পরের বছরগুলোতে যাকাতের অর্থ থেকে একই ভাবে কেটে রেখে তার ঋণ আদায় করে নিতে পারব কি?
প্রশ্ন (৩৬/১৯৬) : অনেকেই মসজিদে বিভিন্ন পণ্য কিংবা ফলমূল দান করেন। সেগুলো সবাইকে ডেকে নিলামে তুলে বিক্রয় করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : আরশ সম্পর্কে উমাইয়া বিন আবী সালতের যে কবিতা রাসূল (ছাঃ) সত্যায়ন করেছেন (رجل وثور ....إلا معذبة وإلا تجلد) বলে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (আহমাদ হা/২৩১৪, আবু ইয়া‘লা হা/২৪৮২)। হাদীছটির বিশুদ্ধতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.