উত্তর :
হস্তমৈথুন বা অবৈধ পন্থায় বীর্য স্খলন করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, যারা নিজ
স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত অন্যকে কামনা করে, তারা সীমালংঘনকারী (মুমিনূন ২৩/৬-৭; মা‘আরিজ ৭০/৩০-৩১)।
এটি হারাম এবং কবীরা গোনাহ, যা মানুষের জীবন-যৌবন ধ্বংস করে। ক্বিয়ামতের
দিন মানুষের মুখ বন্ধ হবে এবং হাত-পা, চোখ-কান ও দেহচর্ম সাক্ষ্য দিবে’ (ইয়াসীন ৩৬/৬৫; হা-মীম সাজদাহ্ ২০)। অতএব যে ব্যক্তি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এরূপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে তাকে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে একনিষ্ঠভাবে তওবা করতে হবে (আবুদাঊদ হা/১৫২১; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৭৩৮; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৬২১)।
আর এথেকে বাঁচার জন্য যখনই বাজে চিন্তা মাথায় আসবে, তখনই বাম দিকে তিনবার থুক মেরে ‘আঊযুবিল্লাহ’ পড়বে (মুসলিম হা/২২০৩; মিশকাত হা/৭৭)। অতঃপর অন্য কাজে মন দিবে অথবা স্থান পরিবর্তন করবে। এছাড়া ‘আল্লা-হুম্মাগফির যানবী ওয়া তাহহির ক্বালবী ওয়া হাছছিন ফারজী (হে আল্লাহ! তুমি আমার গুনাহ ক্ষমা কর, আমার হৃদয়কে পবিত্র কর এবং আমার লজ্জাস্থানকে হেফাযত কর) দো‘আটি পাঠ করা যায়। রাসূল (ছাঃ))-এর নিকটে এক যুবক যেনা করার অনুমতি চাইলে তিনি তার জন্য এই দো‘আ করেন (আহমাদ, ছহীহাহ হা/৩৭০)। অথবা ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন শার্রি সামঈ ওয়ামিন শার্রি বাছারী ওয়া শার্রি লিসানী ওয়া শার্রি ক্বালবী ওয়া শার্রি মানিইঈ (হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই আমাদের কর্ণ, চক্ষু, জিহবা ও আমাদের অন্তরের অনিষ্ট হ’তে এবং আমার শুক্র অবৈধ স্থানে পতিত হওয়া থেকে) দো‘আটিও পাঠ করা যায় (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৪৭২)।
আর এথেকে স্থায়ীভাবে বাঁচার পথ হ’ল, বিবাহ করা অথবা নিয়মিত নফল ছিয়াম রাখা (বুখারী হা/১৯০৫; মুসলিম; মিশকাত হা/৩০৮০)। এছাড়া নিয়মিত জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা, দ্বীনী পরিবেশে থাকা, মোবাইল-কম্পিউটার-ইন্টারনেট-টিভির যাবতীয় অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকা, ধর্মীয় বই-পুস্তক পড়াশুনায় অভ্যস্ত হওয়া, নির্জনতা বর্জন করে পারিবারিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অধিকহারে অংশগ্রহণ করা ইত্যাদি কার্যাবলীর মাধ্যমে এথেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।