উত্তর : হাদীছটির প্রথমাংশ সনদে ও মতনে ছহীহ এবং শেষাংশের খবর ছহীহ। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) যখন কোন যুবককে, অন্য বর্ণনায় কোন ইলমে হাদীছ অন্বেষণকারীকে দেখতেন, তখন তাকে বলতেন, রাসূল (ছাঃ)-এর অছিয়ত অনুযায়ী আমি তোমাকে মারহাবা জানাচ্ছি। রাসূল (ছাঃ) তোমাদের ব্যাপারে আমাদের অছিয়ত করেছেন’ (হাকেম ১/৮৮, হা/২৯৮; যাহাবী সনদ ছহীহ; আলবানী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৮০)। কিন্তু শেষাংশ তথা- (আমারানা ... আহলুল হাদীছে বা‘দানা) ‘রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে তোমাদের জন্য মজলিস প্রশস্ত করার এবং তোমাদেরকে হাদীছ বুঝাবার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। কেননা তোমরা আমাদের পরবর্তী বংশধর এবং তোমরাই আমাদের পরবর্তী আহলেহাদীছ’ অংশটুকুর বর্ণনাসূত্রে আবু হারূণ আম্মারা বিন জুওয়াইন আবাদী ও মুহাম্মদ ইবনু যাকওয়ান আযদী নামক দু’জন অত্যন্ত দুর্বল রাবী রয়েছেন। সেকারণ শেষাংশটুকুর সনদ দুর্বল (তাকরীবুত তাহযীব ১/৪০৮, রাবী নং ৪৮৪০; ১/৭১১; তাহযীবুত-তাহযীব ৭/৪১২, রাবী নং ৬৭০, মীযান ৩/১৭৩, রাবী নং ৬০১৮)। কিন্তু মর্ম এবং খবর ছহীহ। কেননা তখন ছাহাবীগণই ছিলেন হাদীছের ধারক-বাহক ও প্রচারক, তথা আহলুল হাদীছ।

ছাহাবীগণসহ যুগে যুগে আহলুল হাদীছগণই যে ত্বায়েফাহ মানছূরাহ (তিরমিযী হা/২১৯২) বা ফিরক্বা নাজিয়াহ সে ব্যাপারে সালাফে ছালেহীনের মধ্যে কোন মতভেদ নেই। যেমন ‘ত্বায়েফাহ মানছূরাহ’-এর পরিচয় দিতে গিয়ে ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর উস্তাদ ইমাম আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ) বলেছেন, ‘তারা হ’লেন আছহাবুল হাদীছ’ (তিরমিযী হা/২১৯২)। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, ‘তারা হ’লেন আহলেহাদীছ’ (খত্বীব বাগদাদী, মাসআলাতুল ইহতিজাজ বিশ-শাফেঈ, পৃঃ ৪৭, সনদ ছহীহ)। ইমাম ইবনু হিববান ‘ইলম’ অধ্যায়ে উপরোক্ত হাদীছের উপর অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন,ذِكْرُ إِثْبَاتِ النُّصْرَةِ لِأَصْحَابِ الْحَدِيثِ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ ‘ক্বিয়ামত অবধি আল্লাহ কর্তৃক আহলেহাদীছদের সাহায্যপ্রাপ্তি প্রমাণিত হওয়ার বিবরণ’ (ছহীহ ইবনু হিববান, ১/২৬১, হা/৬১)। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) বলেন, ‘সাহায্যপ্রাপ্ত এই দলটি যদি আছহাবুল হাদীছ (আহলেহাদীছ) না হয়, তবে আমি জানি না তারা কারা’? (হাকেম, মা‘রিফাতু উলূমিল হাদীছ হা/২, সনদ হাসান)। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘আমি যখন কোন ‘আহলেহাদীছ’-কে দেখি তখন যেন রাসূল (ছাঃ)-কেই জীবন্ত দেখি’ (খত্বীব বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদীছ, হা/৮৫)(বিস্তারিত দ্রঃ আলবানী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০ ও ২৮০-এর আলোচনা; যুবায়ের আলী যাঈ, ‘আহলেহাদীছ একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম’ (মাসিক আত-তাহরীক এপ্রিল-জুলাই ২০১৫)






প্রশ্ন (৩৪/৩৪) মাতা-পিতার মুখের দিকে তাকালে কবুল হজ্জের নেকী পাওয়া যায় মর্মে হাদীছটি নাকি জাল। কিন্তু কেন জাল তার কারণ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : ৪৫ বছরের অধিক বয়সী মহিলা শারীরিক অক্ষমতার কারণে স্বামীর চাহিদা মিটাতে অপারগতা প্রকাশ করলে গোনাহগার হবেন কি?
প্রশ্ন (৩১/৩৫১) : দাড়ি কতটুকু পর্যন্ত লম্বা রাখতে হবে? দাড়ি নাভী ছাড়িয়ে গেলে করণীয় কি? - -জাহাঙ্গীর হোসাইন পুরানো বাজার, মাদারীপুর।
প্রশ্ন (১৪/৩৭৪) : বিতর ছালাত পড়ার সময় তাকবীর দিয়ে হাত উঠানোর পর পুনরায় হাত বেঁধে দো‘আ কুনুত পড়ার ছহীহ দলীল জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৪/২৬৪) : আমি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। দু’বছর পূর্বে গোপনে ইসলাম গ্রহণ করেছি। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পর্দা করতে ও ছিয়াম পালন করতে পারি না। বরং অন্য সময়ে আমি ছিয়ামের কাযা আদায় করে নিই। এক্ষণে আমার এই ধরনের কাজ কি সঠিক হচ্ছে?
প্রশ্ন (২৬/৩০৬) : যে ব্যক্তির কথা ও কাজে মিল থাকে না, তার আদেশ-নিষেধ মানা যাবে কি?
প্রশ্ন (১০/১৩০) : রাস্তায় সহ যেকোন স্থানে হাঁটা-চলার সময় দৃষ্টি কোন দিকে থাকা উচিৎ? রাস্তায় চলার আদব কি কি? - -আয়নাল হক, কাদাকাটি, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : কুরআন মুখস্থ করে ভুলে গেলে সে ক্বিয়ামতের দিন হাত-পা কাটা অবস্থায় উঠবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটির বিশুদ্ধতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৮/১৭৮) : জুম‘আর খুৎবা চলাকালীন সময়ে দো‘আ কবুলের আশায় মনে মনে ইচ্ছানুযায়ী দো‘আ করা যাবে কি? - -আবু তালেব, চালা, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৩/৪১৩) : অমুসলিমের অর্থ দিয়ে হজ্জ পালন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৮/৪৮) : জনৈক ব্যক্তি ওযূর ধারাবাহিকতা এবং ফরয গোসলের ক্ষেত্রে বহুদিন যাবৎ বড় ধরণের ভুলের মধ্যে ছিল। এখন তা বুঝতে পারার পর তার পূর্বের আমলের অবস্থা কি হবে? এক্ষেত্রে তার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৩/৩৫৩) : একটি জাতীয় দৈনিকে লেখা হয়েছে যে, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) শতাধিক কিতাব লিখে ইসলামের মৌলিক সমস্যা সমাধানে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন বলেই ইসলাম মাযহাবী খুঁটির উপর দন্ডায়মান। বক্তব্যটির সত্যতা জানতে চাই। - -সাইফুল ইসলাম, কাজলা, রাজশাহী।
আরও
আরও
.