উত্তর : ইয়াকূবী শরী‘আতে সম্মানের সিজদা করা জায়েয ছিল (ইবনু কাছীর, ঐ আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)।
কিন্তু মুহাম্মাদী শরী‘আতে এটি হারাম করা হয়েছে এবং এভাবে আল্লাহ ব্যতীত
অন্যের প্রতি সিজদা করার দূরতম সম্ভাবনাকেও মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। মু‘আয
(রাঃ) শাম থেকে ফেরার পর রাসূল (ছাঃ)-কে সিজদা করলে তিনি বললেন, কি ব্যাপার
হে মু‘আয! তিনি বললেন, আমি শামে গিয়ে দেখলাম, সেখানকার অধিবাসীরা তাদের
পোপ ও পাদ্রীদেরকে সিজদা করে। তাই আমি আপনার ক্ষেত্রেও তাদের মত করার ইচ্ছা
করেছি। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা এটা করো না। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে
যদি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহ’লে স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা
করার নির্দেশ দিতাম। যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তাঁর কসম করে বলছি, কোন
নারী ততক্ষণ পর্যন্ত তার প্রভুর হক পূরণ করতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার
স্বামীর হক পূরণ না করবে.... (আহমাদ, ইবনু মাজাহ হা/১৮৫৩, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১২০৩)।
একইভাবে রাসূল (ছাঃ) ক্বায়েস বিন সা‘দ (রাঃ)-কেও এ থেকে নিষেধ করেছিলেন।
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সিজদা
করা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমতে হারাম (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/৩৫৮)।