উত্তর : যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) এসকল স্থানে বিভিন্ন দো‘আ পাঠ করতেন, যা তওবা ও ইস্তেগফারকে শামিল করে। তাছাড়া এসকল স্থানে দো‘আ কবুল হয়। সিজদার ক্ষেত্রে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা হ’ল, ‘বান্দা স্বীয় প্রভুর সর্বাধিক নিকটে পৌঁছে যায়, যখন সে সিজদায় রত হয়। অতএব তোমরা ঐ সময় বেশী বেশী প্রার্থনা কর’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৪)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা সিজদায় দো‘আ করার ক্ষেত্রে সাধ্যমত চেষ্টা কর। কারণ এটি দো‘আ কবুলের উপযুক্ত সময়’ (মুসলিম হা/৪৭৯; মিশকাত হা/৮৭৩)। তবে রুকূ-সিজদায় কুরআনী দো‘আ পড়া জায়েয নয় (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৭৩)।
আর শেষ বৈঠকের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, (আত্তাহিইয়াতু-এর পরে) দো‘আ সমূহের মধ্যে যে দো‘আ সে পসন্দ করে, তা দিয়ে সে দো‘আ করবে’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৯০৯)। এ সময় সকল প্রকার দো‘আ করা যাবে (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১৭৩-৭৪)।