উত্তর: শিশু বালেগ না হ’লে তার উপর ছিয়াম ফরয হয় না (আবুদাউদ হা/৪৪০১; মিশকাত হা/৩২৮৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৫১২)। আর বালেগ হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন, স্বপ্নদোষ হওয়া, নাভীর নীচে চুল গজানো বা ১৫ বছরে উপনীত হওয়া ইত্যাদি (বুখারী হা/২৬৬৪; মুসলিম হা/১৮৬৮; মিশকাত হা/৩৩৭৬, ৩৯৭৪; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/৩২৩)। তবে শিশুর বয়স ১০ বছর হ’লে বা তারও পূর্বে ছিয়াম রাখার মত শারীরিক সক্ষমতা আসলে শিশুদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৬১; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/ ১৯-২০, ২৮-২৯, ৮৩)। ছাহাবায়ে কেরাম বলেন, আমরা পরবর্তীতে আশূরার ছিয়াম রাখতাম এবং আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদেরকেও রাখাতাম। তাদের জন্য তুলার খেলনা তৈরী করতাম এবং তাদেরকে মসজিদে নিয়ে যেতাম। অতঃপর তাদের মধ্যে কেউ খাবারের জন্য কাঁদতে শুরু করলে তাকে ঐ খেলনা দিতাম। আর এইভাবে ইফতারের সময় এসে পৌঁছত (বুখারী হা/১৯৬০; মুসলিম হা/১১৩৬)। উল্লেখ্য যে, বালেগ হওয়ার পূর্বে আদায়কৃত ছিয়ামের ছওয়াব অবশ্যই পাবে। সাথে সাথে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে ইবাদতে সহায়তার জন্য তাদের পিতা-মাতাও ছওয়াব পাবে (ইবনু তায়মিয়াহ, আল ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৩১৮; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৬/৩৭৭)। বিদ্বানগণ বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের আমলের ছওয়াব লিখা হয় কিন্তু কোন গুনাহ লেখা হয় না (মাওয়াহিবুল জলীল ১/৪১৩)।
প্রশ্নকারী : আলে ইমরান, বোর্ড বাজার, গাযীপুর।