উত্তর: নবী এবং রাসূলের মধ্যে পার্থক্য হ’ল, আল্লাহ তা‘আলা যাকে নতুন শরী‘আত দিয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট পাঠান তাঁকে রাসূল বলা হয়।  আর যাকে নতুন শরী‘আত না দিয়ে পূর্বের রাসূলের শরী‘আতই প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান তাঁকে নবী বলা হয় (আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৬৬৮, ৬/১৬৭ পৃঃ)। প্রত্যেক নবী রাসূল নন। তবে প্রত্যেক রাসূলই নবী।

নবী ও রাসূলের সংখ্যা বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি আপনার নিকট ইতিপূর্বে বহু রাসূলের কথা বর্ণনা করেছি এবং অনেক রাসূলের কথা আপনাকে বলিনি (নিসা ১৬৪)। তবে একটি প্রশ্নের জবাবে রাসূল (ছাঃ) বলেন, নবীগণের সংখ্যা হল, ১,২৪,০০০। তার মধ্যে ৩১৩ জন, অন্য বর্ণনায় ৩১৫ জন রাসূল (আহমাদ, সনদ হাসান, আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৬৬৮; ফাৎহুলবারী ১০/১০৪; মিশকাত হা/৫৭৩৭)। চারজন রাসূলের উপর চারটি প্রধান কিতাব নাযিল হয়েছে। মূসা (আঃ)-এর উপরে ‘তাওরাত’, দাঊদ (আঃ)-এর উপরে ‘যাবূর’, ঈসা (আঃ)-এর উপরে ‘ইনজীল’ এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপরে ‘কুরআন’। কোন কোন নবী ও রাসূলের উপর ছহীফা (পুস্তিকা) আকারে কিতাব নাযিল হয়েছে (আ‘লা ১৯)






প্রশ্ন (১৬/২৯৬) : হানাফী মাযহাবের ভাইয়েরা বলেন যে, ফিক্বহ শাস্ত্রের উৎপত্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে হয়েছে। দলীল হিসাবে বলেন, একবার মু‘আয ইবনু জাবালকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইয়ামনে গভর্ণর করে পাঠালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে বিচার করবে? তিনি বললেন, কুরআন দ্বারা। রাসূল (ছাঃ) বললেন, কুরআনে না পেলে? তিনি বললেন, হাদীছ দ্বারা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হাদীছে না পেলে? তিনি বললেন, আমি আমার রায় দ্বারা ইজতিহাদ করব। তখন তিনি তার উপর খুশী হ’লেন। এ হাদীছ কি ছহীহ?
প্রশ্ন (৯/৪০৯): স্বপ্নে মৃত কোন ব্যক্তিকে কষ্টে থাকতে দেখলে করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৮/৫৮) : ছালাত আদায়কালে লজ্জাস্থানে হালকা পানি অনুভব হ’লে ছালাত ছেড়ে দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (১/২০১): ‘ডেসটিনি ২০০০ প্রাইভেট লিমিটেড’ যে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং Multi Level Marketing পদ্ধতিতে যে লভ্যাংশ মানুষকে দিচ্ছে তা কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৫/১২৫) : মুছাফাহা করার সময় কোন দো‘আ পড়তে হয় কি?
প্রশ্ন (২৩/১৮৩) : হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, মানুষ মারা গেলে সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অন্য হাদীছে রয়েছে, মৃত্যুর পর তার পক্ষ থেকে হজ্জ ও ছাদাক্বা করলে তাও পৌঁছে। এই দুই হাদীছের সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : ফজরের আযানের পূর্বে মানুষকে জাগিয়ে দেওয়ার জন্য মসজিদের মাইকে কুরআন তেলাওয়াত, দো‘আ বা ইসলামী গান গাওয়া যাবে কি? - -নাছিরুদ্দীন, বায়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : আমার মা পাঁচ বছর পূর্বে মারা গেছেন। আমি তার মুছল্লায় (জায়নামাযে) ছালাত আদায় করি এবং নিয়ত করি যে, এতে আমার যে ছাওয়াব হবে তার সমপরিমাণ আমার মায়ের জন্যও যেন হয়। এরূপ নিয়ত করা কি শরী‘আত সম্মত? - -মায়মূনা ফারযানা, ঘোড়ামারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৮/২৩৮) : পুরুষের জন্য হোয়াইট গোল্ড-এর আংটি, ঘড়ি বা অন্য কোন অলংকার ব্যবহার করায় কোন বাধা আছে কি? - মীযানুর রহমান, সিলেট।
প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : আরবী পড়তে না পারার কারণে বাংলায় উচ্চারণ করে কুরআন তেলাওয়াত করলে ছওয়াব পাওয়া যাবে কি? কুরআন মুখস্থ তেলাওয়াত করলে ছওয়াবের কোন কম-বেশী হবে কি? উত্তর : আরবী পড়ে কুরআন শিক্ষা করে কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে (বুখারী, মিশকাত হা/২১০৯)। কুরআন শিক্ষা করার জন্য অক্ষরগুলি উচ্চারণ ও শব্দ বুঝার জন্য বাংলা উচ্চারণের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। কুরআন পড়ার জন্য চেষ্টা করলে দ্বিগুণ নেকী রয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২১১২)। কুরআন শিক্ষা করার চেষ্টা না করে শুধু বাংলা বা অন্য কোন ভাষায় উচ্চারণ করে পড়া উচিত নয়। কারণ এভাবে পড়লে কুরআন শিক্ষা করার গুরুত্ব ও ফযীলত থাকবে না। এছাড়াও উচ্চারণ সঠিক না হওয়ার কারণে অর্থের মধ্যে গোলমাল হয়ে যাবে। পবিত্র কুরআন মুখস্থ তেলাওয়াত করলে ছওয়াবে কোন কম-বেশী হবে না (ছহীহ তিরমিযী হা/২৯১০)। কারণ এতে দেখে আর মুখস্থ পড়ার মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয়নি।
প্রশ্ন (১২/২৫২) : ডলার কেনা-বেচার ব্যবসা কি হালাল? - -ছিদ্দীকুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী।
প্রশ্ন (২৫/৩৮৫) : হজ্জব্রত পালনকালে কিছু কিছু মু‘আল্লিম হাজীদের নিকট থেকে কুরবানীর জন্য অর্থ গ্রহণ করেন কিন্তু কুরবানী করেন না। হজ্জপালন শেষে তা জানতে পারলে উক্ত হাজীদের কাফফারা দিতে হবে কি?
আরও
আরও
.