উত্তর : যেহেতু রূহই মানুষের মৌলিক বিষয়, সেজন্য আমাদের দেশে মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফিরাত কামনার প্রচলন রয়েছে। তবে হাদীছের বর্ণনায় দেখা যায়, রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম রূহ নয়; বরং ব্যক্তির নাম ধরেই দো‘আ করতেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, হে আল্লাহ! তুমি আবু সালামাকে ক্ষমা করে দাও (মুসলিম হা/৯২০; মিশকাত হা/১৬১৯)। তাছাড়া রূহ মূল হ’লেও শরীর সমেতই ব্যক্তির পরিচয় নির্ধারিত হয়। কবরের শাস্তিও কেবল রূহের উপর নয়, শরীরের উপরও হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, এছাড়া পাপীর জন্য তার কবরকে সংকীর্ণ করে দেয়া হয়, ফলে তার একদিকের পাঁজর অপর দিকের পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যায় (আবুদাউদ হা/৪৭৫৩; মিশকাত হা/১৩১, সনদ ছহীহ)। প্রতিটি মানুষ কবর থেকে উঠে হাশরের মাঠে সমবেত হবে বলে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/৪৯৩৫; মিশকাত হা/৫৫২১; মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৪/২৮৪; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/২৬)।
প্রশ্নকারী : নূরুল ইসলাম, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।