উত্তর : ছালাত
আদায় হয়ে যাবে। কেননা যারা এগুলি করেন, তারা অধিকাংশই বরকত মনে করে অথবা
অজ্ঞতাবশে করে থাকেন। স্মর্তব্য যে, মসজিদের মেহরাবের উপরে এক পার্শ্বে
‘আল্লাহ’ অপর পাশে^র্ ‘মুহাম্মাদ’ লেখা শিরকের পর্যায়ভুক্ত। এতে আল্লাহ ও
রাসূলকে তথা স্রষ্টা ও সৃষ্টিকে সমান গণ্য করা হয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, নং ৮৩৭৭, ১/৮২ পৃ.)।
এইসব লেখার পিছনে সাধারণতঃ ছূফীদের চালুকৃত শিরকী আক্বীদা কাজ করে যে,
যিনিই আল্লাহ তিনিই মুহাম্মাদ। অর্থাৎ আল্লাহই মুহাম্মাদ-এর রূপ ধারণ করে
দুনিয়াতে এসেছেন (নাঊযুবিল্লাহ)। যার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় ছূফীদের আবিষ্কৃত মীলাদ মাহফিলে পঠিত উর্দূ কবিতার মাধ্যমে। যেখানে বলা হয়, ‘ওহ্ জো মুস্তাবী আরশ থা খোদা হো কার, উতার পাড়া হ্যায় মদীনা মেঁ মোছতফা হো কার্’। অর্থ: আরশের অধিপতি আল্লাহ ছিলেন যিনি, মুছতফা রূপে মদীনায় অবতীর্ণ হ’লেন তিনি’ (নাঊযুবিল্লাহ)। অতএব আল্লাহ ও মুহাম্মাদ পাশাপাশি লেখা থেকে মসজিদকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।