উত্তর : স্ত্রীর
অনুপস্থিতিতে স্বামী যদি তাকে তালাক দেয় এবং স্ত্রীকে জানিয়ে দেয় তাহলে
তালাক হয়ে যাবে। আমর ইবনু হাফছ তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ফাতিমা বিনতে
ক্বায়েসকে তালাক দেন এবং কিছু যবসহ তার নিকট একজন প্রতিনিধি পাঠান। কিন্তু
তার স্ত্রী তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। অতঃপর তার স্ত্রী রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ)-এর নিকট এ ঘটনা বর্ণনা করল। তখন রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমার উপর তালাক
সংঘটিত হয়েছে। কাজেই তার পক্ষ থেকে তোমার উপর কোন খোরপোষের দায়িত্ব নেই (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৩২৪)।
দ্বিতীয়তঃ এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে এক তালাক গণ্য হবে। তিন তালাক গণ্য হবে না। রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় এবং আবুবকর (রাঃ) ও ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতের প্রথম দু’বছরে একত্রিত তিন তালাককে এক তালাক গণ্য করা হ’ত (মুসলিম হা/১৪৭২)।
উল্লেখ্য যে, ইবনু ওমর (রাঃ) কর্তৃক দারাকুৎনীতে বর্ণিত যে বর্ণনা পেশ করা হয়েছে তা ছহীহ হাদীছের বিরোধী হওয়ায় মুহাদ্দিছগণ তাকে ‘মুনকার’ বলেছেন। সুতরাং তা গ্রহণযোগ্য নয় (ইরওয়াউল গালীল, ৭ম খন্ড, হা/২০৫৪)। এরূপ বহু ‘আছার’ মুওয়াত্ত্বা মালেক, মুছান্নাফে আব্দুর রাযযাক প্রভৃতিতে এসেছে। যার অধিকাংশ যঈফ, মুনকার, মওযূ ও কয়েকটা ছহীহ। কিন্তু এগুলো অগ্রহণযোগ্য। কারণ বুখারী ও মুসলিমে ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে এর বিরোধী হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (বিস্তারিত আলোচনা দ্রঃ প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব প্রণীত ‘তালাক ও তাহলীল’ বই)।