উত্তর :
উভয়ের মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। বরং আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে মাটির
বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরী করেছেন এবং তার দেহে রূহ ফুঁকে দিয়েছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭-৭২; হজ্জ ২২/৫; হিজ্র ১৫/২৬)।
অতঃপর মানুষকে সেই আদমের পানি (বীর্য) থেকে এবং তাকে বিভিন্ন স্তরে
অতিক্রম করিয়ে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘যিনি
সকল বস্ত্ত সুন্দর রূপে সৃষ্টি করেছেন এবং মাটি হ’তে মানুষ সৃষ্টির সূচনা
করেছেন। অতঃপর তিনি তার (আদমের) বংশধর সৃষ্টি করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস
থেকে। অতঃপর তিনি তাকে সুষম করেন ও তাতে রূহ ফুঁকে দেন এবং তোমাদেরকে দেন
কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয়। কিন্তু তোমরা অতি সামান্যই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে থাক’ (সাজদাহ ৩২/৭-৯)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের প্রত্যেকেরই জন্ম হয় এভাবে যে, তার মায়ের পেটে (প্রথমে তার মূল উপাদান) শুক্ররূপে চল্লিশ দিন পর্যন্ত থাকে। অতঃপর তা চল্লিশ দিন পর্যন্ত লাল জমাট রক্তপিন্ড রূপ ধারণ করে। তারপর পরবর্তী চল্লিশ দিনে মাংসপিন্ডের রূপ ধারণ করে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা একজন ফেরেশতাকে চারটি বিষয় লিখে দেয়ার জন্য পাঠান। তিনি আল্লাহর হুকুমে তার তাক্বদীরে লিখে দেন- (১) তার আমল (২) তার মৃত্যু, (৩) তার রিযিক এবং (৪) তার নেককার বা দুর্ভাগা হওয়ার বিষয়। তারপর তন্মধ্যে রূহ প্রবেশ করান (বুখারী হা/৩২০৮; মিশকাত হা/৮২)। অতএব উভয়ের মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। বরং কুরআনে মানবসৃষ্টির বিভিন্ন স্তরের কথা আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশ্নকারীঃ মাহফূয, বামুন্দী, মেহেরপুর।