উত্তর : আদালত
কর্তৃক বিচার শেষে ক্বিছাছ ব্যতীত সর্বাবস্থায় মানুষ হত্যা করা হারাম।
এমনকি কোন স্পষ্ট অপরাধীকেও বিচারহীনভাবে মারা যাবে না। এক্ষণে কাউকে
গণপিটুনী দিয়ে হত্যা করা হ’লে সংশ্লিষ্ট সকলেই অপরাধী সাব্যস্ত হবে এবং
নিহতের উত্তরাধিকারীরা ক্ষমা না করলে সকলকেই ক্বিছাছ হিসাবে হত্যা করা হবে।
ওমর (রাঃ) একজন লোককে হত্যার অপরাধে ছান‘আর সাতজন ব্যক্তিকে হত্যা করে
বলেছিলেন, যদি পুরো ছান‘আবাসী এতে জড়িত থাকত, তাহ’লে সকলকেই আমরা হত্যা
করতাম (বুখারী হা/৬৮৯৬; মিশকাত হা/৩৪৮১)। আলী (রাঃ) একজনকে হত্যার অপরাধে তিনজনকে হত্যা করেছিলেন (বায়হাক্বী, মা‘রিফাতুস সুনান হা/৫০৬৩; ইরওয়া হা/২২০২, সনদ যঈফ)। ইবনু আববাস (রাঃ) একজনকে হত্যার অপরাধে একদল লোককে হত্যার শাস্তি দিয়েছিলেন (আব্দুর রাযযাক হা/১৮০৮২; ইরওয়া ৭/২৬১)।
সর্বোপরি বিচারক অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বিচার করবেন। যদি গণপিটুনী হত্যার
উদ্দেশ্যে না হয়ে থাকে, তবে আদালত ক্বিছাছের পরিবর্তে আসামীদের নিকট থেকে
দিয়াত বা রক্তমূল্য আদায় করবে (নিসা ৪/৯২)। আর যদি আদালতের বিচারে নিহত ব্যক্তি প্রকৃতই অপরাধী সাব্যস্ত হয়, তবে আদালত আসামীদের শাস্তি মওকূফ করতে পারেন।