উত্তর : মানুষের কোন কাজ দেখে খুশী হয়ে তাকে কিছু প্রদান করার নাম বখশিশ। এটা শরী‘আতে জায়েয। রাবী‘আ বিন কা‘ব আসলামী (রাঃ)-এর কাজের উপর খুশী হয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেছিলেন, তুমি আমার কাছে চাও (মুসলিম হা/৪৮৯)। আমর ইবনে সালামা বিন ক্বায়েস (রাঃ) বলেন, আমাকে আমার (বাল্য অবস্থায় ইমামতিতে খুশী হয়ে) মুছল্লীরা একটি জামা উপহার দিয়েছিলেন। তাতে আমি খুব খুশী হয়েছিলাম’ (বুখারী, মিশকাত হা/১১২৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পরস্পরকে হাদিয়া দাও ও মহববত বৃদ্ধি কর’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০৪)

গ্রহীতার কামনা ব্যতীত নিয়োগকর্তা খুশী হয়ে কিছু প্রদান করলে তা প্রদান এবং গ্রহীতার গ্রহণ উভয়টিই জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কারো নিকটে তার মুসলিম ভাইয়ের পক্ষ থেকে যদি কোন হাদিয়া আসে, অথচ তার প্রতি তার কোন কামনা নেই, এক্ষেত্রে তা ফিরিয়ে না দিয়ে সে যেন তা গ্রহণ করে। কারণ এটা এমন রিযিক, যা আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য ব্যবস্থা করেছেন (আহমাদ; ছহীহাহ হা/১০০৫)

তবে যদি নিয়োগকর্তা কোন মন্দ উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য প্রদান করে, তাহলে তা ঘুষের পর্যায়ভুক্ত হবে। রাসূল (ছাঃ) ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের উপর লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)

নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য মজুরীর উপরে কিছু কামনা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমরা যাকে অর্থের বিনিময়ে কোন কাজে নিয়োজিত করি, তার অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করলে তা হবে আত্মসাৎ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৪৮)

রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের জন্য কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করলে সে এসে বলল যে, এগুলি জমাকৃত যাকাত এবং এগুলি আমাকে দেওয়া হাদিয়া। এ ঘটনা শুনে ক্রুদ্ধ হয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, কর্মকর্তাদের কি হ’ল যে তারা এরূপ বলছে! সে তার পিতা-মাতার বাড়িতে বসে থেকে দেখুক তো কে তাকে হাদিয়া দেয়? যে সত্তার হাতে আমার জীবন তার কসম! যা কিছুই সে গ্রহণ করবে ক্বিয়ামতের দিন তা কাঁধে নিয়ে সে হাযির হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৭৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কর্মচারীর হাদিয়া গ্রহণ আত্মসাৎ স্বরূপ’ (আহমাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৭০২১)






প্রশ্ন (১৪/১৭৪) : আমি কাপড়ের ব্যবসা করি। ২০০ টাকা দিয়ে একটি কাপড় কিনলে সর্বোচ্চ কত টাকা দরে কাপড়টি বিক্রি করতে পারব?
প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : যমযম কূপের পানি পানের যে দো‘আ প্রচলিত আছে, তা কি ছহীহ? اللهم إني أسألك علما نافعا ورزقا واسعا وشفاء من كل داء
প্রশ্ন (২৪/৪২৪) : আযানের সময় যেমন উত্তর দিতে হয়, তেমনি এক্বামতের সময়ও কি একইভাবে উত্তর হবে?
প্রশ্ন (২১/৩০১) : জনৈক ব্যক্তি তার আত্মীয়-স্বজনের কথায় প্রতিজ্ঞা করে যে, তার ছেলে ও মেয়েকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েই ছাড়বে। এমন প্রতিজ্ঞা করা কি সমীচীন হবে?
প্রশ্ন (৪০/১২০) : পরিবারে আমরা তিন ভাই। পিতা জীবদ্দশায় আমার মায়ের নামে আমাদের সম্মতিতে ১৮ শতক জমি লিখে দেন। পরবর্তীতে আমাদের তিন ভাইয়ের অসম্মতিতে বা আমাদের না জানিয়ে মায়ের নামে আরো ৪০ শতক জমি লিখে দেন। পিতা মারা যাওয়ার পর জানতে পারি যে মায়ের নামে আরো ৪০ শতক জমি আছে। এটা করার কারণে পিতা গোনাহগার হবেন কি? এক্ষণে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৫/৪৬৫) : আমার মা আমাদের ভাই-বোনদের আর্থিক সহযোগিতা না করে নিজের ভাই-বোনদেরকে গোপনে আর্থিক সহযোগিতা করেন। জিজ্ঞাসা করলে তিনি অস্বীকার করেন। এক্ষেত্রে করণীয় কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২২/৩০২) : পশুর পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় ঐ পশু কুরবাণী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/২৭৮) : কোন মেয়ের পাঁচ কিংবা ছয়বার মাসিক হ’লে তাকে বিবাহ দেওয়া ফরয হয়ে যায়। এই বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৩/১৮৩) : স্ত্রী যদি স্বামীকে রাগ করে বলে, আমি তোমার মা, আমার নিকট থাকবে না। এটা যিহার সাব্যস্ত হবে কি? হলে কাফফারা দিতে হবে কি? - -যিয়াউর রহমান, ঠাকুরগাঁও।
প্রশ্ন (৩৫/৩৯৫) : জনৈক আলেম বলেন, নমরূদ উঁচু টাওয়ারে উঠে আল্লাহর লক্ষ্যে তীর নিক্ষেপ করলে উপর থেকে রক্ত মাখা তীর আল্লাহ আবার ফেরত পাঠান। এ বক্তব্যের সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৭/২৩৭) : যে ঔষধে এ্যালকোহল মিশানো থাকে সে ঔষধ খাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১২/৩৭২) : আমাদের এলাকায় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনাগত সন্তানের কল্যাণের জন্য সপ্তম মাসে ‘সাধ’ আয়োজন করার প্রচলন আছে। এটা জায়েয হবে কি?
আরও
আরও
.