উত্তর :
ই‘তিকাফ তাকওয়া অর্জন করার বড় মাধ্যম। আল্লাহ বলেন, যতক্ষণ তোমরা ইতিকাফ
অবস্থায় মসজিদ সমূহে অবস্থান কর ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা কর
না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা (বাক্বারাহ ২/১৮৭)। এতে লায়লাতুল
ক্বদর অনুসন্ধানের সুযোগ হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিত ই‘তিকাফ করেছেন। তবে
এ সম্পর্কে বিশেষ কোন ফযীলতের কথা ছহীহ হাদীছে পাওয়া যায় না। ই‘তিকাফের
পদ্ধতি হ’ল, ই‘তিকাফ স্থলে সূর্যাস্তের পূর্বে প্রবেশ করবে এবং ঈদের আগের
দিন বাদ মাগরিব বের হবে। রাসূল (ছাঃ) রামাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন (বুখারী হা/২০২৫, মুসলিম; মিশকাত হা/২০৯৭)। আর শেষ দশক বলতে শেষ দশ রাত্রিকে বুঝানো হয় (ফজর ২)।
যা ২০ তারিখ সুর্যাস্তের মাধ্যমে ২১ তারিখ শুরু হয় এবং ১লা শাওয়ালের
চন্দ্রোদয়ের মাধ্যমে শেষ হয়। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফকারী নিজ বাড়ীতে
প্রবেশ করবে না (বুখারী হা/২০২৯)।
মহিলাগণ কোন জামে মসজিদে ই‘তিকাফে বসতে পারবেন। রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণ মসজিদে নববীতে ই‘তিকাফে বসতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২০৯৭)। তাঁর জীবদ্দশাতেও অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা কারণবশতঃ বাস্তবায়ন হয়নি (বুখারী হা/২০৪১; মির‘আত ৭/১৪৩-৪৪, হা/২১১৭ আলোচনা দ্রঃ)। নারীদের জন্য বাড়ীর পাশের জুম‘আ মসজিদে ই‘তিকাফ করা উত্তম (ফাৎহুল বারী হা/২০৩৩-এর আলোচনা)।