উত্তর : পূর্বের মাসগুলোতে নির্দিষ্ট যে কয়দিন মাসিক হয়েছে সেই কয়দিন মাসিক বলে গণ্য হবে। তার অতিরিক্ত দিনগুলো অসুখ বা ‘মুস্তাহাযা’ বলে গণ্য হবে। সুতরাং নির্ধারিত মাসিকের পরের দিনগুলোতে ছালাত ও ছিয়াম আদায় করতে পারবে। প্রকাশ থাকে যে, রক্তের রং হয় কালো গাঢ় এবং ইস্তেহাযার রং হয় হলদে পাতলা। হাদীছে এক্ষেত্রে ৪টি নিয়ম পাওয়া যায়- (১) যদি প্রথমবারেই লাগাতার মাসিক হয় এবং প্রবাহিত মাসিকে উভয় রঙের পার্থক্য বুঝা যায়। এক্ষেত্রে তার হুকুম এই যে, যে কয়দিন কালো রক্ত দেখতে পাবে, সে কয়দিন ছালাত পরিত্যাগ করবে। তারপর সময় পার হলে গোসল করে নিবে এবং ছালাত সহ সব কাজ করবে (আবূদাঊদ হা/২৮৬; নাসাঈ হা/৩৬১)। (২) ইতিপূর্বে মাসিকের যে নিয়ম ছিল, সে কয়দিন মাসিক মনে করে ছালাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর উক্ত সময় পার হয়ে গেলে গোসল করে নিয়ে ছালাতসহ সব আমল করবে (বুখারী হা/৩২৫; আবুদাঊদ হা/২৮১)। (৩) রক্তের রঙ কালো না হলদে তা পার্থক্য না করা গেলে ঐ মহিলা তার বংশের মহিলাদের মাসিকের অনুসরণ করবে (আহমাদ, আবূদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৬১)। (৪) আর তার মাসিকে পার্থক্য নির্ণয় করা গেলে নিয়ম মোতাবেক আমল করবে (মির‘আতুল মাফাতীহ ২/২৬৬ পৃঃ)। সুতরাং প্রশ্নকারীনী উপরোক্ত ৪টি নিয়ম থেকে নিজের অবস্থা অনুযায়ী যে কোনটির অনুসরণ করবে।






প্রশ্নঃ (৯/৮৯): নৈক ব্যক্তি এবার সস্ত্রীক হজ্জে যাচ্ছেন। তাঁর সংগৃহীত টাকার প্রায় অর্ধেক নিম্ন বর্ণিত টাকা। যেমন বাইশ বছর আগে এক ব্যক্তি তাঁর নিকটে ১৬ শতাংশ আবাদী জমি বিক্রি করে। দাতা-গ্রহীতা উভয়েই শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও ভুলক্রমে আবাদী জমির দাগ নং দলীলে লিখিত না হয়ে বাস্ত্ত ভিটা লিখিত হয়। এক্ষণে জমি খারিজ করতে গেলে ভুল ধরা পড়ে। আবাদী জমির মূল্য এক লাখ টাকাও হবে না। বিক্রেতা মারা গেছে। তার ছেলে মেয়েরা দলীল সংশোধন করে দিতে রাযী। কিন্তু ক্রেতা বাড়ীর জমি দখলে নিতে চায়। ফলে দাতার ওয়ারিছরা এক লাখ টাকার বিনিময়ে হাজীর নিকট থেকে বাস্ত্ত ভিটা ফিরিয়ে নিতে চায়। তাতে রাজী না হ’লে এক লাখ আশি হাযার টাকা দিয়ে হাজীর কাছ থেকে বাড়ী ভিটা দলীল করে নেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে সংগৃহীত টাকা দ্বারা কৃত হজ কবুল হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৫৫) : স্বপ্নদোষ হ’লে অলসতা বা ঠান্ডার কারণে ফজরের পূর্বে গোসল না করে যোহরের ওয়াক্তে ক্বাযা আদায় করলে গুনাহগার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (৪০/১২০) : তা‘যিয়া মিছিলে যোগ দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/২৭৯) : জান্নাতে কি রাত্রি-দিন আছে? - - মাহদী হাসান রেযা, হালসা, নাটোর।
প্রশ্ন (৩৭/৩৭) : নাপিত হিসাবে আমি মূলত চুল কাটলেও মাঝে মাঝে ভোক্তার চাহিদা মোতাবেক দাড়িও কাটতে হয়। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৯/১৩৯) : জনৈক ব্যক্তি দু’জন স্ত্রী রেখে মারা গেছেন। একজন নিঃসন্তান, অপরজনের ৩ ছেলে। এক্ষণে সম্পদ কিভাবে বণ্টিত হবে? - -আতীকুল ইসলাম, উপশহর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১১/৩৭১) : মাসিক অবস্থায় সহবাসের মাধ্যমে আমি গর্ভবতী হয়েছি। স্বামী বলছেন, এ অবস্থায় সহবাসে গর্ভধারণ করলে তৃতীয় লিঙ্গের বাচ্চা হয়। তাই গর্ভপাত করতে হবে। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৮/৯৮) : চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের ১ম তাশাহহুদের পর দাঁড়ানোর সময় যমীনের উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে হবে, না হাঁটুর উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে হবে?
প্রশ্ন (২২/২৬২) : আমি জানি একজন ব্যক্তি সকল ধরনের শিরক-বিদ‘আতের সাথে জড়িত এবং ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু। তাকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচানো যাবে কি? আর যদি রক্ত দেয়ার পরে আবার শিরক করে এতে কি আমার পাপ হবে? - -রাজীবুল ইসলাম, বদরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (২৬/১৪৬) : পরবর্তীতে মূল্য বৃদ্ধির আশায় আলু-পেঁয়াজ ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য স্টক রাখার ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কি? - -মাহফূযুর রহমানমোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩১/২৭১) : কবর যিয়ারতের সুন্নাতী পদ্ধতি কি? কবর যিয়ারতের সময় কি কি দো‘আ পড়তে হয়? কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য করে কোথাও যাওয়া যাবে কি? কবর যিয়ারত করলে মৃত ব্যক্তির কোন উপকার হয় কি? - -ইসমাঈল হোসাইন, বাগহাটা, নরসিংদী।
প্রশ্ন (২৬/২৬) : স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি সামাজিক ফেৎনা থেকে বাঁচার জন্য অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া একজনকে বিবাহ করি। কিছুদিন সংসার করার পর স্বামী বলছেন, আমাদের বিবাহ হয়নি। এক্ষণে আমি কি যেনার পাপে অপরাধী হিসাবে গণ্য হব?
আরও
আরও
.