উত্তর : ওযূর পর জরায়ুর রাস্তা দিয়ে বাতাস বের হ’লে বিশুদ্ধ মতে ওযূ ভেঙ্গে যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৪; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/১২৫)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, স্পষ্টভাবে বায়ূর শব্দ বা গন্ধ না পেলে ওযূ করতে হবে না (ইবনু মাজাহ হা/৫১৫; মিশকাত হা/৩১০; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫৭২)। আর এটা হাদীছে উল্লিখিত বায়ুর অন্তর্গত। সুতরাং এমতাবস্থায় ওযূ ভেঙ্গে যাবে। তবে হানাফী-মালেকী বিদ্বানগণ, শায়খ উছায়মীন ও শায়খ বিন বায মনে করেন, জরায়ু থেকে নির্গত বাতাসে ওযূ ভঙ্গ হবে না। কারণ এটি কোন অপবিত্র স্থান থেকে বের হয় না। তাছাড়া হাদীছে এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোন দলীল নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৮০; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১৯৭; রাদ্দুল মুহতার ১/১৩৬ পৃ.)। তবে অধিকতর সতর্কতার জন্য ওযূ করাই কর্তব্য। কারণ যে স্থান থেকে বীর্য বের হ’লে গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়; হায়েয, নিফাস বা ইস্তিহাযা বের হ’লে অপবিত্র হয়ে যায়; সে স্থান থেকে বায়ু বের হ’লে একই বিধান কার্যকর হওয়াই বিধেয়।

প্রশ্নকারী : তহূরা বেগম, নওগাঁ।






বিষয়সমূহ: তাহারাত-পবিত্রতা
প্রশ্ন (৪০/৪৪০) : কোন ব্যক্তি যদি পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ্‌ অনুযায়ী ছালাত, ছিয়াম, যাকাত, হজ্জ এবং হালাল রুযি ভক্ষণ করে। কিন্তু সে যদি কুরআন-সুন্নাহর তাবলীগ না করে বা দ্বীনের দাওয়াত মানুষের মাঝে প্রচার না করে, তা হলে এর জন্য কি তাকে জাহান্নামে যেতে হবে?
প্রশ্ন (১৯/১৩৯): আমাদের আশেপাশে অনেক পীর-ফকীর আছে, যারা মানুষকে ঝাড়-ফুঁক করে থাকে এবং তাতে অনেক মানুষই আরোগ্য লাভ করে। ফলে মানুষ তাদের ক্ষমতার উপর আস্থা রাখে। যদি তাদের কোন ক্ষমতা না থাকে তাহলে কিভাবে আরোগ্য লাভ করছে? এদের থেকে মানুষকে বাঁচানোর পথ কি?
প্রশ্ন (২০/১০০) : আমাদের স্কুলের নিউট্রিশন ক্লাবে ছেলে মেয়ে উভয়ে একত্রে কাজ করতে হয়। শিক্ষিকাগণ জোরপূর্বক আমাদের বাধ্য করেন এতে অংশগ্রহণ করতে। এখানে ছেলেদের সাথে কথা বলতে হয়। পরামর্শ করতে হয়। তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। বাধ্যগতভাবে একত্রে কাজ করার জন্য গুনাহগার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (৭/৪০৭) : কারু সুস্থতা কামনা বা বিপদমুক্তির জন্য ছিয়াম রাখা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৬/২১৬) : বিভিন্ন প্রচার পত্র ও ইসলামী সম্মেলনের চাঁদা আদায়ের রশিদের শীর্ষে ‘৭৮৬’ লেখা দেখা যায়। এর অর্থ কি? এটা লেখা কি ছহীহ হাদীছ সম্মত?
প্রশ্নঃ (১০/২১০) : আল্লাহর নাম পবিত্র কুরআনের কোন সূরায় কতবার উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৪/১৪৪) : নবম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বইয়ে ১৬৯ পৃষ্ঠায় আছে যে, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) একাধারে ত্রিশ বছর রোযা রেখেছেন ও চল্লিশ বছর যাবৎ রাতে ঘুমাননি। অর্থাৎ এশার ওযূতে ফজরের ছালাত আদায় করেছেন। বর্ণনাটি কতটুকু সত্য? - -আনীস, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৮/৩৩৮) : আমি এবং আমার এক আত্মীয় একটি জমি ক্রয় করি। কিন্তু সে চক্রান্ত করে জমিটি তার নামে দলীল করে নেয়। ঐ জমির মূল্য দাবি করলে সে তা দিতে অস্বীকার করে। এতে সম্পর্ক নষ্ট হয়। এ জন্য দায়ী হবে কে?
প্রশ্ন (৩১/৪৩১) : ঘরের বিভিন্ন স্থানে কুরআনের আয়াত, দো‘আ, আয়াতুল কুরসী ইত্যাদির ক্যালিগ্রাফী টানিয়ে রাখা যাবে কি?
প্রশ্ন (২২/১৪২) : মসজিদ নির্মাণ কাজে হিন্দু মিস্ত্রির সহযোগিতা গ্রহণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) : ভুলবশতঃ তিন তাকবীরে জানাযার ছালাত আদায় করা হয়ে গেলে করণীয় কী?
প্রশ্ন (৪/২৪৪) : নযর বা মানত ভঙ্গের কোন কাফফারা আছে কি?
আরও
আরও
.