
উত্তর : দেহের কোন অঙ্গের পরিবর্তন না ঘটিয়ে রূপচর্চায় কোন দোষ নেই। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য ভালবাসেন (মুসলিম হা/৯১; মিশকাত হা/৫১০৮)।
রং ফর্সাকারী ক্রীম প্রভৃতি সৃষ্টির স্থায়ী পরিবর্তন ঘটায় না। অতএব এতে
বাধা নেই। তবে প্লাস্টিক সার্জারী বা অন্য কোন ঔষধের মাধ্যমে শরীরের রঙে
স্থায়ী পরিবর্তন ঘটানো যাবে না (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২২/২)। অনুরূপভাবে ভ্রূ উত্তোলন বা চিকন করা, পরচুলা ব্যবহার করা ও অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে রূপচর্চা করা যাবে না (নববী, শরহ মুসলিম ১৩/১০৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে পরচুলা লাগিয়ে নিল এবং যে লাগিয়ে দিল উভয়ের উপর আল্লাহ তা‘আলার অভিশাপ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪৩০)।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা লা‘নত
করেন এমন সব নারীর উপর যারা অপরের অঙ্গে উল্কি করে এবং নিজের অঙ্গেও করায়,
যারা কপাল বা ভ্রূর চুল উপড়িয়ে ফেলে, যারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁত সরু ও এর
ফাঁক বড় করে এবং যারা আল্লাহর সৃষ্টিকে পাল্টিয়ে দেয়’। এসময় জনৈকা মহিলা
ইবনে মাসঊদের নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, আমি শুনতে পেলাম আপনি নাকি এরূপ এরূপ
নারীদের লা‘নত করেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, ‘আমি কেন তাদের উপর লা‘নত করব
না, যাদের উপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) লা‘নত করেছেন? (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ‘পোষাক’ অধ্যায় হা/৪৪৩১)।