উত্তর : ঘুমানোর পূর্বে সূরা মুলক পাঠের বিশেষ ফযীলত আছে। যেমন জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সূরা সাজদা ও মুল্ক না পড়ে রাতে ঘুমাতেন না (তিরমিযী হা/৩০৬৬; মিশকাত হা/২১৫৫)। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই কুরআনে একটি সূরা আছে যাতে ৩০ টি আয়াত রয়েছে, পাঠকারীর জন্য এটি সুফারিশ করবে। এমনকি তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। সেটি হ’ল সূরা মুলক’ (তিরমিযী হা/২৮৯১; মিশকাত হা/২১৫৩; ছহীহুল জামে‘ হা/২০৯১)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, বান্দাকে কবরে রাখা হ’লে পায়ের দিক হ’তে আযাব আসে। তখন পা বলে, আমার দিক থেকে আযাব দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ তিনি আমাদের উপর সূরা মুলক তিলাওয়াত করতেন। এরপর পেটে শাস্তি দিতে চাইলে পেট বলে, আমাকে শাস্তি দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ তিনি আমার মধ্যে সূরা মুলক আয়ত্ব করতেন। মাথার দিক থেকে আযাব আসতে চাইলে মাথা বলবে, আমার দিকে দিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। কারণ তিনি আমার মধ্যে সূরা মুলক তিলাওয়াত করতেন (মু‘জামুল কাবীর হা/৮৬৫১; হাকেম হা/৩৮৩৯; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৪৭৫)।
উল্লেখ্য, সূরা সাজদা ও মুল্ক রাত্রিতে পাঠ করলে অন্যান্য সূরার তুলনায় ৬০ গুণ বেশী নেকী পাওয়া যায় বলে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (দারেমী, মিশকাত হা/২১৭৬)।