উত্তর : শিশুদের কথা বলানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল বা দো‘আ নেই। তবে কুরআনে যেহেতু সকল প্রকার রোগের শিফা রয়েছে সেজন্য ঝাঁড়ফুক সংক্রান্ত সূরা বা আয়াতগুলো এবং হাদীছে বর্ণিত দো‘আগুলো পাঠ করে ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়। যেমন মূসা (আঃ) তোত্লা ছিলেন। তখন আল্লাহ তাকে নিম্নের দো‘আ পাঠের নির্দেশ দেন- রাবিবশ্রাহ্লী ছাদরী ওয়া ইয়াস্সিরলী আম্রী ওয়াহ্লুল্ ‘উক্বদাতাম্ মিল্লিসা-নী, ইয়াফ্ক্বাহূ ক্বাওলী ‘হে আমার প্রভু! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও। আমার করণীয় কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও। আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দাও, যেন তারা আমার কথা বুঝতে পারে’ (ত্বোয়াহা ২৫-২৮)। এছাড়া সূরা ফাতিহা, নাস, ফালাক্ব, ইখলাছ ও আয়াতুল কুরসী পাঠ করে ঝাঁড়ফুক করা যেতে পারে। উল্লেখ্য যে, আয়াতুশ শিফা দ্বারা একদল বিদ্বান মূলতঃ শিফা শব্দযুক্ত ছয়টি আয়াতকে বুঝিয়ে থাকেন। তারা মনে করেন উক্ত ছয়টি আয়াত দ্বারা ঝাঁড়ফুক করলে তা দ্রুত কার্যকর হয়। তবে এ ব্যাপারে কোন হাদীছ বা ছাহাবীর আমল পাওয়া যায় না। বরং পুরো কুরআনই মুসলিম জাতির জন্য শিফা (যারকাশী, আল-বুরহান ১/৪৩৫; আলূসী, রূহুল মা‘আনী ৮/১৩৯)।
প্রশ্নকারী : তাজবীরুল হক অপি, চকবাজার, চট্টগ্রাম।