উত্তর : যিহার হ’ল স্ত্রীর কোন অঙ্গকে মা বা স্থায়ী মাহরামের পিঠ বা অন্য কোন অঙ্গের সাথে তুলনা করা (নাসাঈ, বুলূগুল মারাম হা/১০৯১ ‘যিহার’ অনুচ্ছেদ)। আর এরূপ যিহারের কাফ্ফারা হ’ল স্বামী একটি গোলাম আযাদ করবে অথবা এক টানা দু’মাস ছিয়াম পালন করবে অথবা ৬০ জন মিসকীনকে খাওয়াবে (মুজাদালাহ ৫৮/৩-৪)।
এক্ষণে কাফফারা হিসাবে দাসমুক্তির সুযোগ না থাকায় প্রথমতঃ ধারাবাহিকভাবে
দুই মাস একটানা ছিয়াম পালন করবে। এতে অক্ষম হ’লে ষাটজন মিসকীনকে মধ্যম
মানের খাবার খাওয়াবে (মুজাদালাহ ৫৮/৩-৪)। উল্লেখ্য যে, কাফফারার
ছিয়াম শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী স্পর্শ করবে না। কিন্তু যদি অধৈর্য হয়ে
করেই ফেলে, তাহ’লে কাফফারা শেষ হওয়ার পূর্বে পুনরায় স্ত্রী স্পর্শ করবে না (ইবনু মাজাহ হা/২০৬৫)।