উত্তর: শিরকের পরে বিদ‘আত শরী‘আতের দৃষ্টিতে সর্বাধিক নিন্দনীয় আমল (মুসলিম হা/৮৬৭, নাসাঈ হা/১৫৭৮)। জেনেশুনে বিদ‘আতকারীর কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ না সে তওবা করে ফিরে আসে’ (বুখারী হা/৩১৭২; মুসলিম হা/১৩১৭; মিশকাত হা/২৭২৮, ত্বাবারাণী, ছহীহ আত-তারগীব হা/৫৪)। এছাড়া হাশরের দিন বিদ‘আতীকে হাউয কাউছার থেকে ‘দূর হও’, ‘দূর হও’ বলে রাসূল (ছাঃ) তাড়িয়ে দিবেন’ (বুখারী হা/৬৫৮৪, মুসলিম হা/২২৯১, মিশকাত হা/৫৫৭১)।
অহংকার করা মহাপাপ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যার অন্তরে কণা পরিমাণ অহংকার রয়েছে। ...আর ‘অহংকার’ হ’ল ‘সত্যকে দম্ভের সাথে পরিত্যাগ করা এবং মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করা’ (মুসলিম হা/৯১, মিশকাত হা/৫১০৮)। অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) তিনটি ধ্বংসকারী বস্ত্ত থেকে মানুষকে সাবধান করেছেন (১) প্রবৃত্তি পূজারী হওয়া (২) লোভের দাস হওয়া এবং (৩) আত্ম অহংকারী হওয়া। তিনি বলেন, এটিই হ’ল সবচেয়ে মারাত্মক (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, মিশকাত হা/৫১২২)। অতএব বিদ‘আতী ও অহংকারী উভয়েরই পরিণাম জাহান্নাম।